Discy Latest Questions

  1. একটি গাছ একটি জীবন গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাRead more

    একটি গাছ একটি জীবন

    গাছপালা আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীর এক অমূল্য সম্পদ। আমরা বেঁচে থাকার জন্য গাছপালার উপর অনেক ভাবে নির্ভরশীল। গাছের জন্যই আমাদের জীবন সম্ভব হয়েছে। গাছ কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড সালফার ডাই অক্সাইড এর মত নানা বিষাক্ত গ্যাস শোষণ করে বায়ুমন্ডলে গ্যাসের ভারসাম্য বজায় রাখে। গাছের জন্যই আমরা অক্সিজেন পেয়ে থাকি যা আমাদের বেঁচে থাকার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

    বলা যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমরা প্রায় সবকিছুর জন্যই গাছের উপর নির্ভরশীল। বিভিন্ন কারখানায় ব্যবহার হওয়া কাঁচামাল এই গাছপালা থেকেই আসে। আমাদের ব্যবহারিক আসবাবপত্র গাছপালার জন্যই সম্ভব হয়েছে। গাছই আমাদেরকে প্রদান করে খাদ্য এবং ছায়া।

    গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু হওয়া সত্বেও অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা গাছ হত্যা করেই চলেছি দিনের পর দিন। আমাদের সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা চালিয়ে যাচ্ছি গাছের ধ্বংসলীলা। তাতে করে সৃষ্টি হচ্ছে অরণ্যবিনাশ অন্যদিকে বায়ুমন্ডলে বায়ুর ভারসাম্যতা নষ্ট হচ্ছে। দিনের পর দিন উষ্ণ থেকে উষ্ণতর হয়ে উঠছে উঠছে বায়ুমণ্ডল।

    তাই গাছ নিধন করে আমরা নিজের ভবিষ্যতকে অন্ধকার করে দিচ্ছি। আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, গাছ ছাড়া এই পৃথিবীতে বাস করা অসম্ভব। আমাদের অতি প্রয়োজনীয় বিশুদ্ধ হাওয়া, খাদ্য এবং বিশ্ব পরিমণ্ডল কিছুই গাছ ছাড়া সম্ভব নয়।

    তাই আমরা কি চাই আমাদের এই সুন্দর পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাক? অবশ্যই না। বরং আমরা আমাদের পৃথিবীকে আর সুন্দর দেখতে চাই। তাই আমাদের দায়িত্ব গাছের অপ্রয়োজনীয়’ নিধন থেকে বাঁচা এবং বেশি করে গাছ লাগানো। কারণ কাজ থাকলে আমরা থাকবো, গাছ থাকলে বেঁচে থাকবে এই সুন্দর পৃথিবী। তাই বলতে হয় গাছই জীবনের মূলস্রোত। তাই একটি গাছ একটি প্রাণ।

    See less
    • 2
  1. বাংলা-টাংলা - অপূর্ব দত্ত অ্যানুয়ালের রেজাল্ট হাতে বাড়ি ফিরল ছেলে মা বলল—কোন পেপারে কত নাম্বার পেলে ? হিস্ট্রিতে মম, এইটি ফোর, ম্যাথসে নাইন জিরাে, মা বলল—ফ্যান্টাস্টিক, জাস্ট লাইক এ হিরাে। সায়েন্সে ড্যাড, নট সাে ফেয়ার, ওনলি সিক্সটি নাইন, ইংলিশে জাস্ট নাইনটি টু, অলটুগেদার ফাইন। জিয়ােগ্রাফির পেপাRead more

    বাংলা-টাংলা – অপূর্ব দত্ত

    অ্যানুয়ালের রেজাল্ট হাতে বাড়ি ফিরল ছেলে
    মা বলল—কোন পেপারে কত নাম্বার পেলে ?
    হিস্ট্রিতে মম, এইটি ফোর, ম্যাথসে নাইন জিরাে,
    মা বলল—ফ্যান্টাস্টিক, জাস্ট লাইক এ হিরাে।
    সায়েন্সে ড্যাড, নট সাে ফেয়ার, ওনলি সিক্সটি নাইন,
    ইংলিশে জাস্ট নাইনটি টু, অলটুগেদার ফাইন।
    জিয়ােগ্রাফির পেপারে তাে হান্ড্রেডে হান্ড্রেড,
    ডুবিয়ে দিল বেংগলিটা ভেরি পুয়াের গ্রেড।
    ছেলের মাথায় হাত রেখে মা ঠোট বেঁকিয়ে বলে –
    নেভার মাইন্ড, বেংগলিটা না শিখলেও চলে।
    বাবা বলল–বেশ বলেছ বঙ্গমাতার কন্যে,
    বাংলা-টাংলা আমার মতাে অশিক্ষিতের জন্যে।
    বিদ্যাসাগর রবীন্দ্রনাথ নেহাৎ ছিলেন বােকা,
    না হলে কেউ শখ করে হয় বাংলা বইয়ের পােকা?
    মা বলল—চুপ করাে তাে, ওর ফল্টটা কিসে
    স্কুলে কেন বেংগলিটা পড়ায় না ইংলিশে ?

     

     

    In English font:

    Bangla Tangla

    Annual r result hate bari ferlo chele
    Maa bollo-Kuno paper e koto number pele?
    History te Mom, Eighty four, maths e nine zero,
    Maa bollo-fantastic Just like a hero.
    Science e dad not so fair, Only sixty nine,
    English e just ninety two, Altogether fine.
    geographyr paper to hundred e hundred
    Dubiye dilo Bengali ta very poor grade.
    Cheler mathay haat rekhe Maa thut bekiye bole-
    Never mind, Bengali ta na shikleo chole.
    Baba bollo-besh bolecho bongomatar konna,
    bangla tangla amar moto oshikkiter jone
    Vidyashagar Rabindranath nehat chilen buka,
    na hole keu shokh kore hoy bangla boier puka?
    Maa bollo, Chup kara to, Or fault ta kishe
    School e keno Bengali ta poray na English e?

    See less
    • 0
  1. আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন ভূমিকাঃ আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খেলাধুলার রয়েছে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, খো খো, টেনিস ইত্যাদি। প্রত্যেকে মানুষের নিজস্ব পছন্দের কোনোRead more

    আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন

    ভূমিকাঃ আমাদের সবার জীবনে খেলাধুলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেলাধুলা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখতে বড় ভূমিকা পালন করে। ভারত সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানা ধরণের খেলাধুলার রয়েছে, যেমন ক্রিকেট, ফুটবল, খো খো, টেনিস ইত্যাদি। প্রত্যেকে মানুষের নিজস্ব পছন্দের কোনো না কোনো খেলা রয়েছে।একইভাবে, আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন।

    ব্যাডমিন্টন খেলার ইতিহাসঃ ইতিহাস ঘাটলে জানা যায় যে ১৯ শতকের প্রথমে এই খেলাটি সর্বপ্রথম বৃটেনে আরম্ব হয়। জানা যায় ব্যাডমিন্টন ইংল্যান্ডের ডিউক অফ বিউফোর্টের বাড়ীতে প্রথম খেলা হয়। তবে এই খেলায় তখন কর্ক এর পরিবর্তে বল ব্যবহার করা হত। পরবর্তীকালে এর জন্য বিভিন্ন নিয়ম প্রণালী ঠিক করা হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষ ১৯৩৬ সালে এই খেলায় প্রথম যোগদান করে।

    ব্যাডমিন্টন খেলার মাঠ ও সরঞ্জামঃ ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য একটি আয়তকার মাঠের দরকার হয়। মাঠের মোট দৈর্ঘ ৪৪ ফুট বা ১৩.৪ মিঃ লম্বা থাকে এবং প্রস্থ ২০ ফুট বা ৬.১ মিঃ লম্বা হয়। মাঠটি একটি জাল বা (Net) দ্বারা সমভাগে দুইটি ভাগ করা থাকে।জালটি দুইপাশ দুইটি খুঁটি বা (post) এর সাহায্যে ঝুলানো থাকে।জালটির উচ্চতা মাটি থেকে ১.৫৫ মিঃ উঁচু হয় । সরঞ্জাম এর ক্ষেত্রে একটি র‌্যাকেট এবং একটি কর্ক এর দরকার হয়, যেগুলির ওজন খুবই হালকা থাকে।

    খেলার নিয়মাবলীঃ ব্যাডমিন্টন সাধারণত দুইজন করে প্রতিপক্ষের মধ্যে অনুষ্টিত হয়। অর্থাৎ মাঠের দুইপাশে দুই-দুই জন খেলোয়াড় থাকে। আবার কখনো একজন করেও প্রতিপক্ষের মধ্যেও অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাডমিন্টন খেলায় টেনিস এর মত পয়েন্টের সাহায্যে হার-জিত নির্ণয় করা হয়। এই খেলায় ছয়টি প্রধান শট রয়েছে, সেইগুলি হলো পরিবেশন বা সার্ভ , ক্লিয়ার, ড্রপ করুন, স্ম্যাশ, ব্যাকহ্যান্ড ড্রাইভ এবং ফোরহ্যান্ড ড্রাইভ।

    আমার প্রিয় খেলা হওয়ার কারণঃ ব্যাডমিন্টন আমার প্রিয় খেলা কারণ ইহা আমাকে সারা দিন সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে । ব্যাডমিন্টন খেলতে গতি, শক্তি এবং সঠিক নিশানার প্রয়োজন। তাই শারীরিক ও মানষিক চর্চার জন্য ব্যাডমিন্টন একটি অত্যন্ত উপযোগী খেলা যা সুস্থ রাখতে সাহায্য করে । তাই আমি যখন আমার বন্ধুদের সাথে ব্যাডমিন্টন খেলি, তখন আমি নিজেকে সারা দিন ধরে সতেজ ও শক্তিশালী বোধ করি।শরীর চর্চায় উপযোগী হওয়া ছাড়াও ব্যাডমিন্টন একটি উপভোগ্য খেলা, খেলাতে খেলোয়াড়দের মধ্যে পয়েন্ট অর্জন করার লড়াই আর উত্তেজনা খেলাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে ।

    ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টনঃ বর্তমানে ভারতবর্ষে ব্যাডমিন্টন একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিনত হয়েছে। বিশেষকরে শহরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে খেলার জন্য বড় মাঠের অভাব থাকার দরুন সবাই ইহা পছন্দ করে কারন ইহা বড় একটি ঘরের ভিতরেও খেলা যায়। তাছাড়া আন্তরজাতিক স্থরে অনেক খেলোয়াড় পেশাগত ভাবে ভারতের হয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। ২০১৬ সালে প্রথম ভারতের হয়ে পি ভি সিদ্ধু অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করে সিলভার পদক অর্জন করেন।

    উপসংহারঃ ব্যাডমিন্টন শুধুমাত্র একটি আনন্দদায়ক খেলা নয় বরং ইহা শারীরিক ও মানসিক চর্চার জন্য খুবই উপযোগী একটি খেলা। যাহা আমাদেরকে সতেজ ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই আমি ব্যাডমিন্টন খেলতে ভালোবাসি।

     

    See less
    • 0
  1. দিদি - শুভ দাশগুপ্ত তোর নতুন ফ্ল্যাট থেকে ঘুরে এসে মাকে বললাম সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে । তোর ঝকঝকে মোঝাইক মেঝে, ইমালশান লাগানো দেয়াল, আধুনিক ডাইনিং টেবিল, জানালা দরজায় ঝুলানো দামী পর্দা, এমনকি তোর ভ্যালকোলনিতে রাখা বাহারি পাতার টব, সব কিছুই বললাম মাকে । নগেন দত্ত লেনে আমাদের আলো বাতাসহীন একতলার ভাঙাRead more

    দিদি – শুভ দাশগুপ্ত

    তোর নতুন ফ্ল্যাট থেকে ঘুরে এসে
    মাকে বললাম সব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ।
    তোর ঝকঝকে মোঝাইক মেঝে, ইমালশান লাগানো দেয়াল,
    আধুনিক ডাইনিং টেবিল,
    জানালা দরজায় ঝুলানো দামী পর্দা,
    এমনকি তোর ভ্যালকোলনিতে রাখা বাহারি পাতার টব,
    সব কিছুই বললাম মাকে ।
    নগেন দত্ত লেনে আমাদের আলো বাতাসহীন
    একতলার ভাঙা ঘরে বসে
    মাকে সব শুনলেন চোখ বুজে
    শুনতে শুনতে মার মুখে ফুটছিল হাসি আর
    চোখে আসছিল জল ।

    তোর ব্যালকোলনিতে দাঁড়ালে ছড়িয়ে থাকা শহরটাকে
    অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যায়,
    বসবার ঘরের দেয়ালে নতুন কেনা
    একটা সুন্দর পেইন্টিং
    ঘরটাকে কি গাম্বীর্যে ভরিয়ে তুলেছে
    এ সব কিছুই মাকে বললাম ।
    চোখ বুজে শুনতে শুনতে মার মুখে
    ফুটে উঠছিল হাসি, আর
    চোখে আসছিল জল ।

    তোর চেহারাটা আগের চেয়ে অনেক ঝকঝকে
    সুন্দর হয়ে গেছে, ফর্সা হয়ে গেছিস অনেকটা ।
    যদিও তোর হাসিটা আছে ঠিক ছেলেবেলারই মতো ।
    জামাইবাবুর মুখে শুনলাম সামনের পূজোয়
    তোরা নাকি একেবারে পুরো দক্ষিণ ভারতটাই
    বেড়িয়ে আসবি।

    মা নগেন দত্ত লেনের ভাঙা চোরা ঘরে বসে
    এই সব শুনতে শুনতে হাসছে আর , কেন জানিনা
    মার চোখে এসেছে জল…!!
    সব কিছুই বলেছি দিদি,
    শুধু তোর ডাইনিং স্পেসে রাখা দুধ সাদা রংয়ের
    ঐ ফ্রিজটার কথা মাকে বলিনি ।

    তোর বিবাহ বার্ষিকির উজ্জ্বল সন্ধ্যায়, তুই যখন
    গা ভর্তি গয়নায় অপরূপা হয়ে
    ফ্রিজের মাথায় হাত রেখে হাসছিলি,
    তখন যে তোকে কি দারুণ সুন্দর লাগছিল-
    মাকে বলিনি সে কথাও ।

    বিবাহ বার্ষিকির সন্ধ্যায় তোদের আনন্দ উজ্জ্বল
    এপার্টমেন্টে তুই আর জামাইবাবু যখন ঐ
    ফ্রিজটার পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে
    মালা বদল করছিলি
    বাবুদের রসিক বন্ধুদের অনুরোধে
    আর ক্যামেরা ফ্ল্যাস ঝিলিক দিয়ে উঠছিল
    উপচে পড়া খুশির মতো-
    তখন ঠিক তখনি দিদি
    আমার চোখের সামনে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল
    হাসপাতালের করিডোরে বাবার ভেঙে পড়া মুখ ।
    ভেতরে মা তখন অপারেশনের পর অচৈতন্য ।
    ডাক্তার এসে বাবাকে বললেন
    চোখটা বোধহয় আর বাচানো গেলনা, তাও একবার
    চেষ্টা করে দেখতে পারেন-মাদ্রাজে – যদিও সে অবশ্য
    অনেক টাকার ব্যাপার ।
    হাড়ি কাঠে আটকে পড়া অসহায় পশুর মতো
    করুণ দেখাচ্ছিল তখন বাবার মুখটা ।
    সিড়ি দিয়ে আসতে আসতে বাবা
    আমার কাধে হাত রেখে বলেছিলেন
    কমলাকে সারা জীবন শুধু দুঃখ কষ্টই দিলাম,
    সুখ দিতে পারলাম না ।
    আজ ওর চোখ দুটোও চলে গেল ।
    সবই আমার কপাল ।”

    দিদি
    অনেক দর-দস্তুর চাপা-চাপির পর
    তোর বিয়েটা যখন আরো কয়েক ভরি সোনা আর
    একটা ফ্রিজের দাবীতে
    জন্য আটকে পড়েছিল অনিশ্চয়তার ঘুরটোপে
    বাবা তখন কাউকে না জানিয়ে
    চড়া সুদে ধার করেছিলেন
    অনেক টাকা ।
    সামান্য মাইনের প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করা বাবা
    বেঁচে থাকতে থাকতে অন্তত একটা মেয়েকে পার করার
    দূরন্ত আশায় ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটা।
    চোখের জল আর রজনীগন্ধার সৌরভকে পিছনে ফেলে
    তুই চলে গেলি ।
    পড়ে রইলাম আমরা, মা আর আমি। আর
    পড়ে রইলো নগেন দত্ত লেনের অন্ধকার ঘরে
    বাড়তে থাকা সুদের বোঝার চাপে তলিয়ে যাওয়া
    একটা সৎ মানুষ
    তোর বাবা, আমার বাবা ।

    দিদি
    তোর গা ভর্তি গয়না আর ঐ দুধ সাদা ফ্রিজটার কথা
    মাকে বলা হয়নি কিছুতেই ।
    দৃষ্টিশক্তি খুইয়ে বসা মাকে বাবা বলেননি কিছুই ।
    শুধু অসহায়ের মতো খুঁজেতেন
    মার মুখে একটু হাসি
    বড় মেয়ের ভালো ঘরে বিয়ে হওয়ার একটু তৃপ্তি ।
    সে হাসি খুঁজতে খুঁজতে ক্লান্ত বাবা চলে গেছেন ।
    এখন নগেন দত্ত লেনের ভাঙা ঘরে বসে
    মা আর আমি আনন্দেই আছি ।
    একটা আনন্দই বোধহয় সবচেয়ে বড় –
    এ বাড়িতে আর কোনোদিন সানাই বাজবে না সাহানায়
    সানাই, রাজনীগন্ধা, বেনারসি, হৈচৈ এসব
    অপ্রাসঙ্গিক হয়ে থেকে যাবে
    চিরকাল।

    See less
    • 0
  1. আমিই সেই মেয়ে- কবিতা সিংহ আমিই সেই মেয়েটি সেই মেয়ে যার জন্মের সময় কোন শাঁখ বাজেনি জন্ম থেকেই যে জ্যোতিষীর ছঁকে বন্দী যার লগ্ন রাশি রাহু কেতুর দিশা খোঁজা হয়েছে না, তার নিজের জন্য নয় তার পিতার জন্য আর ভাই এর জন্য তার স্বামীর জন্য তার পুত্রের জন্য কিন্তু যার গর্ভ থেকে আমার জন্ম সেই মায়ের কথা বলেনRead more

    আমিই সেই মেয়ে- কবিতা সিংহ

    আমিই সেই মেয়েটি সেই মেয়ে
    যার জন্মের সময় কোন শাঁখ বাজেনি
    জন্ম থেকেই যে জ্যোতিষীর ছঁকে বন্দী
    যার লগ্ন রাশি রাহু কেতুর
    দিশা খোঁজা হয়েছে না, তার নিজের জন্য নয়
    তার পিতার জন্য আর ভাই এর জন্য
    তার স্বামীর জন্য তার পুত্রের জন্য
    কিন্তু যার গর্ভ থেকে আমার জন্ম
    সেই মায়ের কথা বলেনি কেউ।

    আমিই সেই মেয়েটি সেই মেয়েটি
    যে জন্ম থেকেই বিবাহের
    জন্য বলি প্রদত্ত
    যার বাইরের চেহারা
    চোখ – নাক-মুখ- ত্বক- চুল – রঙ
    নিয়েই দর কষাকষি
    কাল না ফর্সা
    খাঁদা না টিকালো
    লম্বা না বেঁটে
    খুতখুতে না টানা টানা
    যার মাথার বাইরেটা নিয়েই সকলের ভাবনা
    মাথার ভিতরটা নিয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই
    আমিই সেই মেয়েটি যে ছোটবেলা থেকে শুনেছে
    জোরে জোরে কথা বলতে নেই
    ছুটতে নেই -চেঁচাতে নেই- হাসতে নেই
    এমন কি কাঁদলেও তা লুকিয়ে লুকিয়ে

    আমিই সেই মেয়েটি যাকে বলতে নেই –
    খিদে পেয়েছে – ঘুম পেয়েছে – ইচ্ছে করছেনা-
    ক্লান্ত লাগছে -আর পারছিনা — আর পারছিনা।
    আমিই সেই মেয়েটি খেলার জন্য যার
    হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুতুল
    পুতুলের আদল পাবার জন্য
    পুতুলের সংসার বানাবার জন্য।

    আমিই সেই মেয়েটি যে গত কোন
    শতাব্দী তে পাঁচ বছর বয়সে মালা দিয়েছে –
    গঙ্গা যাত্রীর গলায়
    কুলীন ব্রাম্মন এর তিনশো পঁয়ষট্টি তম স্ত্রীর
    অন্যতমা হয়ে স্বামীর গরবে হয়েছি গরবিনী
    একাদশীর দিন অবুজ দশমীর বালিকার তৃষ্ণায় –
    আটক ঘরের মাটি লেহন করতে করতে প্রান ত্যাগ করেছি
    সন্তানের পর সন্তান জন্ম দিতে দিতে যন্ত্রণায়
    মুখ থুবড়ে পরেছি সূতিকাগারে
    জ্বলে পুড়ে মরেছি সতীদাহে।

    আমি বুঝতে পারিনি যে চাকরীর জায়গায়
    নিজের কাজের কুশলতা দেখাতে নেই
    আমি বুঝতে পারিনি যে আমার প্রেমিককে
    তার প্রেম পত্রের বানান ভুল গুল ধরিয়ে দেওটাই
    আমার ভুল হয়ে ছিল
    আমি বুঝতে পারিনি আমি যদি কবি হতে চাই
    আমার বন্ধুরা বলবে ”ওটা কবিতা হয়নি পদ্য হয়েছে”

    আমি বুঝতে পারিনি যে বিংশ শতাব্দীর শেষ সীমানায় এসে দাড়িয়েও
    এইপুরুষ শাসিত সমাজ বুদ্ধিমতিদের জন্য অপ্রস্তুত
    আমি সেই মেয়েটি যে দেখেছে একটি নারী
    কেমন করে নিছক মেয়েছেলে বনে যায়
    চরিত্রের উলটো দিকে হেঁটে যায় সফল স্বামীদের গিন্নীরা
    শিক্ষার চেয়ে উজ্জলতা পায় বেনারসি সাড়ীর ফুলকি
    বুদ্ধির চেয়ে দিপ্তিমান হয়ে ওঠে অন্ধকারে হীরা পান্না

    আমি সেই মেয়েটি জানেন আমি সেই মেয়েটি
    যে জীবনের কয়েকটি বছর ভুলের পরে ভুল
    পুনরুপি ভুল করে চলেছি
    অন্ধকারের দিনে ফিরতে পারিনা বলেই কি
    আমি অপমানের জলন্ত কয়লার উপর দিকে হেঁটে যেতে চাই
    যেতে চাই দুঃখের দিকে
    আমি প্রনাম জানাই সেই প্রথম আগুনকে
    যার নাম বর্ণপরিচয়
    সেই অগ্নি সুদ্ধ পরম্পরাকে সেইসব পুরুষ রমণীকে
    যারা উনবিংশ শতাব্দীর অন্ধকারের হাতলে জ্ঞানের আলো জ্বালিয়ে
    এক জন্মে আমাকে জন্ম জন্মান্তরের দরজা খুলে দিয়েছে।

    আমি আজ প্রেমের জন্য ফেলে যাচ্ছি আরাম-
    শোকার্জিত শাকান্নের জন্য ফেলে যাচ্ছি ক্রীতদাসের চর্ব্যচোষ্য
    জেগে থাকার জন্য ফেলে যাচ্ছি ভাত ঘুম,
    যন্ত্রণার জন্য ফেলে যাচ্ছি সুখ –
    জ্ঞানের জন্য ফেলে যাচ্ছি অন্ধতা
    আনন্দের জন্য ফেলে যাচ্ছি সাফল্য
    অমৃতের জন্য ঐশ্বর্য।
    আমার হাতে জ্বলছে দিশারীদের শিক্ষার মহান আগুন

    আমিই সেই মেয়েটি———
    আপনারা নিজের দর্পণে দেখে আমাকে চিনুন
    আমাকে চিনুন – আমাকে চিনুন।।

     

     

    English Transliteration: 

     

    Ami Shei Meyeti, Shei meye
    jar jonmer shomoy kono shakh bajeni
    Jonmo thekei je Jyotishir choke bondi
    jar logno rasi rahu ketur
    Disha Khuja hoyeche na, tar nijer jonno noy
    Tar pitar jonno r bhai er jonno
    tar shamir jonno r putrer jonno
    Kintu jar gorvo theke amar janma
    Shei mayer kotha boleni keu.

    Ami Shei Meyeti, Shei meyeti
    Je janma thekei bibaher
    Jonno bole prodotto
    jar bairer chehara
    chok-Nak-mukh-tak-chul-rang
    Niyei dor koshakoshi
    kalo na forsha
    Khada na tikalo
    lomba na bete
    khutkhute na tantana
    jar mathar baireta niyei shokoler bhabona
    mathar vitorta niye kar o kuno matha byatha nei

    Ami shei meyeti je chotobela theke shuneche
    Jore jore kotha bolte nei
    Chutte nei-chechate nei-hashte nei
    Emonki kadleo ta lukiye lukiye
    Ami shei meyeti jake bolte nei
    Khide peyeche-ghum peyeche-icche korchena
    Klanta lagche-aar parchi na- r parchi na

    Ami Shei Meyeti khelar jonno jar
    haate tule dewa hocche putul
    Putuler aadol pawar jonno
    Putuler shonshar banabar jonno

    Ami Shei Meyeti Je goto kono
    shotabdi te panch bachar boyoshe mala diyeche
    Ganga jatrir golay
    Kulin Brahmaner tin sho poyshotti tama strir
    Onnotama hoye shamir garabe hoyechi garabini
    ekadashir din abuj dashamir balikar trishnay
    aatak ghorer mati lehon korte korte pran tyag korechi
    Shontaner par shantan janma dite dite jantronay
    Mukh thubre porechi shutikagare
    Jole pure morechi shotidahe.

    Ami bujhte parini je charir jaygay
    Nijer kajer kushalata dekhate nei
    Ami bujhte parini je amar premik ke
    Tar prem potrer banan bhulgulo dhoriye dewatai
    Amar bhul hoyechilo
    Ami bujhte parini ami jodio kobi hote chai
    Amar bandura bolbe “ota kobita hoini podyo hoyeche”
    Ami bujhte parini je bingsho shotabdir shesh shimanay eshe dariye o
    Ei purush shashito shomaj buddhimatider jonno oprastut

    Ami shei meyeti je dekheche ekti naari
    kemon kore nisok meyechele bone jay
    Charitrer ulto dike hete jay shofol shamider ginnira
    Shikkhar cheye ujjolota pay benarashi sharir fulki
    Buddhir cheye diptoman hoye uthe ondhokare hira panna

    See less
    • 0
  1. আমিই সেই মেয়ে (শুভ দাশগুপ্ত) আমিই সেই মেয়ে। বাসে ট্রেনে রাস্তায় আপনি যাকে রোজ দেখেন যার শাড়ি, কপালের টিপ কানের দুল আর পায়ের গোড়ালি আপনি রোজ দেখেন। আর আরও অনেক কিছু দেখতে পাবার স্বপ্ন দেখেন। স্বপ্নে যাকে ইচ্ছে মতন দেখেন। আমিই সেই মেয়ে। বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে দিনের আলোয় যার ছায়া মাড়ানো আপনার ধর্মে নRead more

    আমিই সেই মেয়ে (শুভ দাশগুপ্ত)

    আমিই সেই মেয়ে।
    বাসে ট্রেনে রাস্তায় আপনি যাকে রোজ দেখেন
    যার শাড়ি, কপালের টিপ কানের দুল আর পায়ের গোড়ালি
    আপনি রোজ দেখেন।
    আর
    আরও অনেক কিছু দেখতে পাবার স্বপ্ন দেখেন।
    স্বপ্নে যাকে ইচ্ছে মতন দেখেন।
    আমিই সেই মেয়ে।

    বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামে দিনের আলোয় যার ছায়া মাড়ানো
    আপনার ধর্মে নিষিদ্ধ, আর রাতের গভীরে যাকে বস্তি থেকে
    তুলে আনতে পাইক বরকন্দাজ পাঠান আপনি
    আর সুসজ্জিত বিছানায় যার জন্য অপেক্ষায় অধীন হয়
    আপনার রাজকীয় লাম্পট্য
    আমিই সেই মেয়ে।

    আমিই সেই মেয়ে- আসামের চাবাগানে ঝুপড়ি কামিন বস্তি থেকে
    যাকে আপনি নিয়ে যেতে চান সাহেবি বাংলোয় মধ্যরাতে
    ফায়ার প্লেসের ঝলসে ওঠা আলোয় মদির চোখে দেখতে চান
    যার অনাবৃত শরীর
    আমি সেই মেয়ে।

    রাজস্থানের শুকনো উঠোন থেকে পিপাসার জল আনতে যাকে আপনি
    পাঠিয়ে দেন দশ মাইল দূরে সরকারি ইঁদারায়- আর কুড়ি মাইল
    হেঁটে কান্ত বিধ্বস্ত যে রমণী ঘড়া কাঁখে ঘরে ফিরলেই যাকে বসিয়ে দেন
    চুলার আগুনের সামনে আপনার রুটি বানাতে
    আমিই সেই মেয়ে।

    আমিই সেই মেয়ে- যাকে নিয়ে আপনি মগ্ন হতে চান গঙ্গার ধারে কিংবা
    ভিক্টোরিয়ার সবুজে কিংবা সিনেমা হলের নীল অন্ধকারে, যার
    চোখে আপনি একে দিতে চান ঝুটা স্বপ্নের কাজল আর ফুরিয়ে যাওয়া
    সিগারেটের প্যাকেটের মত যাকে পথের পাশে ছুঁড়ে ফেলে আপনার ফুল সাজানো
    গাড়ি শুভবিবাহ সুসম্পন্ন করতে ছুটে যায় শহরের পথে-
    কনে দেখা আলোর গোধুলিতে একা দাঁড়িয়ে থাকা
    আমিই সেই মেয়ে।

    আমিই সেই মেয়ে- এমন কি দেবতারাও যাকে ক্ষমা করেন না। অহংকার
    আর শক্তির দম্ভে যার গর্ভে রেখে যান কুমারীর অপমান
    আর চোখের জলে কুন্তী হয়ে নদীর জলে
    বিসর্জন দিতে হয় কর্ণকে। আত্মজকে।
    আমিই সেই মেয়ে।

    সংসারে অসময়ের আমিই ভরসা।
    আমার ছাত্র পড়ানো টাকায় মায়ের ওষুধ কেনা হয়।
    আমার বাড়তি রোজগারে ভাইয়ের বই কেনা হয়।
    আমার সমস্ত শরীর প্রবল বৃষ্টিতে ভিজতে থাকে।
    কালো আকাশ মাথায় নিয়ে
    আমি ছাতা হয়ে থাকি।
    ছাতার নিচে সুখে বাঁচে সংসার।

    আপনি
    আপনারা
    আমার জন্য অনেক করেছেন।
    সাহিত্যে কাব্যে শাস্ত্রে লোকাচারে আমাকে
    মা বলে পুজো করেছেন।
    প্রকৃতি বলে আদিখ্যেতা করেছেন- আর
    শহর গঞ্জের কানাগলিতে
    ঠোঁটে রঙ মাখিয়ে কুপি হাতে দাঁড় করিয়েও দিয়েছেন।
    হ্যা, আমিই সেই মেয়ে।
    একদিন হয়ত
    হয়ত একদিন- হয়ত অন্য কোন এক দিন
    আমার সমস্ত মিথ্যে পোশাক ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে
    আমিই হয়ে উঠবো সেই অসামান্যা !
    খোলা চুল মেঘের মত ঢাকবে আমার খোলা পিঠ।
    দু চোখে জ্বলবে ভীষণ আগুন।
    কপাল-ঠিকরে বেরুবে ভয়ঙ্কর তেজরশ্মি।
    হাতে ঝলসে উঠবে সেই খড়গ।
    দুপায়ের নুপুরে বেজে উঠবে রণদুন্দভি।
    নৃশংস অট্টহাসিতে ভরে উঠবে আকাশ।
    দেবতারাও আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে বলতে থাকবেন
    মহামেঘপ্রভাং ঘোরাং মুক্তকেশীং চতুর্ভুজাং
    কালিকাং দক্ষিণাং মুণ্ডমালা বিভুষিতাং।

    বীভৎস দাবানলের মত
    আমি এগোতে থাকবো ! আর আমার এগিয়ে যাবার পথের দুপাশে
    মুণ্ডহীন অসংখ্য দেহ ছটফট করতে থাকবে-
    সভ্যতার দেহ
    প্রগতির দেহ-
    উন্নতির দেহ-
    সমাজের দেহ

    হয়ত আমিই সেই মেয়ে ! হয়ত ! হয়ত বা।

    English Transliteration:

    Ami shei meye
    Bus e train rastay aapni jake roj dekhen
    Jar Shari, Kopaler tip kaner dul aar payer gorali
    aapni roj dekhen
    Aar
    Aar o onek kichu dekhte parar shopno dekhen
    Shopne jake icche moton dekhen.
    Ami shei meye
    Biharer protontyo grame diner aaloy jar chaya marano
    Apnar dhorme nishiddo, r rater ghovire jake basti theke
    tule aante paik barkondaz pathan aapni
    Aar shushojjito bichanay jar jonno opekkhay odhin hoy
    Apnar rajokiyo lampottyo
    Ami e shei meye
    Ami e shei meye- Assamer chabagane Jhupri kamin basti theke
    Jake aapne niye jete chan shahebi bangloy moddorate
    Fiar Placer jholshe utha aaloy modir chokhe dekhte chan
    Jar onabrito shorir
    Ami Shei meye.
    Rajastaner shukno uthon theke pipashar jol aante jake aapni
    Pathiye den dash mile dure shorkari idaray- Aar kuri mile
    Hete klanto biddasto je ramani ghora kake ghore firlei jake bashiye den
    Chulkar aaguner shamne apnar roti banate
    Ami e shei meye.
    Ami e shei meye- jake niye aaoni magna hote chan gangar dhare kingba
    Vitoriar shabuje kingba Cinema haller nil ondokarte, jar
    Chokhe aapni jhuta shopner kajol aar furiye jawa
    Cigarater packeter moto jake pather pashe chure kele aapnar ful shajano
    Gari shuvobibaho shushamponno korte chute jay shohorer pothe
    kone dekha aalor gudhulite Eka dariye thaka
    Ami e shei meye
    Ami e shei meye- Emon ki debotarao jake khoma koren na. Ahankar
    Aar shaktir dambhe jar garbe rekhe jan kumarir opman
    Aar chokher jole kunti hoye nadir jole
    bishorjon dite hoy karnake. Aattajke
    Ami e shei meye
    Shongshare oshomoyer aami e bhorosha.
    Amar chatro poranor takay mayer oshudh kena hoy.
    amar barti rojgaare bhai er boin kena hoy.
    Amar shomosto shorir bristite vijte thake
    Kalo aakash mathay niye
    Ami chata hoye thaki.
    chatar niche shukhe bache shongshar
    Aapni
    Apnara
    Amar jonno onek korechen
    Shahitte kabbe shastre lokachare amake
    Maa bole pujo korechen
    Prokriti bole aadikhetto korechen-Aar
    Shahar ganjer kanagalite
    Thote rang makhiye kupi haate dar koriyeo diyechen.
    Ha Ami shei meye.
    Ekdin hoyto- onno kono ek din
    Amar shomosto pushak chure fele diye
    Ami e hoye uthbo shei oshamanno!
    Khola chul megher moto dhakbe amar khula pith
    Du chokhe jolbe vishan aagun.
    Kopal-thikre berube voyonkar tejrashmi
    Haate jolshe uthbe shei khargo
    Du payer nupure beje uthbe randundavi
    Nrishansho ottohashite bhore uthbe aakash.
    Debotara o aatonke shabda hoye bolte thakben
    Mohameghprobang ghorang muktokeshing chaturbhujang
    kalikang dokkinang munndomala bhibushitang.
    bibhotsho dabanoler moto
    ami egote thakbo! Aar amar egiye jawar pather dupashe
    Munduhin oshonkhyo deho chotfot korte thakbe-
    Shovhotar deho
    Pragatir deho
    Unnatir deho
    Shomajer deho
    hoyto ami shei meye! hoyto! hoyto ba!

    See less
    • 0
  1. বেহালার ছেলেটা - সুবোধ সরকার বেহালা কোনও গ্রাম নয়। বেহালা কোনও উপত্যকা নয়। বেহালা কোনও শহর নয়। বেহালা কোনও আঙুরখেত নয়। রাত সাড়ে দশটায় নক্ষত্রের আলোয় ট্রামভর্তি লোক। রাত এগারোটায় খিদিরপুরের দিক থেকে পাঁচখানা ৩৭ নম্বর ছুটে আসছে গোটা খিদিরপুর নিয়ে। রাত বারোটায় ডায়মন্ডহারবার রোড চলতে শরু করল। ডায়মন্ডহারRead more

    বেহালার ছেলেটা – সুবোধ সরকার

    বেহালা কোনও গ্রাম নয়।
    বেহালা কোনও উপত্যকা নয়।
    বেহালা কোনও শহর নয়।
    বেহালা কোনও আঙুরখেত নয়।
    রাত সাড়ে দশটায় নক্ষত্রের আলোয় ট্রামভর্তি লোক।
    রাত এগারোটায় খিদিরপুরের দিক থেকে পাঁচখানা ৩৭ নম্বর
    ছুটে আসছে গোটা খিদিরপুর নিয়ে।
    রাত বারোটায় ডায়মন্ডহারবার রোড চলতে শরু করল।
    ডায়মন্ডহারবার রোড কীর্তিনাশার মতো ছড়িয়ে পড়ল ভারতবর্ষে।
    কয়েক হাজার মাইল দূরে বেহালার ছেলেটা ব্যাট করছে এখন।
    শান্ত কিন্তু রাগী
    স্থির কিন্তু তেজী
    সমাহিত কিন্তু ছটফটে
    ‘মা, দেখ, কী সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে’।
    কে বলল কথাটা?
    আমি
    কে আমি? তারাতলায় থাকো।
    না, আমি রাজারহাটে থাকি, আমি বারাসতে থাকি
    আমি বহরমপুর, আমি বালুরঘাট, আমি কুচবিহার।
    রাত্রি সাড়ে বারোটা। আকাশ থমথমে। ভারতবর্ষের আকাশ
    চিরকালই থমথমে। জ্যোৎস্নায় ভরে গেছে ভারতবর্ষ
    গরীবের ভারত, অভিজাতের ভারত, দলিত ভারত।

    একটা দুরন্ত ছয় মারল ছেলেটা।
    জ্যোৎস্না পার হয়ে বলটা গিয়ে পড়ল আসামের জঙ্গলে,
    সেখানে তিনজন টেররিস্ট বসে আছে সাইনাইড খাবে বলে
    তিনজনই লাফিয়ে উঠল, আঃ মৃত্যু! দাঁড়াও!
    আর একটা ছয় দেখে যেতে চাই
    জ্যোৎস্না পার হয়ে, পার হয়ে, বল এসে পড়ল এবার
    বম্বের ধারাভিতে-এশিয়ার সবচেয়ে বড় বস্তি
    তিনজন মারামারি করছিল রুটি তরকা নিয়ে,
    থেমে গেল। জোয়ারের মত বেরিয়ে গেল গোটা ঝোপড়ি
    খেতে-না-পাওয়া জ্যোৎস্নায় থমকে দাঁড়ানো ভারতবর্ষ।
    জ্যোৎস্না পার হয়ে বল এসে পড়ল আহমেদাবাদে
    বল জিজ্ঞেস করল, তোমরা কাকে পুড়িয়ে মারছ?
    বল এসে পড়ল শ্রীনগরে,বল জিজ্ঞেস করল :
    কী হয়েছে তোমাদের, এত বছর ধরে
    একই ভুল করে চলেছ তোমরা?
    মা, দেখ কী সুন্দর দেখাচ্ছে আমাদের ছেলেটাকে!
    কে? কে বলল কথাটা?
    আমি? আমি কে?
    আমি ধর্ম, আমি অধর্ম, আমি ব্রাহ্মণ, আমি মেথর,
    আমি রাস্তা ঝাঁট দিই, আমি ইটভাটায় ইট তুলি
    আমি কলেজে পড়ি, আমি জেলখানায়
    আমি মাঠে, আমি বস্তিতে, আমি বারোতলায় …
    আমাকে চিনলে না ?
    আমি ভারতবর্ষ।

    ট্রামলাইন চলে গেছে গরিবের ঘর ছুঁয়ে
    অনন্ত নক্ষত্রে ঘেরা ওটাই বেহালা, ওটাই ওর পাড়া
    বিদ্যুৎবেগে একটা বল ছুটে যাচ্ছে বাউন্ডারির বাইরে
    গ্যালারি নয়, গোটা ভারত বর্ষ উঠে দাঁড়িয়েছে এত রাতে
    ধর্ম ভুলে, জাতি ভুলে, দাঙ্গা ভুলে
    বলটা কোথায় গিয়ে পড়ল একটু দেখবে বলে।

     

     

    English transliteration:

     

    Behala kuno gram noy.
    Behala kuno upottoka noy.
    Behala kuno shohor noy.
    Behala kuno angurkhet noy.
    Raat share doshtay nokkhotrer aaloy tram bhorti lok
    Raat egarotay Khidirpurer dik theke pachkhana 37 number
    Chute aashche khidirpur niye.

    Raat batrotay Dimond harbour road cholte shuru korlo.
    Dimond harbour road kirtinashar moto choriye porlo bharatbarshe.
    Koyek hajar mile dure Behalar cheleta bat korche ekhon
    Shanto kintu raagi
    Stir kintu tyaji
    Shomahito kintu chotfote
    Maa, dekh, ki shundor dekhacche amader cheletake.
    Ke bollo kothata?
    aami
    Ke aami? taratolay thako.
    Na, ami rajarhaate thaki, ami barasat e thaki
    Ami Bohorampur, am i Balurghat, ami Coachbehar
    ratri share barota.Aakash thomthome.bharatborsher aakash
    chirokal e thomthome. Josnay bhore geche Bharatbarsha
    Goriber Bhartat, Obhijater Bharat, Dalit Bharat

    Ekta duronto choy marlo cheleta.
    Josna par hoye ballta giye porlo Assamer jongole,
    Shekhane tinjon terrorist boshe aasche signboard khabe bole
    tinjon lafiye uthlo, Aah mrittu| Darao!
    Aar ekta choy dekhe jete chai
    Josna par hoye, par hoye, ball eshe porlo ebar
    Bomber Dharavite-Asia r shobcheye boro basti
    tinjon maramari korchilo roti torka niye,
    theme gelo. jowarer moto beriye gelo guta jhopri
    Khete na pawa josnay thamke darano Bharatbarsha

    Josna par hoye ball eshe porlo ebar Ahmedabad e
    ball jiggesh karlo tumra kake puriya marcho?
    ball eshe porlo Srinagar e, ball jiggesh karlo:
    Ki hoyeche tumader eto bochor dhore
    Eki bhul kore cholecho tumara?

    Maa, dekh, ki shundor dekhacche amader cheletake.
    Ke? ke bollo kothata?
    aami? ami ke?
    Ami dharma, ami odharma, ami Brahman,ami Methor
    Ami rasta jhat di, Ami It vatai it tuli
    Ami cllege e pori, ami jailkhanay
    Ami mathe, ami bastite, ami barotolay
    Amake chinle na?
    Ami Bharatbarsha

    Tram line chole geche goriber ghar chuye
    ononto nokkhotre ghera otai behala, otai or para
    Bidyut bege ekta ball chute jacche boundarir baire
    Gallary noy, Guta Bharatbarsha uthe dariyeche eto raate
    dharma bhule, Jati bhule, danga bhule
    Ball ta kuthay giye porlo ektu dekhbe bole.

    See less
    • 0
  1. This answer was edited.

    [caption id="attachment_2442" align="alignleft" width="410"] আমার নাম ভারতবর্ষ (অমিতাভ দাশগুপ্ত )[/caption]

    আমার নাম ভারতবর্ষ (অমিতাভ দাশগুপ্ত ) Amar Naam Bharatbarsha by Amitabha Dasgupta lyrics

    আমার নাম ভারতবর্ষ (অমিতাভ দাশগুপ্ত )

    See less
    • 0
  1. ভারতবর্ষ - দেবেশ ঠাকুর ভারতবর্ষ মানে কোন আর্ট পেপারে আঁকা জলরঙের মানচিত্র নয় ভারতবর্ষ মানে শুধু হর্ষবর্ধন কিংবা বাবরের বিজয়বার্তা নয় ভারতবর্ষ মানে বিজয়সিংহের সিংহল জয়ের ফ্যাসিষ্ট গৌরবগাথা নয় ভারতবর্ষ মানে শুধু মীনাক্ষীপুরম কিংবা জামা মসজিদ নয় ভারতবর্ষ মানে নেহেরুজির বংশানুবৃত্তি কিংবা জিন্নাসাহেবেরRead more

    ভারতবর্ষ – দেবেশ ঠাকুর

    ভারতবর্ষ মানে কোন
    আর্ট পেপারে আঁকা জলরঙের মানচিত্র নয়
    ভারতবর্ষ মানে শুধু
    হর্ষবর্ধন কিংবা বাবরের বিজয়বার্তা নয়
    ভারতবর্ষ মানে
    বিজয়সিংহের সিংহল জয়ের ফ্যাসিষ্ট গৌরবগাথা নয়
    ভারতবর্ষ মানে শুধু
    মীনাক্ষীপুরম কিংবা জামা মসজিদ নয়
    ভারতবর্ষ মানে নেহেরুজির বংশানুবৃত্তি
    কিংবা জিন্নাসাহেবের অলিখিত শ্বেতপত্র নয়

    ভারতবর্ষ মানে এক ভালবাসা
    আমার তোমার শব্দের সঙ্গীতের জীবনের আকাশের মাটির
    আমাদের প্রাইমারি স্কুলে
    কলু খাঁ সাহেব
    সাদা দাড়ি মাথায় ফেজ
    ড্রিল করাতেন আমাদের – ডান বাঁ – ডান বাঁ-
    সস্নেহে সতর্ক করতেন, বাপা সকল
    পা আর হাত মিলিয়ে মিলিয়ে ফেল
    কলু খাঁ সাহেবের গোরের মাটিতে
    আজ ফেরেস্তার হাসি
    ভারতবর্ষের চেরাগ হয়ে জ্বলছে

    বদ্রু মিঞার হাতের কর্ণিকে
    শিবমন্দিরের গায়ে কত ফুল কাটা
    আর তার জোগাড়ে হয়ে
    মশলা মাখছে ঈশান বাউরি
    নিয়ামত সেখ আর গোকুল মাহাতো
    এক পাটাতনে ধান ঝাড়ে
    সোনালি গোবিন্দভোগে
    খামারে ঠিকরে পরে সোনালি আলো

    পদন মাঝি দাঁড় টানতো যুবতী গঙ্গায়
    বৈঠা ধরত হোসেনুর মাঝি
    -সামলে চলো মাঝি,ছামুতে কাঁচা খাকির গাঙ
    চো্রাবালির চর আর
    ঘূর্ণিজলার ঘাট
    আমার ভারতবর্ষে কোন গেরুয়া রাজনীতিবিদ কিংবা
    ইমামের নির্দেশিকা নেই
    এখানে কোন সংহিতা – হাদিশ ছাড়াই
    কোজাগরি চাঁদের অকৃপণ আলো পড়ে ইদগা-র উপর
    আর রমজানী চাঁদ তুলসিমঞ্চের গায়ে
    পূর্ণ আলো দেয়

    আমার ভারতবর্ষ মানে
    রবি ঠাকুরের মধ্যে নজরুল
    রবিশঙ্কর আর আলি আকবের যুগলবন্দি
    গণেশ পাইন আর মকবুল ফিদার রঙিন ছবি
    আমার ভারতবর্ষ মানে
    লালন ফকিরের গান
    আমার ভারতবর্ষে আমি শুনেছি
    মহম্মদ রফির সঙ্গে লতার ডুয়েট
    দেখেছি পাল্লা দিয়ে আজহারের সঙ্গে সচিনের দৌড়
    খেলার মাঠের প্রান্তে দাঁড়িয়ে শুনেছি
    নঈমউদ্দিনের তদারকি চিৎকার-
    ‘বিজয়ন- আকিল- কুলজিৎ – বাইচুং-
    মাঠটাকে আরও বড়ো কর’ –

    মাঠ দিন দিন ছোট হয়ে যাচ্ছে
    মাঠটাকে আরও বড়ো করা দরকার

    অনেক অনেক বড়ো…

    English Transliteration:

    Bharatbarsha mane kuno
    Art paper e aaka jolronger manchitro noy
    Bharatbarsha mane shudhu
    harshabordhon kingba babarer bijoybarta noy
    Bharatbarsha mane
    Bijoy shingher shinghol joyer fascist gaurav gatha noy
    Bharatbarsha mane shudhu
    Meenakhhimpur kingba jama masjid noy
    Bharatbarsha mane Nehrujir bongshanubritti
    Kingba Jinnah Shaheber olikhito Shetpatra noy

    Bharatbarsha mane ek Bhalobhasha
    Amar Tumar shobder songeeter jiboner akasher matir
    Amader primary school e
    Kul Kha Shaheb
    Shada dari mathay fej
    Drill koraten amader_Dan ba_Dan ba
    Shosnehe shotorko korten, bapa shokol
    Pa ar haat miliye fel
    Kul kha Shaheber gorer matite
    Aaj ferestar hashi
    Bharatbarsha cherag hoye jolche

     

     

    See less
    • -2