1. পূজারিনী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্যগ্রন্থ- কথা তারিখ - ১৮ আশ্বিন, ১৩০৬   (অবদান শতক) নৃপতি বিম্বিসার নমিয়া বুদ্ধে মাগিয়া লইলা পাদ-নখ-কণা তাঁর। স্থাপিয়া নিভৃত প্রাসাদ-কাননে তাহারি উপরে রচিলা যতনে অতি অপরূপ শিলাময় স্তূপ শিল্পশোভার সার । সন্ধ্যাবেলায় শুচিবাস পরি রাজবধূ রাজবালা আসিতেন, ফুল সাজায়Read more

    পূজারিনী

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    কাব্যগ্রন্থ- কথা
    তারিখ – ১৮ আশ্বিন, ১৩০৬

     

    (অবদান শতক)

    নৃপতি বিম্বিসার
    নমিয়া বুদ্ধে মাগিয়া লইলা
    পাদ-নখ-কণা তাঁর।
    স্থাপিয়া নিভৃত প্রাসাদ-কাননে
    তাহারি উপরে রচিলা যতনে
    অতি অপরূপ শিলাময় স্তূপ
    শিল্পশোভার সার ।
    সন্ধ্যাবেলায় শুচিবাস পরি
    রাজবধূ রাজবালা
    আসিতেন, ফুল সাজায়ে ডালায়
    স্তূপপদমূলে সোনার থালায়
    আপনার হাতে দিতেন জ্বালায়ে
    কনক প্রদীপমালা ।

    অজাত শত্রু রাজা হোলো যবে
    পিতার আসনে আসি
    পিতার ধর্ম শোণিতের স্রোতে
    মুছিয়া ফেলিল রাজপুরী হতে

    সঁপিল যজ্ঞ-অনল-আলোতে
    বৌদ্ধ-শাস্ত্ররাশি।
    কহিলা ডাকিয়া অজাতশত্রু
    রাজপুরনারী সবে,—
    বেদ ব্রাহ্মণ রাজা ছাড়া আর
    কিছু নাই ভবে পুজা করিবার
    এই ক’টি কথা জেনো মনে সার—
    ভুলিলে বিপদ হবে।

    আরও পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত কবিতাসমূহ

    সেদিন শারদ-দিবা-অবসান,—
    শ্ৰীমতী নামে সে দাসী
    পুণ্যশীতল সলিলে নাহিয়া
    পুষ্প প্রদীপ থালায় বাহিয়৷
    রাজমহিষীর চরণে চাহিয়া
    নীরবে দাঁড়াল আসি।
    শিহরি সভয়ে মহিষী কহিলা—
    এ কথা নাহি কি মনে
    অজাতশত্রু করেছে রটনা—
    স্তূপে যে করিবে অৰ্ঘ্যরচনা
    শূলের উপরে মরিবে সে জনা
    অথবা নির্বাসনে।

    সেথা হতে ফিরি গেল চলি ধীরি
    বধূ অমিতার ঘরে।
    সমুখে রাখিয়া স্বর্ণ-মুকুর,
    বাঁধিতেছিল সে দীর্ঘ চিকুর,
    আঁকিতেছিল সে যত্নে সিঁদুর
    সিথির সীমার পরে।
    শ্ৰীমতীরে হেরি বাঁকি গেল রেখা
    কাঁপি গেল তার হাত,-
    কহিল অবোধ, কী সাহস-বলে
    এনেছিস পূজা,এখনি যা চ’লে
    কে কোথা দেখিবে, ঘটিবে তাহলে
    বিষম বিপদপাত।

     

    অস্ত-রবির রশ্মি-আভায়
    খোলা জানালার ধারে
    কুমারী শুক্লা বসি একাকিনী
    পড়িতে নিরত কাব্য-কাহিনী,
    চমকি উঠিল শুনি কিঙ্কিণী
    চাহিয়া দেখিল দ্বারে।
    শ্ৰীমতীরে হেরি পুঁথি রাখি ভূমে
    দ্রুতপদে গেল কাছে।

    কহে সাবধানে তার কানে কানে
    রাজার আদেশ আজি কে না জানে,
    এমনি ক’রে কি মরণের পানে
    ছুটিয়া চলিতে আছে।
    দ্বার হতে দ্বারে ফিরিল শ্রীমতী
    লইয়া অৰ্ঘ্যথালি।
    “হে পুরবাসিনী” সবে ডাকি কয়,—
    “হয়েছে প্রভুর পূজার সময়”—
    শুনি ঘরে ঘরে কেহ পায় ভয়
    কেহ দেয় তারে গালি।

    দিবসের শেষ আলোক মিলাল
    নগর সৌধপরে॥
    পথ জনহীন আঁধারে বিলীন,
    কলকোলাহল হয়ে এল ক্ষীণ,
    আরতিঘণ্টা ধ্বনিল প্রাচীন
    রাজ-দেবালয় ঘরে।
    শারদ নিশির স্বচ্ছ তিমিরে
    জ্বলে অগণ্য তারা।
    সিংহদুয়ারে বাজিল বিষাণ,
    বন্দীরা ধরে সন্ধ্যার তান,

    “মন্ত্রণাসভা হোলো সমাধান”
    দ্বারী ফুকারিয়া বলে।

    এমন সময়ে হেরিলা চমকি
    প্রাসাদে প্রহরী যত—
    রাজার বিজন কানন মাঝারে
    স্তূপপদমূলে গহন আঁধারে
    জ্বলিতেছে কেন, যেন সারে সারে
    প্রদীপমালার মতো।
    মুক্তকৃপাণে পুররক্ষক
    তখনি ছুটিয়া আসি
    শুধাল—“কে তুই ওরে দুর্মতি,
    মরিবার তরে করিস আরতি।”
    মধুর কণ্ঠে শুনিল “শ্ৰীমতী
    আমি বুদ্ধের দাসী।”
    সেদিন শুভ্ৰ পাষাণ-ফলকে
    পড়িল রক্ত-লিখা।
    সেদিন শারদ স্বচ্ছ নিশীথে
    প্রাসাদ কাননে নীরবে নিভৃতে
    স্তূপপদমূলে নিবিল চকিতে
    শেষ আরতির শিখা৷

     

    Pujarini Poem by Rabindranath Tagore:

    Pujarini

    Rabindranath Tagore

    (Abadan-Shatak)
    Nipriti bimbisar
    Namiya buddhe magiya loila
    Padan-khakana tar.
    Stapiya nivrito prashad-kanane
    Tahari upore racila jatane
    Oti aparup shilamaya sthup
    Shilposhovar sar.

    Sandhya belay shuchibash pori
    Rajbadhu Rajbala
    Ashiten phul sajaye ḍalay,
    Stupa-pada-mule sonar thalay
    Apanar hathe diten jalaye
    Kanak-pradip-mala.

    Ajatsatru raja holo jabe,
    Pitar ashone asi
    Pitar̥ dharma shonither srote
    Muchiya felilo rajpuri hote–
    Shopilo jagga-anal-alote
    Baud’dha-sastra-rashi.

    Kahilo ḍakiya ajatsatru
    Rajpuranari sobe,
    “bed brahman raja chara ar
    kichu na bhobe puja koribar
    Ei kati katha jeno mone shar-
    Bhulile bipad hobe. ‘

    Sedin sharad-diba-abashan-
    Srimoti name she dashi
    Punyasitala salile nahiya,
    Puṣhpa-pradip thalay bahiya,
    Rajmahishir charane cahiya
    Nirobe daralo asi.

    Sihari sobhoye mahiṣhi kahila,
    “e katha nahi ki mane,
    Ajatsatru kareche ratana
    Stupe je koribe arghya-rachana
    Shuler upore maribe se jana
    Othoba nirbashane? ‘

    Setha hote phiri gelo choli dhire
    Badhu amitar ghare.
    Samukhe rakhiya sarnamukur
    Badhitechilo se dirgha chikur,
    Akitechilo se jatne sinḍur
    Shimantashima-‘pre.

    See less
    • 1
  2. আসামের কুটির শিল্প ভূমিকা : কুটির অর্থাৎ ঘর এবং ঘরের সদস্যের দ্বারা উৎপাদিত সামগ্রী ও শিল্পকে কুটির শিল্প বলে। কুটির শিল্পের দিক দিয়ে আসামের একটি গৌরবময় ঐতিহ্য আছে, আসামের মতাে রূপময় ও বিচিত্র সুন্দর কুটির শিল্প ভারতবর্ষে অদ্বিতীয় । যুগে যুগে আসামের কুটিরে নির্মিত সামগ্রী দেশ বিদেশের সৌন্দর্য পিপRead more

    আসামের কুটির শিল্প

    ভূমিকা : কুটির অর্থাৎ ঘর এবং ঘরের সদস্যের দ্বারা উৎপাদিত সামগ্রী ও শিল্পকে কুটির শিল্প বলে। কুটির শিল্পের দিক দিয়ে আসামের একটি গৌরবময় ঐতিহ্য আছে, আসামের মতাে রূপময় ও বিচিত্র সুন্দর কুটির শিল্প ভারতবর্ষে অদ্বিতীয় । যুগে যুগে আসামের কুটিরে নির্মিত সামগ্রী দেশ বিদেশের সৌন্দর্য পিপাসু নরনারীর মুগ্ধ দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী আসামের মেয়েদের গৃহে প্রস্তুত বস্ত্রের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেছেন, তাহারা বস্ত্রের উপর রূপ কাহিনি রচনা করে।

    আসামের কুটির শিল্পের ঐতিহ্য : কুটির শিল্প আসামের একটি পুরনো সংস্কৃতি । কামরূপের রাজা কুমার ভাস্কর বর্মা তার মিত্র রাজা হর্ষবর্ধনকে আসামের পাটের বস্ত্র, কাঁসার বাসন, বাঁশের ফুলসাজি, হাতীর দাতের কারুকার্য খচিত শিল্প ইত্যাদি উপঢৌকন দিয়েছিলেন। তাছাড়াও ঐতিহাসিক তথ্য থেকে জানা যায় কোচ রাজা ও আহােম রাজাদের শাসনকালে কুটির শিল্পের প্রভূত উন্নতি হয়েছিল। দরং রাজবংশাবলী থেকে জানা যায় যে, মহারাজা নরনারায়ণ কামার-কুমার, ধাতু শিল্পী ও অন্যান্য শিল্পের কারিগরদের রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিলেন।

    বস্ত্রবয়ন শিল্প : বস্ত্র শিল্প আসামের অন্যতম কুটির শিল্প । কুটিরজাত রেশমী ও কার্পাস বস্ত্রবয়নে স্ত্রীলােকদের ভূমিকাই প্রধান। আসামে তাতী সম্প্রদায় বলে কোন পৃথক জাতি নেই, শ্রেণি নির্বিশেষে সকলেই নিজেদের বস্ত্র প্রস্তুত করে। প্রতিটি গৃহেই একটি করে তাঁত রয়েছে। যে স্ত্রীলােক ভাল কাপড় বুনতে জানে, তার সমাদর সর্বত্র। আসামে সাধারণত এণ্ডি’ ও ‘মুগা’ এই দুই শ্রেণির রেশমী বস্ত্রই কুটির শিল্প হিসাবে উৎপন্ন হয়। অসমীয়া নারীরা ‘মেখলা’, ‘রিহা’, ‘মুগা’ ইত্যাদি পরিধান করে।

    মৃৎপাত্র নির্মাণ শিল্প : মৃৎপাত্র ইত্যাদি নির্মাণও আসামের কুটির শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রােজদিনের গৃহকর্মের জন্য হাঁড়ি, কলসী, মটকি, থালা ইত্যাদি এবং গৃহসজ্জার জন্য ফুলদানি, শৌখিন দ্রব্যাদি গ্রামাঞ্চলের কারিগরগণ মাটি দিয়ে অতি সুচারুরূপে প্রস্তুত করে।

    বেত, বাঁশ ও তালপাতার কাজ : বেত, বাঁশ, তালপাতা ইত্যাদির দ্বারা গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণ নানাবিধ নিত্য প্রয়ােজনীয় জিনিস প্রস্তুত করে থাকে। বেত, বাশ ও তালপাতা দিয়ে ঝুড়ি, বাক্স নানাবিধ পাখা ইত্যাদি তৈরি হয়। মুর্তা নামক এক জাতীয় উদ্ভিদ দিয়ে শীতল পাটিও তৈয়ার করা হয়। ‘জাপি’ নামক তালপাতা দিয়ে তিরী এক প্রকার টুপি মাথায় দিয়ে আসামের কৃষকগণ তীব্র রৌদ্র কিরণ হতে আত্মরক্ষা করে। এককালে জাপি পরিধান সামাজিক প্রতিষ্ঠার নিদর্শন রূপে পরিগণিত ছিল । এখনও তাঁর প্রচলন দেখতে পাওয়া যায় ।

    কুটির শিল্পের বর্তমান অবস্থা : বর্তমানে আসামে যে সব কুটির শিল্প রয়েছে সেগুলির মধ্যে তাঁত শিল্প, মৃৎ শিল্প বা বাঁশবেতের কাজ, রূপ শিল্প ছাড়াও কাঠের কাজ, কাসা-পিতলের বাসন তৈরিও উল্লেখযােগ্য। কাঠের শিল্পীরা কাঠ দিয়ে তৈরি করে নৌকা, খাট-পালঙ্ক, টেবিল, আলমারি, ঘরের দরজা-জানালা ইত্যাদি। কামার তৈরি করে দা-কুড়াল, খন্তি, ঝাটা, শরতা ইত্যাদি। কিন্তু যুগের প্রভাবে এসব জিনিসের ব্যবহার কমে আসছে।

    কুটির শিল্পের অবনতির কারণ : কুটির শিল্পের অবনতির অন্যতম কারণ নতুন প্রযুক্তির আবিষ্কার। আধুনিক যুগের লােকের রুচিও পরিবর্তন হচ্ছে। তারা যন্ত্রশিল্পের উৎপাদিত সামগ্রী ব্যবহারে অধিক আগ্রহী। কাচামালের যােগানও দুর্মূল্য, শিল্পীর আর্থিক দুরবস্থা এবং তরুণ প্রজন্মের পিতৃপুরুষের বৃত্তি অবলম্বনে অনীহা কুটির শিল্পের অবনতির অন্যতম কারণ। সর্বোপরি প্রচারের অভাবে শিল্পসুন্দর কুটির শিল্পজাত সামগ্রী সর্বভারতীয় বাজার ধরতে পারছে না।

    কুটির শিল্পের উন্নতির উপায় : কুটির শিল্পের উন্নতির জন্য এর আধুনিকীকরণ একান্ত প্রয়ােজন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, কাঁসা শিল্পে ‘রােলার মেশিন ব্যবহার করতে পারলে শ্রম ও সময় দুই-ই বাঁচানাে যায়। ছােটখাটো বৈদ্যুতিক যন্ত্রাদি ব্যবহার করা যেতে পারে। এজন্য সরকারি উদ্যোগে শিল্পী-কারিগরদের প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়ােজন। মৃৎ শিল্পজাত দ্রব্যাদি আধুনিক রুচি সম্মত করতে পারলে শহুরে লােকদের চাহিদা মেটানাে যায়। সমবায় সমিতি স্থাপন করে মূলধন সংগ্রহ করা যেতে পারে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় কাসা-পিতল-লােহা ও রেশম শিল্পের কাঁচামাল সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। ভারতের প্রতিটি রাজ্যে সরকারি উদ্যোগে বিপননের ব্যবস্থা করতে পারলে অতি ফল পাওয়া যাবে। শিক্ষিত যুবকেরা যদি চাকরির জন্য হা-হুতাশ না করে কুটির শিল্পের ব্যবসায়ে নিযুক্ত হন তবে নিশ্চয়ই লাভবান হবেন।

    উপসংহার : কুটির শিল্প শিল্পীর নান্দনিক সৃষ্টি। শিল্পীরা যে দক্ষতা, কল্পনা ও শ্রম নিয়ােগ করেন অর্থের মূল্যে তার পরিমাপ হয় না। কুটির শিল্পকে যথাযােগ্য মর্যাদা ও উন্নতির সন্ধান দিতে চাই সরকার ও সমবায় মানুষের প্রচেষ্টা । তাদের প্রচারের আলােয় আনতে পারলে শিল্পীর আর্থিক দুর্দশা যেমন ঘুচবে তৈমনি তিনি পারেন শিল্প সৃষ্টির অনির্বাচনীয় তৃপ্তি।

    See less
    • 1
  3. তেমন করে হাত বাড়ালে, সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’ উল্লিখিত অংশটুকু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার অন্তর্গত। কবি এখানে বলতে চাইছেন যে, আমরা যদি আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব না রেখে একে অপরের সাথে ভ্রাতৃসুলভ, বন্ধুসুলভ আচার-আচরণ রাখি তাহলে সেই বিষয়টি অনেক সুখের। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বলতে চাRead more

    তেমন করে হাত বাড়ালে,

    সুখ পাওয়া যায় অনেকখানি।’

    উল্লিখিত অংশটুকু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোঝাপড়া কবিতার অন্তর্গত।
    কবি এখানে বলতে চাইছেন যে, আমরা যদি আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ, দ্বন্দ্ব না রেখে একে অপরের সাথে ভ্রাতৃসুলভ, বন্ধুসুলভ আচার-আচরণ রাখি তাহলে সেই বিষয়টি অনেক সুখের। অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বলতে চাইছেন যে মানুষের মধ্যে মনোমালিন্য, ভেদাভেদ থাকাটা স্বাভাবিক কিন্তু তা নিয়ে অযথা বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। বরং মতভেদ, ঈর্ষা, হিংসা ইত্যাদি ছেড়ে দিয়ে শ্রদ্ধার সহিত একে অপরের সহিত মিলেমিশে থাকাই উত্তম। তাতে করে মনে শান্তি আসে এবং অনেক সুখ পাওয়া যায়।

    See less
    • 0
  4. This answer was edited.

    মূল্যপ্রাপ্তি -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অবদানশতক অঘ্রাণে শীতের রাতে নিষ্ঠুর শিশিরঘাতেপদ্মগুলি গিয়াছে মরিয়া--সুদাস মালীর ঘরে কাননের সরোবরেএকটি ফুটেছে কী করিয়া।তুলি লয়ে বেচিবারে গেল সে প্রাসাদদ্বারে,মাগিল রাজার দরশন--হেনকালে হেরি ফুল আনন্দে পুলকাকুলপথিক কহিল একজন,"অকালের পদ্ম তব আমি এটি কিনি লব,কত মূল্য লইবেRead more

    মূল্যপ্রাপ্তি

    -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

    অবদানশতক

    অঘ্রাণে শীতের রাতে নিষ্ঠুর শিশিরঘাতে
    পদ্মগুলি গিয়াছে মরিয়া–
    সুদাস মালীর ঘরে কাননের সরোবরে
    একটি ফুটেছে কী করিয়া।
    তুলি লয়ে বেচিবারে গেল সে প্রাসাদদ্বারে,
    মাগিল রাজার দরশন–
    হেনকালে হেরি ফুল আনন্দে পুলকাকুল
    পথিক কহিল একজন,
    “অকালের পদ্ম তব আমি এটি কিনি লব,
    কত মূল্য লইবে ইহার?
    বুদ্ধ ভগবান আজ এসেছেন পুরমাঝ
    তাঁর পায়ে দিব উপহার।
    ‘মালী কহে, “এক মাষা স্বর্ণ পাব মনে আশা।’
    পথিক চাহিল তাহা দিতে–
    হেনকালে সমারোহে বহু পূজা-অর্ঘ্য বহে
    নৃপতি বাহিরে আচম্বিতে।
    রাজেন্দ্র প্রসেনজিৎ উচ্চারি মঙ্গলগীত
    চলেছেন বুদ্ধদরশনে–
    হেরি অকালের ফুল শুধালেন, “কত মূল?
    কিনি দিব প্রভুর চরণে।
    ‘মালী কহে, “হে রাজন্‌, স্বর্ণমাষা দিয়ে পণ
    কিনিছেন এই মহাশয়।’
    “দশ মাষা দিব আমি’ কহিলা ধরণীস্বামী,
    “বিশ মাষা দিব’ পান্থকয়।
    দোঁহে কহে “দেহো দেহো’, হার নাহি মানে কেহ–
    মূল্য বেড়ে ওঠে ক্রমাগত।
    মালী ভাবে যাঁর তরে এ দোঁহে বিবাদ করে
    তাঁরে দিলে আরো পাব কত!
    কহিল সে করজোড়ে, “দয়া করে ক্ষম মোরে–
    এ ফুল বেচিতে নাহি মন।
    ‘এত বলি ছুটিল সে যেথা রয়েছেন বসে
    বুদ্ধদেব উজলি কানন।
    বসেছেন পদ্মাসনে প্রসন্ন প্রশান্ত মনে,
    নিরঞ্জন আনন্দমূরতি।
    দৃষ্টি হতে শান্তি ঝরে, স্ফুরিছে অধর-‘পরে
    করুণার সুধাহাস্যজ্যোতি।
    সুদাস রহিল চাহি– নয়নে নিমেষ নাহি,
    মুখে তার বাক্য নাহি সরে।
    সহসা ভূতলে পড়ি পদ্মটি রাখিল ধরি
    প্রভুর চরণপদ্ম-‘পরে।
    বরষি অমৃতরাশি বুদ্ধ শুধালেন হাসি,
    ‘কহো বৎস, কী তব প্রার্থনা।
    ‘ব্যাকুল সুদাস কহে, “প্রভু, আর কিছু নহে,
    চরণের ধূলি এক কণা।’

    Mulya Prapti Poem in Bengali

    Mullyoprapti

    Rabindranath Tagore

    Oghrane shiter rate nisthur raate
    Podmoguli giyache moria
    Sudash malir ghoreKanoner sorobore
    Ekti futeche ki koria
    Tuli loye bechibare gelo se proshaddhare
    magilo Rajar dorshon.
    henokale heri ful Aanonde pulkakul
    Pothik kohilo ekjon,
    ‘okaler podmo tobo ami eti kine lobo
    Koto mullyo hoibe ihar
    Budha Bhogoban aaj esechen puromajh
    Tar paye dibo upohar.
    mali kohe, “ek masha shorno pabe mone asha”
    Pothik chahilo taha dite
    Henokale somaruhe bahu puja-orgyo bohe
    Nripoti bahire aachombito
    Rajendra Prosenjit ucchari mongolgeet
    Cholechen budha dorshone-
    Heri okaler ful shudhalen, “koto mul”?
    Kini dibo prabhur chorone.
    Mali kohe, “he rajon shornomasha diye pon
    Kinichen ei mohashoy.
    “Dash masha dibo aami” kohila dhoronishami,
    “bish masha dibo” pantokoy.
    Duhe kohe “deho deho’, E duhe bibad kore
    Mullyo bere uthe kromagata
    Mali bhabe jar tore e duhe bibad kore
    tare dile aaro pabo koto!
    Kohilo sae korojure, “doya kore khomo more”
    E ful bechite nahi mono’
    Eto bole chutilo she jetha royechen boshe
    Buddhadeb ujli kanan.
    Boshechen poddashone proshonno proshanto mone,
    Nironjon Anandomurti
    dristi hote santi jhore, sfuriche odhor-pore
    Karunar sudha-hashyo-jyoti
    Sudash rohilo chahi- noyone nimesh nahi
    Mukhe tar bakyo nahi shore.
    Sohosha bhutole pori poddoti rakhilo dhori
    Pabhur choronpoddo pore
    Baroshi omrito rashi buddha sudhalen hashi
    “koho botsho ki taba prarthona”.
    Byakul sudash kohe, “prabhu ar kichu nohe,
    Choroner dhuli ek kona’.

    See less
    • 0
  5. আমার বিদ্যালয় বা আমাদের বিদ্যালয়ঃ আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বিদ্যাভবন স্কুল। ইহা কলকাতার বেহালা এলাকায় অবস্থিত। আমাদের বিদ্যালয়টি অনেক বড়। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা পড়াশোনা করে। আমাদের বিদ্যালয় সকাল আটটায় আরম্ভ হয় এবং দুপুর দুইটায় ছুটি হয়। আমাদের বিদ্যালযRead more

    আমার বিদ্যালয় বা আমাদের বিদ্যালয়ঃ

    আমাদের বিদ্যালয়ের নাম বিদ্যাভবন স্কুল। ইহা কলকাতার বেহালা এলাকায় অবস্থিত। আমাদের বিদ্যালয়টি অনেক বড়। আমাদের বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্ররা পড়াশোনা করে। আমাদের বিদ্যালয় সকাল আটটায় আরম্ভ হয় এবং দুপুর দুইটায় ছুটি হয়। আমাদের বিদ্যালয় ভবনটি সাদা রঙ্গের এবং দুই তলা বিশিষ্ট। বিদ্যালয়ের সামনে আছে একটি খেলার মাঠ ও একটি ফুলের বাগান। বিরতির সময় আমরা সবাই এই মাঠে খেলাধুলা করি। আমাদের বিদ্যালয় অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। তারা আমাদেরকে খুব স্নেহ করেন। আমাদের বিদ্যালয়ে বিভিন্ন দিবসে বিভিন্ন উৎসব পালিত হয়। আমরা সবাই এইসব উৎসবে অংশগ্রহণ করি। আমরা সবাই আমাদের বিদ্যালয় কে ভালবাসি।

    See less
    • 3
  6. On Killing a tree -Gieve Patel It takes much time to kill a tree, অনেক সময় লাগে একটি গাছ কে ধ্বংস করতে Not a simple jab of the knife সামান্য একটি ছুরির আঘাত Will do it. It has grown শেষ করতে পারে না । গাছটি বড় হয়েছে Slowly consuming the earth, ধীরে ধীরে মাটিকে শোষণ এর মাধ্যমে। Rising out of it, feedRead more

    On Killing a tree

    -Gieve Patel

    It takes much time to kill a tree,
    অনেক সময় লাগে একটি গাছ কে ধ্বংস করতে
    Not a simple jab of the knife
    সামান্য একটি ছুরির আঘাত
    Will do it. It has grown
    শেষ করতে পারে না । গাছটি বড় হয়েছে
    Slowly consuming the earth,
    ধীরে ধীরে মাটিকে শোষণ এর মাধ্যমে।
    Rising out of it, feeding
    বেড়ে উঠেছে এরই মধ্য থেকে, প্রতিপালিত
    Upon its crust, absorbing
    হয়েছে মাটির এই আবরনের উপর , শোসন করেছে
    Years of sunlight, air, water,
    সূর্যের আলো, বাতাস, জল অনেক অনেক বছর
    And out of its leprous hide
    এবং এটার রুক্ষ ছালের মধ্যে
    Sprouting leaves.
    লুকিয়ে থাকে নতুন পাতা।

    Jab-খোঁচা/আঘাত , grown- বড় হওয়া , consuming- শোষণ/গ্রাস , feeding-প্রতিপালন/ভোজন, crust-ভূত্বক/মাটির আবরন, absorbing-গিলিয়া ফেলা/শোসন করা , leprous-রুক্ষ ছাল, Sprouting-উদ্গম/কচি বৃক্ষশাখা

    So hack and chop
    তাই ইহাকে ক্ষত বিক্ষত করে কেটে ফেল
    But this alone won’t do it.
    কিন্তু শুধু আঘাত গাছটিকে শেষ করে দিতে পারে না
    Not so much pain will do it.
    সেই অসহ্ যন্ত্রণা ও ইহাকে শেষ করতে অক্ষম
    The bleeding bark will heal
    গাছের এই রক্তাক্ত বাকল আবার প্রান ফিরে পাবে
    And from close to the ground
    এবং মাটি কে ভেদ করে
    Will rise curled green twigs,
    আবার জন্মাবে কুকড়ানো কচি সবুজ ডাল,
    Miniature boughs
    ক্ষুদ্রকায় শাখাগুলি
    Which if unchecked will expand again
    যদি বাধাপ্রাপ্ত না হয় , আবার প্রসারিত হবে
    To former size
    পূর্বের আকারে।

    Hack-গভীর ক্ষত/ ক্ষত , chop-কুচি কুচি করে কাটা , bleeding-রক্তাক্ত, bark-বাকল/ছাল , heal-আরোগ্য হওয়া/সুস্থ হওয়া , curled-কুকড়ানো, twigs-ডাল/শাখা , Miniature-ক্ষুদ্রকায় , boughs-গাছের শাখা প্রশাখা, former- পুরাতন/পূর্বের

    No
    না
    The root is to be pulled out-
    শিকরটাকে তুলে ফেলে দিতে হবে
    Out of the anchoring earth;
    দৃঢ় সুরক্ষিত মাটির ভেতর থেকে
    It is to be roped, tied,
    দড়ি দিয়ে বাঁধতে হবে শক্ত করে
    And pulled out-snapped out
    এবং টেনে বের করে ছিঁড়ে ফেলতে হবে
    Or pulled out entirely,
    অথবা টেনে তুলতে হবে সম্পূর্ণরূপে
    Out of the earth-cave,
    পৃথিবী গহ্বর থেকে
    And the strength of the tree exposed,
    এবং ইহার ফলে গাছের শক্তি উদ্ভাসিত হয়ে যাবে
    The source, white and wet,
    তাঁর উৎস , সাদা এবং ভেজা সেই মূল উৎস,
    The most sensitive, hidden
    যাহা অত্যন্ত অনুভুতিশীল, লুক্কায়িত ছিলো
    For years inside the earth.
    মাটির মধ্যে বছরের পর বছর ।

    Pulled out-টেনে বের করা , anchoring-দৃঢ় সুরক্ষিত থাকা , roped-দড়ি দিয়ে বাঁধা, tied-নিবদ্ধ/বাঁধা, snapped out-ছিঁড়ে ফেলা , entirely-সম্পূর্ণরূপে, earth-cave-পৃথিবী গহ্বর, exposed-উদ্ভাসিত/ উম্মুক্ত, sensitive-সংবেদনশীল/অনুভুতিশীল, hidden-লুক্কায়িত

    Then the matter
    তার পরের ধাপ (গাছটিকে শেষ করার)
    Of scorching and choking
    দগ্ধ করা আর শ্বাসরোধ করা
    In sun and air
    সূর্যের প্রখর তাপে এবং বাতাসে
    Browning, hardening,
    গুকিয়ে বাদামি করে শক্ত করে দিলে
    Twisting, withering,
    মটকিয়ে, ধ্বংস করলে
    And then it is done
    তখনই তাহা শেষ হয়ে উঠবে

    Scorching-দগ্ধ করা/দাহন, choking-শ্বাসরোধ করা, Browning-বাদামি/বাদামি করা , hardening-শক্ত করা , Twisting- মটকানো, withering-ধ্বংস করা

    See less
    • 1
  7. দেশলাইয়ের কাঠি সুকান্ত ভট্টাচার্য কাব্যগ্রন্থ- ছাড়পত্র সুকান্ত ভট্টাচার্যের অন্যান্য কবিতার মতো দেশলাইয়ের কাঠি কবিতা ও একটি রূপক ধর্মী কবিতা। সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন একজন সামাজিক চিন্তাধারার মানুষ। এবং তার লেখায় সমাজের বিভিন্ন দিক গুলি বিশেষ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিদিনের দুঃখ, কষ্ট,Read more

    দেশলাইয়ের কাঠি
    সুকান্ত ভট্টাচার্য
    কাব্যগ্রন্থ- ছাড়পত্র

    সুকান্ত ভট্টাচার্যের অন্যান্য কবিতার মতো দেশলাইয়ের কাঠি কবিতা ও একটি রূপক ধর্মী কবিতা। সুকান্ত ভট্টাচার্য ছিলেন একজন সামাজিক চিন্তাধারার মানুষ। এবং তার লেখায় সমাজের বিভিন্ন দিক গুলি বিশেষ করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের প্রতিদিনের দুঃখ, কষ্ট, অবহেলার কথা ই প্রাধান্য পেয়েছে তার কবিতায়। এই কবিতাও তার ব্যতিক্রম নয়।

    আমি একটা ছোট্ট দেশলাইয়ের কাঠি
    এত নগণ্য, হয়তো চোখেও পড়ি না;
    তবু জেনো
    মুখে আমার উসখুস করছে বারুদ—
    বুকে আমার জ্বলে উঠবার দুরন্ত উচ্ছ্বাস;
    আমি একটা দেশলাইয়ের কাঠি।

    মনে আছে সেদিন হুলুস্থুল বেধেছিল?
    ঘরের কোণে জ্বলে উঠেছিল আগুন –
    আমাকে অবজ্ঞাভরে না-নিভিয়ে ছুঁড়ে ফেলায়!
    কত ঘরকে দিয়েছি পুড়িয়ে,
    কত প্রাসাদকে করেছি ধূলিসাত্‍‌
    আমি একাই- ছোট্ট একটা দেশলাইয়ের কাঠি।

    এমনি বহু নগর, বহু রাজ্যকে দিতে পারি ছারখার করে
    তবুও অবজ্ঞা করবে আমাদের?
    মনে নেই? এই সেদিন-
    আমরা সবাই জ্বলে উঠেছিলাম একই বাক্সে;
    চমকে উঠেছিলে–আমরা শুনেছিলাম তোমাদের বিবর্ণ মুখের আর্তনাদ।

    আমাদের কী অসীম শক্তি
    তা তো অনুভব করেছো বারংবার;
    তবু কেন বোঝো না,
    আমরা বন্দী থাকবো না তোমাদের পকেটে পকেটে,
    আমরা বেরিয়ে পড়ব, আমরা ছড়িয়ে পড়ব
    শহরে, গঞ্জে, গ্রামে– দিগন্ত থেকে দিগন্তে।
    আমরা বার বার জ্বলি, নিতান্ত অবহেলায়-
    তা তো তোমরা জানোই!
    কিন্তু তোমরা তো জানো না:
    কবে আমরা জ্বলে উঠব-
    সবাই– শেষবারের মতো!

    এখানে দেশলাই বলতে সাধারণ মানুষের কথা বলা হয়েছে। সাধারণ মানুষ নগণ্য হলেও তার মধ্যে রয়েছে প্রাণ, রয়েছে চেতনা আর সেই চেতনা দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। সমাজের নিচু শ্রেণীর মানুষ যারা সবসময় উচ্চশ্রেণীর কাছে অবহেলিত লুণ্ঠিত তারা চাইলে ধ্বংস করে দিতে পারে সমাজের প্রতিষ্ঠা কে। এবং এই নিম্ন শ্রেণীর মানুষ বারংবার গর্জে উঠেছে অত্যাচারের বিরুদ্ধে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে। তাই কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য উচ্চ শ্রেণীর মানুষের লক্ষ্য করে বলেছেন যদি অত্যাচার লুণ্ঠন পড়া শেষ না করে তাহলে ওই সাধারণ মানুষ গুলি বেরিয়ে পড়বে সবদিকে তাদের দাবি নিয়ে, শুরু হবে আন্দোলন অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এবং সেই আন্দোলন হয়ে উঠবে অনেক ভয়ঙ্কর যা শেষ করে দিবে অন্যায়কারীদের।

    English Transliteration:
    Deshlaiyer kathi
    Sukanto Bhattacharya

    Ami ekta chotto deshlaiyer kathi
    Eto naganno, hoyto chokheo podi na;
    tabu jeno
    Mukhe amar ushkush korche barud-
    Buke amar jole uthbar duranta ucchash;
    Ami ekta chotto deshlaiyer kathi

    Mone aache shedin hulustul bedhechilo?
    Ghorer kone jole uthechilo aagun-
    Amake oboggabhore na-nibhiye chure felay!
    Koto ghor ke diyechi puriye,
    Koto prashadke korechi dhulishath
    Ami ekai-chotto ekta deshlaiyer kathi.

    Emni bahu nagar, bahu rajjoke dite pari charkhar kore
    Tabuo obogga korbe amader?
    Mone nei? ei shedin-
    Amra shobai jole uthchilameki bakshe;
    Chomke uthechilo-amra shunechilam tomader biborno mukher aartonad

    Amader ki oshim shakti
    ta to anubhab korecho barongbar
    Tabu keno bujho na,
    Amra bondi thakbo na tomader pocket e pocket e
    Amra beriye porbo amra choriye porbo
    Shohore, gonje, grame-diganta theke digante.
    Amra barbar joli nitanto obohelay
    ta to tomra janoi!
    Kintu tumra to jano na:
    Kobe amra jole uthbo-
    Shobai-sheshbarer moto

    See less
    • 0
  8. English translation of the poem prepared by Tagore himself. Which has been published in his book called Fruit-Gathering.   UPAGUPTA, THE disciple of Buddha, lay asleep on the dust by the city wall of Mathura. Lamps were all out, doors were all shut, and stars were all hidden by the murky sky ofRead more

    English translation of the poem prepared by Tagore himself. Which has been published in his book called Fruit-Gathering.

     

    UPAGUPTA, THE disciple of Buddha, lay asleep on the dust by the city wall of Mathura.

    Lamps were all out, doors were all shut, and stars were all hidden by the murky sky of August.

    Whose feet were those tinkling with anklets, touching his breast of a sudden?

    He woke up startled, and the light from a woman’s lamp struck his forgiving eyes.

    It was the dancing girl, starred with jewels, clouded with a pale-blue mantle, drunk with the wine of her youth.

    She lowered her lamp and saw the young face, austerely beautiful.

    ‘Forgive me, young ascetic,’ said the woman; ‘graciously come to my house. The dusty earth is not a fit bed for you.’

    The ascetic answered, ‘Woman, go on your way; when the time is ripe I will come to you.’

    Suddenly the black night showed its teeth in a flash of lightning.

    The storm growled from the corner of the sky, and the woman

    trembled in fear.

    The branches of the wayside trees were aching with blossom.

    Gay notes of the flute came floating in the warm spring air from afar.

    The citizens had gone to the woods, to the festival of flowers.

    From the mid-sky gazed the full moon on the shadows of the silent town.

    The young ascetic was walking in the lonely street, while overhead the lovesick koels urged from the mango branches their sleepless plaint

    Upagupta passed through the city gates, and stood at the base of the rampart.

    What woman lay in the shadow of the wall at his feet, struck with the black pestilence, her body spotted with sores, hurriedly driven away from the town?

    The ascetic sat by her side, taking her head on his knees, and moistened her lips with water and smeared her body with balm.

    ‘Who are you, merciful one?’ asked the woman.

    ‘The time, at last, has come lo visit you, and I am here,’ replied the young ascetic.

    See less
    • 0
  9. This answer was edited.

    অভিসার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাব্য : কথা বোধিসত্তাবদান-কল্পলতা সন্ন্যাসী উপগুপ্ত মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে একদা ছিলেন সুপ্ত-- নগরীর দীপ নিবেছে পবনে, দুয়ার রুদ্ধ পৌর ভবনে, নিশীথের তারা শ্রাবণগগনে ঘন মেঘে অবলুপ্ত। (অভিসার - অনুসরণ, প্রাচীর-দেয়াল, সুপ্ত  - নিদ্রিত, পবন - বাতাস, নিশীথ- রাত্রি, রুদ্ধ- বন্ধ, অRead more

    অভিসার

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 
    কাব্য : কথা

    বোধিসত্তাবদান-কল্পলতা

    সন্ন্যাসী উপগুপ্ত
    মথুরাপুরীর প্রাচীরের তলে
    একদা ছিলেন সুপ্ত–
    নগরীর দীপ নিবেছে পবনে,
    দুয়ার রুদ্ধ পৌর ভবনে,
    নিশীথের তারা শ্রাবণগগনে
    ঘন মেঘে অবলুপ্ত।

    (অভিসার – অনুসরণ, প্রাচীর-দেয়াল, সুপ্ত  – নিদ্রিত, পবন – বাতাস, নিশীথ- রাত্রি, রুদ্ধ- বন্ধ, অবলুপ্ত-অদৃশ্য)

    কাহার নূপুরশিঞ্জিত পদ
    সহসা বাজিল বক্ষে!
    সন্ন্যাসীবর চমকি জাগিল,
    স্বপ্নজড়িমা পলকে ভাগিল,
    রূঢ় দীপের আলোক লাগিল
    ক্ষমাসুন্দর চক্ষে।

    (সহসা  –  অকস্মাৎ/হঠাৎ,  বক্ষে – বুকে, নূপুরশিঞ্জিত- নুপুরপরিহিত, পদ- পা, রূঢ়  – রুক্ষ, কঠোর)

    নগরীর নটী চলে অভিসারে
    যৌবনমদে মত্তা।
    অঙ্গ আঁচল সুনীল বরন,
    রুনুঝুনু রবে বাজে আভরণ–
    সন্ন্যাসী-গায়ে পড়িতে চরণ
    থামিল বাসবদত্তা।

    (আঁচল – কাপড়ের খুঁটি, সুনীল  – গাঢ় নীল, বরন – বর্ণ, রব  – শব্দ/ধ্বনি, আভরণ  – ভূষণ, চরণ – পা, বাসব  – দেবরাজ ইন্দ্র)

    প্রদীপ ধরিয়া হেরিল তাঁহার
    নবীন গৌরকান্তি–
    সৌম্য সহাস তরুণ বয়ান,
    করুণাকিরণে বিকচ নয়ান,
    শুভ্র ললাটে ইন্দুসমান
    ভাতিছে স্নিগ্ধ শান্তি।

    (সৌম্য  – শান্ত ও সুন্দর, সহাস্য  – হাস্যরত, বয়ান   – বদন/মুখ, বিকচ  – বিকশিত, নয়ান – নয়ন, শুভ্র – শুক্ল/সিত, ললাট  – অদৃষ্ট, ইন্দু  – চাঁদ) 

    কহিল রমণী ললিত কণ্ঠে,
    নয়নে জড়িত লজ্জা,
    ক্ষমা করো মোরে কুমার কিশোর,
    দয়া করো যদি গৃহে চলো মোর,
    এ ধরণীতল কঠিন কঠোর
    এ নহে তোমার শয্যা।’

    (ভাতিছে- প্রবাহে, রমণী -নারী, ললিত – চারু/সুন্দর, ধরণী  – ধরা/পৃথিবী)

    সন্ন্যাসী কহে করুণ বচনে,
    “অয়ি লাবণ্যপুঞ্জ,
    এখনো আমার সময় হয় নি,
    যেথায় চলেছ যাও তুমি ধনী,
    সময় যেদিন আসিবে আপনি
    যাইব তোমার কুঞ্জ,’

    (বচন  – বাক্য/কথা, অয়ি  – ওগো, লাবণ্য  – সৌন্দর্য, কুঞ্জ  – লতাদি দ্বারা আচ্ছাদিত গৃহাকার স্থান)

    সহসা ঝঞ্ঝা তড়িৎশিখায়
    মেলিল বিপুল আস্য।
    রমণী কাঁপিয়া উঠিল তরাসে,
    প্রলয়শঙ্খ বাজিল বাতাসে,
    আকাশে বজ্র ঘোর পরিহাসে
    হাসিল অট্টহাস্য।

    (ঝঞ্ছা  – প্রবল ঝটিকা, তড়িৎ  – বিদু্যৎ, আস্য  – মুখ, তরাস  – ত্রাস/ভয়,  প্রলয়  – সর্বাত্মক ধ্বংস, পরিহাস  – ঠাট্টা, তামাশা)

    বর্ষ তখনো হয় নাই শেষ,
    এসেছে চৈত্রসন্ধ্যা।
    বাতাস হয়েছে উতলা আকুল,
    পথতরুশাখে ধরেছে মুকুল,
    রাজার কাননে ফুটেছে বকুল
    পারুল রজনীগন্ধা।

    (তরু  –  বৃক্ষ/ গাছ, কানন  – বাগান, মুকুল  – কলিকা/কুঁড়ি)

    অতি দূর হতে আসিছে পবনে
    বাঁশির মদির মন্দ্র।
    জনহীন পুরী, পুরবাসী সবে
    গেছে মধুবনে ফুল-উৎসবে–
    শূন্য নগরী নিরখি নীরবে
    হাসিছে পূর্ণচন্দ্র।

    ( মন্দ্র  – গম্ভীর ধ্বনি, পুরী   – গৃহ/ভবন স্বর্ণপুরী)

    নির্জন পথে জ্যোৎস্না-আলোতে
    সন্ন্যাসী একা যাত্রী।
    মাথার উপরে তরুবীথিকার
    কোকিল কুহরি উঠে বারবার,
    এতদিন পরে এসেছে কি তাঁর
    আজি অভিসাররাত্রি?

    (বীথী   – শ্রেণী, সারি)

    নগর ছাড়ায়ে গেলেন দণ্ডী
    বাহিরপ্রাচীরপ্রান্তে।
    দাঁড়ালেন আসি পরিখার পারে–
    আম্রবনের ছায়ার আঁধারে
    কে ওই রমণী প’ড়ে এক ধারে
    তাঁহার চরণোপ্রান্তে!

    (আম্র   – আম)

    নিদারুণ রোগে মারীগুটিকায়
    ভরে গেছে তার অঙ্গ–
    রোগমসী ঢালা কালী তনু তার
    লয়ে প্রজাগণে পুরপরিখার
    বাহিরে ফেলেছে, করি’ পরিহার
    বিষাক্ত তার সঙ্গ।

    (তনু,- দেহ/শরীর, পরিহার – বর্জন/ত্যাগ,  গুটি-গুটিকা-  ছোট দানা/ বসন্ত রোগের ব্রণ)

    সন্ন্যাসী বসি আড়ষ্ট শির
    তুলি নিল নিজ অঙ্কে–
    ঢালি দিল জল শুষ্ক অধরে,
    মন্ত্র পড়িয়া দিল শির-‘পরে,
    লেপি দিল দেহ আপনার করে
    শীতচন্দনপঙ্কে।
    ঝরিছে মুকুল, কূজিছে কোকিল,
    যামিনী জোছনামত্তা।

    (আড়ষ্ট – অসাড়/ জড়,  অধর – ঠোঁট/নিচের ঠোঁট, যামিনী   – রাত্রি)

    “কে এসেছ তুমি ওগো দয়াময়’
    শুধাইল নারী, সন্ন্যাসী কয়–
    “আজি রজনীতে হয়েছে সময়,
    এসেছি বাসবদত্তা!’

    English Transliteration:

    Abhishar
    Rabindranath tagore

    Bodhisottabadon-kolpona
    Sonnyashi upogupto
    Mothurapurir prachirer tole
    Ekoda chilen supto–
    nogorir deel nibeche pobone,
    Duar ruddha pouro bhobone,
    Nishither tara srabongogone
    Ghono meg obolupto.

    Kahar nupurshingit pod
    Sohosha bajilo bokke!
    Sonnyashibor chomki jagilo,
    Shopnojorima poloke bhagilo,
    Ruro deeper alok lagilo
    Khomashundar chokke.
    Nogorir noti chole abhisare
    Joubonmode motta.
    Ongi anchal sunil boron,
    Runujhunu robe baje aboron–
    Sonnyashi-gaye porite choron
    Thamilo basbodotta.
    Prodip dhoriya herilo tahar
    Nobin gourokanti–
    Soummya sahosh torun boyan,
    Korunakirone bikocho noyan,
    Shubro lolate indusoman
    Bhatiche snighdha shanti.
    Kohilo romoni lolito khonte,
    Noyone jorito lojja,
    Khoma koro more kumar kishor,
    Doya koro jodi grihe cholo mor,
    E dhoronitol kothin kothor
    E nohe tomar shojjya.
    Sonnyashi kohe torun bichone,
    “Oyi labonnyapunjo,
    Ekhono amar somoy hoy ni,
    Jethay cholche jao tumi dhoni,
    Somoy jedin ashibe apni
    Jaibi tumar kunjo,
    Sohisha jhonjha toritshikhay
    Melilo bipul ashhya.
    Romoni kapiya uthilo torashe,
    Proloyoshongho bajilo batashe,
    Akashe bojro ghor porihashe
    hashilo ottohashya.
    ……
    Borsho tokhono hoy ni sesh,
    Esheche choitrosondhya.
    Batash hoyeche utola akul,
    Pothotorushakhe dhoreche mukul,
    Rajar kanone futeche bokul
    Parul rojonigondha .
    Oti duur hote ashiche pobone
    Bashir modir mondro.
    Jonohin puri, purobashi sobe
    Geche modhubone ful-utshobe–
    Sunnyo nogori nirkhi nirobe
    Hashiche purnochondro.
    Nirjon pothe jyotsna-alote
    Sonnyashi ek jatri.
    Mathar upore torubithikar
    Kokil khori uthe barbar,
    Etodin pore esheche ki tar
    Aji abhisharratri?
    Nogor charay gelen dondi
    Bahirprachirprante.
    Daralen ashi porikhar pare–
    Amroboner chayar adhare
    Ke oi romoni pore ek dhare
    Tahar choronoprante!
    Nidarun roge marigutikay
    Bhore geche tar songe–
    Rogmoshidhala kali tonu tar
    Loye projagone puroporikhar
    Bahire feleche, kori porihar
    Bishakto tar songo.
    Sonnyashi boshi arosto shir
    Tuli nilo nij onke–
    Dhali dilo jol shusko odhore,
    Montro poriya dilo shir pore,
    Lepi dilo deho apnar kore
    Shitchandanponghe.
    Jhoriche mukul, kujiche kokil,
    Jamini jochnamotta.
    “Ke eshecho tumi ogo doyamoy”
    Sudhailo nari, sonnyashi koy–
    “Ani rojonite hoyeche somoy,
    Eshechi bashobodotta!”

    See less
    • 0