Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
  • বাংলা অভিধান
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত

Discy Latest Questions

In: শিক্ষা

Subhash chandra bose bengali rachana?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on January 8, 2020 at 5:51 pm

    নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ভূমিকা : ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে একক শক্তি ও সাংগঠনিক ক্ষমতায় যিনি ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীনতার সূর্যোদয় ঘটিয়ে ছিলেন তার নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। রাজ শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিনীত আবেদন-নিবেদন পন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন না সুভাষ। বাহুবলেRead more

    নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

    ভূমিকা : ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে একক শক্তি ও সাংগঠনিক
    ক্ষমতায় যিনি ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীনতার সূর্যোদয়
    ঘটিয়ে ছিলেন তার নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। রাজ শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিনীত
    আবেদন-নিবেদন পন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন না সুভাষ। বাহুবলে ভারতবাসীর জন্য
    স্বাধীনতার সূর্য উদয়ে তিনি ছিলেন দৃঢ় সংকল্প। শেষ পর্যন্ত যে তিনি সফল হননি সেটা
    রাজনীতির কুটচাল। তবে স্বদেশের মাটিতে উত্তোলন করেছিলেন স্বাধীনতার পতাকা।
    তাই তাে আজও স্বদেশ বাসীর কণ্ঠে উচ্চারিত ধ্বনি : জয়তু নেতাজী।

    জন্ম ও বাল্যজীবন : ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি ওড়িয্যার কটক
    শহরে জন্মগ্রহণ করেন।তার পৈত্রিক নিবাস ছিল চব্বিশ পরগনা কোদালিয়া গ্রামে।
    পিতার নাম জানকী নাথ বস ও মাতা প্রভাবতী দেবী। ছাত্র জীবনে সুভাষ এক দিকে
    যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি ছিলেন দুর্লভ মনোবলের অধিকারী। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি
    প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। অতি শৈশব থেকেই তার মানব
    সেবার পরিচয় পাওয়া যায়। পিতা-মাতাকে লকিয়ে তিনি সঙ্গীদের সঙ্গে আর্ত-পীড়িত
    রোগীদের সেবা-শুভশ্রী যা করতেন।

    ছাত্র জীবনের বলিষ্ঠতা : ছাত্র জীবনেই তিনি সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন –
    মাতৃভূমির বন্ধন মোচন ও আর্তমানবতার সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার।এ
    কারণেই প্রেসিডেন্সি কলেজে বি. এ. পড়ার সময়ে অধ্যাপক ওটেনের বিরুদ্ধে রুখে
    দাড়িয়ে তিনি নিজ ভবিষ্যৎকে নষ্ট করেন। আর আই সি এস-এর লােভনীয় চাকুরি
    হেলায় ত্যাগ করে রাজনৈতিক নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বেছে
    নেন দুঃখ, দারিদ্র ও নির্যাতনের এক অনিশ্চিত জীবন।

    স্বাধীনতা সংগ্রাম জীবনের ব্রত : ভারতের ইতিহাসে রাজনৈতিক সুভাষ
    এক সফল ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। বঙ্গীয় প্রাদেশিক কলেজ, বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস
    কমিটি, দেশবন্ধুর স্বরাজ দল ও ফরওয়ার্ড পত্রিকা পরিচালনা ও সংগঠনে তিনি
    বিস্ময়কর সাফল্যের নজির রেখেছিলেন। তার কাছে রাজনীতি ও দেশসেবা ছিল ঈশ্বর
    সেবারই নামান্তর। বিভিন্ন জায়গায় বারংবার তিনি বলেছেন যে “এই আদর্শই আমার।
    জীবনের জপ-তপ ও স্বাধ্যায়।”

    নরম পন্থীদের সঙ্গে মতানৈক্য ও নিজ পথে সংগ্রাম : চরম পন্থী এই
    যুবনেতা সুভাষচন্দ্রের কাম্য ছিল ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ মুক্ত পূর্ণ স্বাধীনতা। এই মতাদর্শ নিয়ে
    জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। অপর পক্ষে, সরকারের।
    চোখেও তিনি বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত হন। ব্রিটিশ সরকার তাকে গৃহবন্দি
    করে রাখে। কিন্তু সদা সতর্ক-পুলিশের চোখে ধূলি দিয়ে তিনি ছদ্মবেশে বিপদজনক
    দুস্তর পথ পাড়ি দিয়ে ব্রিটিশ শত্রুদেশে জার্মানিতে এসে উপস্থিত হন। ভারত মাতার
    মুক্তির জন্য জার্মান রাষ্ট্রনায়ক হিটলার তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। বিপ্লবী রাসবিহারী
    বসুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিপদ সঙ্কুল সমুদ্র পথে পাড়ি দিয়ে জার্মানী থেকে জাপানে
    এসে উপস্থিত হন। সেখানে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে
    সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন ও তার পরিচালনা সুভাষচন্দ্রের
    জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। আজাদী সেনাদলের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল –“দিল্লি চলাে”।
    প্রেরণা তাদের নেতাজী।

    উপসংহার : নেতাজীর জীবনের রহস্যাবৃত পরিণতি দেশবাসীর মনকে
    আজও আলােড়িত করে চলেছে। তাই হাতে বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছিল
    কিনা এ প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি রাশিয়ার মহাফেজখানা থেকে
    এমন কিছু তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে, যা তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে প্রচারিত তথ্যের সম্বন্ধে
    সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। কিন্তু এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, তার মৃত্যুঞ্জয় উপস্থিতি যুগ
    হতে যুগান্তরে মুক্তি সংগ্রামী মানুষের মনে চির ভাস্কর হয়ে থাকবে। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের
    সাহসিক আঘাতে কম্পমান ব্রিটিশ শক্তি বুঝেছিল ভারত থেকে বিদায়ের কাল সমাগত।
    ব্রিটিশ শাসক বদান্যতার পরিচয় দিয়ে তাদের বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যের কুহিনুর ভারত
    ছেড়ে চলে যায়নি। সাম্রাজ্যের নিয়তি লিপি পাঠ করেই তারা বিদায় নিয়েছে। তারপর
    থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্যাস্ত কাল শুরু হয়েছে। ‘Springing Tiger’ নেতাজীর
    শাণিত তরবারি সেই অন্তিম আঘাত হেনেছ।

    See less
    • 0
  • 1
  • 432
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

রচনা : নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু | Netaji Subhash Chandra Bose essay in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on January 8, 2020 at 5:52 pm

    নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু ভূমিকা : ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে একক শক্তি ও সাংগঠনিক ক্ষমতায় যিনি ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীনতার সূর্যোদয় ঘটিয়ে ছিলেন তার নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। রাজ শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিনীত আবেদন-নিবেদন পন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন না সুভাষ। বাহুবলেRead more

    নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু

    ভূমিকা : ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে একক শক্তি ও সাংগঠনিক
    ক্ষমতায় যিনি ব্রিটিশ রাজশক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়ে স্বাধীনতার সূর্যোদয়
    ঘটিয়ে ছিলেন তার নাম নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু। রাজ শক্তির বিরুদ্ধে সংগ্রামে বিনীত
    আবেদন-নিবেদন পন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন না সুভাষ। বাহুবলে ভারতবাসীর জন্য
    স্বাধীনতার সূর্য উদয়ে তিনি ছিলেন দৃঢ় সংকল্প। শেষ পর্যন্ত যে তিনি সফল হননি সেটা
    রাজনীতির কুটচাল। তবে স্বদেশের মাটিতে উত্তোলন করেছিলেন স্বাধীনতার পতাকা।
    তাই তাে আজও স্বদেশ বাসীর কণ্ঠে উচ্চারিত ধ্বনি : জয়তু নেতাজী।

    জন্ম ও বাল্যজীবন : ১৮৯৭ সালের ২৩ শে জানুয়ারি ওড়িয্যার কটক
    শহরে জন্মগ্রহণ করেন।তার পৈত্রিক নিবাস ছিল চব্বিশ পরগনা কোদালিয়া গ্রামে।
    পিতার নাম জানকী নাথ বস ও মাতা প্রভাবতী দেবী। ছাত্র জীবনে সুভাষ এক দিকে
    যেমন ছিলেন মেধাবী, তেমনি ছিলেন দুর্লভ মনোবলের অধিকারী। ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি
    প্রবেশিকা পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। অতি শৈশব থেকেই তার মানব
    সেবার পরিচয় পাওয়া যায়। পিতা-মাতাকে লকিয়ে তিনি সঙ্গীদের সঙ্গে আর্ত-পীড়িত
    রোগীদের সেবা-শুভশ্রী যা করতেন।

    ছাত্র জীবনের বলিষ্ঠতা : ছাত্র জীবনেই তিনি সংকল্প গ্রহণ করেছিলেন –
    মাতৃভূমির বন্ধন মোচন ও আর্তমানবতার সেবায় নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার।এ
    কারণেই প্রেসিডেন্সি কলেজে বি. এ. পড়ার সময়ে অধ্যাপক ওটেনের বিরুদ্ধে রুখে
    দাড়িয়ে তিনি নিজ ভবিষ্যৎকে নষ্ট করেন। আর আই সি এস-এর লােভনীয় চাকুরি
    হেলায় ত্যাগ করে রাজনৈতিক নেতা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। বেছে
    নেন দুঃখ, দারিদ্র ও নির্যাতনের এক অনিশ্চিত জীবন।

    স্বাধীনতা সংগ্রাম জীবনের ব্রত : ভারতের ইতিহাসে রাজনৈতিক সুভাষ
    এক সফল ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব। বঙ্গীয় প্রাদেশিক কলেজ, বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস
    কমিটি, দেশবন্ধুর স্বরাজ দল ও ফরওয়ার্ড পত্রিকা পরিচালনা ও সংগঠনে তিনি
    বিস্ময়কর সাফল্যের নজির রেখেছিলেন। তার কাছে রাজনীতি ও দেশসেবা ছিল ঈশ্বর
    সেবারই নামান্তর। বিভিন্ন জায়গায় বারংবার তিনি বলেছেন যে “এই আদর্শই আমার।
    জীবনের জপ-তপ ও স্বাধ্যায়।”

    নরম পন্থীদের সঙ্গে মতানৈক্য ও নিজ পথে সংগ্রাম : চরম পন্থী এই
    যুবনেতা সুভাষচন্দ্রের কাম্য ছিল ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণ মুক্ত পূর্ণ স্বাধীনতা। এই মতাদর্শ নিয়ে
    জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাঁর বিবাদ বাধে। অপর পক্ষে, সরকারের।
    চোখেও তিনি বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসাবে চিহ্নিত হন। ব্রিটিশ সরকার তাকে গৃহবন্দি
    করে রাখে। কিন্তু সদা সতর্ক-পুলিশের চোখে ধূলি দিয়ে তিনি ছদ্মবেশে বিপদজনক
    দুস্তর পথ পাড়ি দিয়ে ব্রিটিশ শত্রুদেশে জার্মানিতে এসে উপস্থিত হন। ভারত মাতার
    মুক্তির জন্য জার্মান রাষ্ট্রনায়ক হিটলার তাকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন। বিপ্লবী রাসবিহারী
    বসুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিপদ সঙ্কুল সমুদ্র পথে পাড়ি দিয়ে জার্মানী থেকে জাপানে
    এসে উপস্থিত হন। সেখানে আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন করে ব্রিটিশ ভারতের বিরুদ্ধে
    সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। আজাদ হিন্দ বাহিনী গঠন ও তার পরিচালনা সুভাষচন্দ্রের
    জীবনের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। আজাদী সেনাদলের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল –“দিল্লি চলাে”।
    প্রেরণা তাদের নেতাজী।

    উপসংহার : নেতাজীর জীবনের রহস্যাবৃত পরিণতি দেশবাসীর মনকে
    আজও আলােড়িত করে চলেছে। তাই হাতে বিমান দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়েছিল
    কিনা এ প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি রাশিয়ার মহাফেজখানা থেকে
    এমন কিছু তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে, যা তাঁর মৃত্যু সম্পর্কে প্রচারিত তথ্যের সম্বন্ধে
    সামঞ্জস্য পূর্ণ নয়। কিন্তু এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, তার মৃত্যুঞ্জয় উপস্থিতি যুগ
    হতে যুগান্তরে মুক্তি সংগ্রামী মানুষের মনে চির ভাস্কর হয়ে থাকবে। নেতাজি সুভাষচন্দ্রের
    সাহসিক আঘাতে কম্পমান ব্রিটিশ শক্তি বুঝেছিল ভারত থেকে বিদায়ের কাল সমাগত।
    ব্রিটিশ শাসক বদান্যতার পরিচয় দিয়ে তাদের বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যের কুহিনুর ভারত
    ছেড়ে চলে যায়নি। সাম্রাজ্যের নিয়তি লিপি পাঠ করেই তারা বিদায় নিয়েছে। তারপর
    থেকেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সূর্যাস্ত কাল শুরু হয়েছে। ‘Springing Tiger’ নেতাজীর
    শাণিত তরবারি সেই অন্তিম আঘাত হেনেছ।

    See less
    • 4
  • 1
  • 49,449
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

Swami vivekananda essay in bengali? স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ?

  1. Sattystyle

    Sattystyle

    • 0 Questions
    • 1 Answer
    • 0 Best Answers
    • 5 Points
    View Profile
    Sattystyle
    Added an answer on January 13, 2021 at 9:53 am

    স্বামী বিবেকানন্দ ভূমিকা:বীর সন্ন্যাসী বিবেক বাণী ছুটেছে জগৎময়, বাঙ্গালীর ছেলে ব্যাঘ্রে-বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়।” কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আমাদের গৌরবের কথা বলতে গিয়ে এই কথাগুলি লিখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক সত্যকে বিবেকানন্দ যে ভাবে জগৎ সভায় উপস্থাপিত করেছিলেন, তার সত্যিইRead more

    1. স্বামী বিবেকানন্দ
    ভূমিকা:বীর সন্ন্যাসী বিবেক বাণী ছুটেছে জগৎময়,

    বাঙ্গালীর ছেলে ব্যাঘ্রে-বৃষভে ঘটাবে সমন্বয়।”

    কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত আমাদের গৌরবের কথা বলতে গিয়ে এই কথাগুলি লিখেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে। ভারতবর্ষের আধ্যাত্মিক সত্যকে বিবেকানন্দ যে ভাবে জগৎ সভায় উপস্থাপিত করেছিলেন, তার সত্যিই তুলনা হয় না। ভারতবর্ষকে তিনি বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

    জন্ম ও পরিচয় : ১৮৬৩ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই জানুয়ারি কলকাতার বিখ্যাত দত্ত পরিবারে বিবেকানন্দের জন্ম হয়। শৈশবে তার নাম ছিল “বীরেশ্বর’ বা ‘বিলে’। তার পিতা বিশ্বনাথ দত্ত সে যুগের একজন বিখ্যাত এটর্নি ছিলেন। মাতা ভুবনেশ্বরীও ছিলেন তেজস্বী মহিলা। প্রথমে গৃহশিক্ষকের কাছে, পরে মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে, এবং তারপর প্রেসিডেন্সি কলেজে তিনি পড়েন। ১৮৮৩ সালে তিনি বি. এ. পাশ করে আইন পড়তে আরম্ভ করেন বটে, কিন্তু হঠাৎ পিতার মৃত্যু হওয়ায় পড়াশুনা ছাড়তে তিনি বাধ্য হন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ঈশ্বরমুখী ছিলেন। সংকীর্ণ জাত-পাত তিনি মানতেন না।

    রামকৃষ্ণদেবের সান্নিধ্য :- বি. এ. পড়বার সময় তিনি পরমপুরুষ রামকৃষ্ণদেবের সংস্পর্শে আসেন। আর এই সংস্পর্শে আসার প্রথম দিনটি থেকেই তিনি রামকৃষ্ণ দেবের প্রতি এক গভীর আকর্ষণ অনুভব করেন। তাঁর বিশেষ আধ্যাত্মিক ক্ষমতা এই তরুণ যুবকটিকে দান করে তাকে দীক্ষিত করেন নতুন নতুন মন্ত্রে। রামকৃষ্ণদেব ছিলেন নবযুগের আচার্য। সকল ধর্ম ও মতের প্রতি তিনি ছিলেন শ্রদ্ধাশীল এবং তিনি তার। সাধনা ও জীবন চর্চার ভিতর দিয়ে আবিষ্কার করেছিলেন যে “যত মত তত পথ’।তাছাড়া জীব সেবার মধ্য দিয়েই যে ঈশ্বর সেবা হয়, এতে তিনি ছিলেন গভীর বিশ্বাসী।

    ভারত পরিক্রমা : ১৮৮৬ খৃষ্টাব্দে রামকৃষ্ণদেবের মৃত্যুর পর বিবেকানন্দ পরিব্রাজক হয়ে তিন বছর ধরে সারা ভারত পরিক্রমা করেন। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে আমেরিকার শিকাগাে শহরে ধর্মমহাসভায় বক্তৃতা দেওয়ার জন্য হিন্দু ধর্মের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে তিনি ভারত থেকে রওয়ানা হলেন। এই মহাসভায় হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে বক্তৃতা দিয়ে তিনি অসাধারণ খ্যাতি অর্জন করেন। ইংল্যাণ্ড ও আমেরিকার বহু নর-নারী তার ধর্ম মতে আকৃষ্ট হয়ে তার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ভগিনী নিবেদিতা একজন।

    মিশন ও আদর্শ :- বিজয়ীর সম্মান নিয়ে দেশে ফিরে এসে ১৮৯৭ খৃষ্টাব্দে ‘রামকৃষ্ণ মিশন’ এবং ১৮৯৯ খৃষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করলেন ‘বেলুড় মঠ’। মানব সেবা, বেদান্ত দর্শন এবং রামকৃষ্ণের শিক্ষাপ্রচারই ছিল মিশন প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য। দয়া নয়, দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষদের সেবার মধ্যদিয়ে তিনি ঈশ্বর প্রাপ্তির পথ দেখিয়েছিলেন। তার মতে ঈশ্বর আছেন আমাদের সামনে ‘বহুরূপে’ দরিদ্র ও অবহেলিত মানুষদের মধ্যে। এদের সেবা করলেই ঈশ্বরকেই লাভ করা যাবে।

    ‘বহুরূপে সম্মুখে তােমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর; |

    জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।

    ভারত প্রীতি :- তিনি নিজদেশকে সকলের উপরে স্থান দিতেন। প্রতিটি ভারত বাসীকে তিনি জাতি ধর্ম নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ হতে আহ্বান জানিয়েছেন। দেশকে গড়ে তুলার জন্য তিনি স্বপ্ন দেখতেন, সেই দেশ গড়ার স্বপ্নকে তিনি চেয়েছেন বাস্তবে রূপায়ণ করতে। তার লক্ষ্যছিল সকলের কল্যাণের জন্য এক বৃহৎ অখণ্ড ভারতবর্ষ গড়ে তােলা। তিনিই এদেশ সম্পর্কে পাশ্চাত্যবাসীর ভ্রান্তধারণা দূর করেছিলেন। স্বামীজী দেখতে চেয়েছিলেন এক শক্তিশালী ভারতবর্ষকে।

    মানবতাবাদী বৈদান্তিকঃ স্বামী বিবেকানন্দ বৈদান্তিক সন্ন্যাসী হলেও আধুনিক মানবতাবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে হিন্দুধর্মের এই শ্রেষ্ঠ গ্রন্থটিকে গ্রহণ করেছিলেন। বেদান্তের এই নবভাস্যকার বলেন – ‘জগতে জ্ঞানালোেক বিস্তার কর; আলােক-অলােক লইয়া আইস। প্রত্যেকে যেন জ্ঞানের আলাে পায়, যতদিন না সকলেই ভগবান লাভ করে, ততদিন যেন তােমাদের কাজ শেষ না হয়। জগজ্জননীর কাছে তিনি মনুষ্যত্ব প্রার্থনা। করে বলেছেন, “হে জগদম্বে আমায় মনুষ্যত্ব দাও, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দুর কর, অমিয় মানুষ কর।’

    সাহিত্য কৃতি : শুধু কর্মের জগতেই নয়, চিন্তা ও মননশীলতার ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকান্দ মানবতার বাণী প্রচার করেন গেছেন। তাঁর রচিত প্রধান গ্রন্থগুলি— ‘পরিব্রাজক’, ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত’ প্রভৃতি উল্লেখযােগ্য। বাংলাভাষায় তাঁর পত্রগুচ্ছে কিছু বিজ্ঞানভিত্তিক আলােচনাও করেছেন। বাংলা চলিত গদ্যরীতির তিনি অন্যতম পথিকৃৎ, কথ্য শব্দ প্রয়োগেও দুঃসাহসী পথ প্রদর্শক। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সমৃদ্ধ ভারতবর্ষের, শিক্ষিত ভারতবর্ষের, সংস্কারহীন ভারতবর্ষের। ভারতবর্ষই ছিল তার শৈশবের শিশুশয্যা, যৌবনের উপবন আর বাধকের বারাণসী। তিনি বুকে হাত রেখে বলতে শিখিয়েছেন, “ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ আমার ভাই, আমার রক্ত। ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ, ভারতের দীনতা আমার অপমান।”

    উপসংহার : অত্যাধিক পরিশ্রম আর নিরলস কর্মসাধনায় এই কর্মী সন্ন্যাসীর শরীর ভেঙ্গে পড়ে। অবশেষে ১৯০২ সালের ৪ জুলাই মাত্র ৩৯ বৎসর। বয়সে এই বীর সন্ন্যাসী বেলুড় মঠে চিরনিদ্রায় অভিভূত হন। স্বামীজীর জন্ম দিবস সারা ভারতবর্ষে ‘জাতীয় যুব দিবস’ হিসাবে পালিত হয়। কিন্তু স্বামীজীর সেই ত্যাগ, সেই জীব প্রেম, সেই উদ্যম বর্তমান ভারতবর্ষে কোথায় ? অন্ধকার থেকে আলাের দিকে, মৃত্যু থেকে অমৃতের দিকে,অসৎ থেকে সৎ এর পথে আমাদের যাত্রা শুরু করেছিলেন যে মহামানব, সেই বিবেকানন্দই ভারতবর্ষের প্রকৃত বাতিঘর।

    See less
    • 0
  • 2
  • 11,457
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

শ্রীমন্ত শঙ্করদেব রচনা | Srimanta Sankardev Essay in Bengali?

  1. Akmal Mahmud Shah
    Added an answer on February 28, 2020 at 8:44 pm

    মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব ১। ভূমিকা : পৃথিবীতে যখনই অধর্ম আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে তখনই সাধুজনদের রক্ষা ও অধর্মীদের বিনাশের জন্য ভগবান যুগে যুগে আবির্ভূত হন। আসল কথা এই যে, বিপন্ন পথভ্রষ্ট জাতিকে সুস্থ-সুন্দর পথ দেখাবার জন্য যুগের প্রয়োজনেই দেবকল্প মানুষের আবির্ভূত হয় । এরূপ ধর্মীয় ও সামাজিক পটRead more

    মহাপুরুষ শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব
    ১। ভূমিকা : পৃথিবীতে যখনই অধর্ম আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে তখনই সাধুজনদের রক্ষা ও অধর্মীদের বিনাশের জন্য ভগবান যুগে যুগে আবির্ভূত হন। আসল কথা এই যে, বিপন্ন পথভ্রষ্ট জাতিকে সুস্থ-সুন্দর পথ দেখাবার জন্য যুগের প্রয়োজনেই দেবকল্প মানুষের আবির্ভূত হয় । এরূপ ধর্মীয় ও সামাজিক পট ভূমিকায় শঙ্করদেব আবির্ভাব হয়ে সমগ্ৰ অসমীয়া জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে সুস্থ জীবন চেতনায় প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এ কথা বলা যায় যে, শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব মধ্যযুগের জনজীবনে নবজাগরণ বা রেনেসাস ঘটিয়ে ছিলেন।
    ২। জন্ম ও বংশ পরিচয় : আসামের নগাওঁ জেলার অন্তর্গত বরদোয়ার আলিপুখুরী গ্রামে ১৪৪৯ খৃস্টাব্দে শঙ্করদেব জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কুসুমবর ও মাতার নাম সত্যসন্ধ্যাদেবী। তার জন্মক্ষণে মঙ্গল সূচক নানা অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল। এ থেকেই তাকে বিষ্ণুর অংশাবতার বলে গ্রহণ করা হয়। অতি শৈশবে শঙ্কর তার পিতা মাতাকে হারান। তাই তিনি তার পিতামহী খেরসূতী আইর সযত্ন স্নেহে প্রতিপালিত হন। বাল্যকালে তাকে মহেন্দ্ৰ কন্দলীর পাঠশালায় ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি অলৌকিক প্রতিভার পরিচয় দিয়ে বাল্যশিক্ষা সমাপ্ত করেন। |
    ৩। সাধনা ও আধ্যাত্ম সিদ্ধিলাভ: বাল্যকাল থেকেই শঙ্কর ধর্মপরায়ণ ও সত্যবাদী ছিলেন। অন্যান্য ধর্ম প্রচারক মহাপুরুষদের ন্যায় তিনি সংসার ধর্ম পরিত্যাগ করে সন্ন্যাস ধর্ম অবলম্বন করেননি। সংসারে থেকে সমাজের মধ্যে বাস করে পবিত্র ধর্মীয় জীবন যাপন করতেন। শঙ্করদেব উপলব্ধি করেছিলেন ঈশ্বর সর্বব্যাপী, সর্বশক্তিমান, নিরাকার আর অব্যক্ত।।
    ৪। মতবাদ ও ধর্মপ্রচার : বৈষ্ণবীয় ভক্তির আলােকে তিনি উপলদ্ধি করেন, ‘কষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং’। তিনি এক এবং অদ্বিতীয়। সেই একেশ্বরই স্রষ্টা, দুষ্টা, ত্রাতা ও সংহার কর্তা। এই মতবাদের ভিত্তিতে শঙ্করদেব “এক শরণ ভাগবতী ধর্ম” প্রবর্তন প্রবর্তিত করেন। এই ধর্মীয় মতবাদের মূল কথা হলাে – শ্রী হরির শরণ নিয়ে তার নাম শ্রবণ ও কীর্তন করলে এ সংসারের পাপ-তাপ, জরা-ব্যাধি থেকে মুক্তি লাভ করা যায়। তার প্রবর্তিত ধর্মমতে অস্পৃশ্যতা, জাতিভেদ ও জীব হত্যার স্থান নেই। সর্বজীবেই ঈশ্বরের প্রকাশ এবং তারা সকলেই প্রণম্য।
    ৫। তীর্থ পরিক্রমা ও গার্হস্থ্যধর্ম : পরিণত বয়সে শঙ্করদেব দু’বার নানা তীর্থে পরিভ্রমণ করেন। এই সময়ে তিনি বহু সাধু মহাপুরুষদের সঙ্গে ধর্মালােচনা করে এক নুতন দৃষ্টিলাভ করেন। ভারতের পবিত্র তীর্থ ক্ষেত্র গুলি পরিভ্রমণ করে সত্যজ্ঞান নিয়ে তিনি দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। তিনি সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেননি, তিনি ছিলেন নিরাসক্ত গৃহী। তার কাছে গৃহী ও ত্যাগীর স্থান সমান। তিনি মনে করতেন মানুষ সংসার ধর্ম পালন করলেও ঈশ্বরের করুণা লাভ করতে পারে।
    ৬। ধর্মমতের সংক্ষিপ্ত পরিচয় : শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব ছিলেন মানব প্রেমিক। সকল মানুষই ঈশ্বরের সন্তান। প্রতিটি মানুষের মধ্যে একই-ভগবানের অংশ রয়েছে সুতরাং স্পৃশ্য ও অস্পৃশ্যের ভেদ সৃষ্টি করা মানে ঈশ্বরকে অবহেলা করারই নামান্তর।
    “কোথা তুমি খুঁজিছ ঈশ্বর ?
    জীবে প্রেম করে যেইজন। |
    সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।”
    – এই সত্যকে শঙ্করদেব মনে প্রাণে অনুভব করতেন। মানুষকে ভালবাসতে না পারলে, কেউ ঈশ্বরকে ভালবাসতে পারে না। “মানুষকে ভালবাস, সত্য কথা বল, মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করিবে না; তবেই পাইবে ভগবানের আশীর্বাদ, জীবনে আসিবে শান্তি ও মুক্তি।”
    – এটাই ছিল শংকরদেবের বাণী ।
    ৭| সাহিত্য কৃতি : শঙ্করদেব আদর্শ ধর্মনীতি ও সমাজনীতি প্রচারের জন্য বহু- গীত ও নাটক রচনা করেন। তার রচিত ‘বরগীত’ ও ‘অঙ্কীয়া নট” অসমীয়া সাহিত্যের অপূর্ব সম্পদ। তিনি বহু বরগীত এবং কালীয় দমন, কেলি গােপাল, রামবিজয়, রুক্মিনী হরণ, পারিজাত হরণ প্রভৃতি নাটক রচনা করেন। অসমীয়া ধর্মীয় সাহিত্য এই সকল গ্রন্থের প্রভাবে বিশেষ সমৃদ্ধ।
    ৮| সাহিত্য সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অবদান : তিনি ভাগবতের কাহিনি অবলম্বন করে হরিশচন্দ্র উপাখ্যান, অজামিল উপাখ্যান, বলিছলন ইত্যাদি গ্রন্থ রচনা করেন। এগুলি ছাড়াও তিনি ‘ভক্তি প্রদীপ’, ‘অনাদি পাতন’, ‘ভক্তিরত্নাকর গুণমালা’, ‘রামায়ণের উত্তরাকাণ্ড’ ইত্যাদি গ্রন্থ রচনা করে অসমীয়া ধর্ম সংস্কৃতির পথ নির্দেশ করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থ সমূহে অসমীয়া জাতির রীতি-নীতি, আচার-ব্যবহার ও অসমীয়া সংস্কৃতির আদর্শ বর্ণিত হয়েছে। সমবেত কীর্তন ও নাট্যাভনয়ের পথিকৃৎ তিনি। তাছাড়া ‘নামঘর’ স্থাপন করা শঙ্করদেবের আর একটি কীর্তি। তার এসব কাজের ফলে অসমীয়া জনগণ ঐক্যবােধ ও মিলন চেতনায় দীক্ষিত হতে পেরেছে।
    ৯। উপসংহারঃ মহাপুরুষ শঙ্কর দেব একশত কড়ি বৎসর বয়সে দেহত্যাগ করেন। এই কাল-সীমার মধ্যেই অসমীয়া সমাজ বহুমুখী সমৃদ্ধি লাভ করে। তার প্রবর্তিত নব বৈষ্ণব ধর্ম, রচিত সাহিত্য ধর্ম-সংস্কৃতি ও সামাজিক জীবনকে সঞ্জীবিত করে। শ্ৰীমন্ত শঙ্করদেব একক প্রয়াসে একটি জাতির ধর্ম-সমাজ-সংস্কৃতিকে যে ভাবে সর্বাঙ্গীণ উন্নতি ও চিৎপ্রকর্ষের অভিমুখে প্রেরণ করেন, বিশ্বের ইতিহাসে তার তুলনা বিরল।

    See less
    • 1
  • 3
  • 10,385
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

বিজ্ঞান ও কুসংস্কার | bigyan o kusanskar rachana?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on January 7, 2020 at 11:25 pm

    ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে । এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ যে জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন। করেRead more

    ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।
    এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ
    যে জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের
    বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন।
    করেছে। মানুষের কাছে কোন কিছুই আজ আর অসম্ভব নয়। কোন একদিনের সে।
    গুহাচারী মানুষ আজ নির্মাণ করছে গগনস্পর্শী অট্টালিকা। আদিম মানুষ থেকে আধুনিক
    জীবনে উপনীত হওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলাে বিজ্ঞান। –
    বিজ্ঞানের জন্ম : সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ গভীর অরণ্যে, নদীতীরে করতাে।
    বসবাস। ভয়ঙ্কর প্রকৃতি বার বার মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। গভীর অরণ্যে ঝড়
    ঝঞা-বন্দ্র বিদ্যুৎ আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষকে বাঁচতে হতাে নিরন্তর সংগ্রামের
    মধ্যে। মানুষ ছিল তখন প্রকৃতির হাতের ক্রীড়নক। সে দিন মানুষকে রক্ষা করতে
    আসেননি স্বর্গবাসী কোন দেবতা। কিন্তু মানুষ যেদিন নিজ বুদ্ধি বলে পাথর ঘষে অস্ত্র
    নির্মাণ করে পশুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করল, তারপর ভয়ঙ্কর প্রকৃতিকে
    বশে এনে আত্মরক্ষার চিন্তা করল সে দিন জন্ম হলে বিজ্ঞানের।সে বিজ্ঞান-বুদ্ধির
    উপর নির্ভর করে মানুষ শিখেছে আগুনের ব্যবহার, শিখেছে কৃষিকর্ম, বয়ন কর্ম আর
    রাস্তা নির্মাণ। ওই বিজ্ঞানের বলেই নিসর্গ প্রকৃতি তথা জলে-স্থলে-আকাশ উড়াল
    বিজয় পতাকা। কবির ভাষায়
    “পাখিরে দিয়েছ গান,
    গায় সেই গান
    তার বেশী করে না সে দান,
    আমারে দিয়েছ সুর।
    আমি তার বেশি করে দান।
    আমি গাই গান।
    এভাবে মানুষ আপন প্রভাব বিস্তার করে বিধাতার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে নিজেকে
    প্রমাণ করল।
    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : আজ শতশত শতাব্দী ধরে চলে
    আসছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। সভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনে বিজ্ঞানের সীমাহীন অবদানের
    কথা আজ আর কারো অজানা নয়। বিজ্ঞানকে করায়ত্ত করে মানুষ সাগর লঙঘন।
    করল, উদ্দাম নদী স্রোতকে বশীভূত করে বাঁধ দিয়ে তার দুই তীর জুড়ে দিল। খাল
    নির্মাণ করে নদীর জল ধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মরু প্রান্তরকে উর্বর শস্য
    শালিনী করে তুলল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিন আরম্ভ করা থেকে রাত্রে শয্যা গ্রহণ,
    জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ আজ বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বলা যায়, জন্ম থেকে
    মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী।
    বৈদ্যুতিক অবদান : বৈদ্যুতিক শক্তির সহায়তায় সুইচ টিপে উঠে যাচ্ছে।
    মানুষ ঘরের বিভিন্ন তলার কক্ষে। তাইতো আজ পাঁচতলা, দশতলা আর বাহান্ন তলা
    বাড়িতে হাটু ভেঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবার আর প্রয়ােজন নেই – রয়েছে লিফট।
    | তাছাড়া বৈদ্যুতিক পাখা, হিটার, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক
    বেল, ঘড়ি, দাড়ি কামানাের সরঞ্জাম। সর্বোপরি মােবাইল ফোন যা সকাল থেকে রাত্র।
    পর্যন্ত এই গানটা পৃথিবীটাকে নিয়ে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই আজ আর।
    | চিঠিপত্র লিখে সময় নষ্ট করে – সময় গড়িয়ে আত্মীয় স্বজনের খবর নেওয়ার প্রয়ােজন হয় না। ইলেকট্রিকের মাধ্যমে E. V. M. মেশিনের দ্বারা জনসাধারণ তাদের নেতা।
    নির্বাচন করেছেন অতি সহজে।
    টেলিভিশনের অবদান : আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার।
    টেলিভিশন। যার কল্যাণে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের
    চক্ষুগোচর হচ্ছে। এত সহজে এত অল্প সময়ে এত বিস্তৃত ভাবে লক্ষ লক্ষ জ্ঞান শিক্ষা
    ও আনন্দ বিতরণের ব্যবস্থায় দূরদর্শন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দূরদর্শন ছাত্র-শিক্ষক, চাকুরিজীবি,
    রাজনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের জন্যই প্রয়ােজনীয়। আমেরিকার
    বক্তৃতা, ইংল্যান্ডের গান আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট খেলার বর্ণনা আমরা ঘরে বসেই
    টেলিভিশনে দেখতে পাই। এরকম আনন্দ দানের এত বড় মাধ্যম পৃথিবীতে কোন
    কালে ছিল না।
    বিজ্ঞানের আবিষ্কার – কম্পিউটার ও লেপটপ : বিজ্ঞানের বিস্ময়কর।
    আবিষ্কার কম্পিউটার আর ল্যাপটপ এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে যােগ-বিয়ােগ,
    গুণ-ভাগের বড় বড় অংকের নির্ভুল ভাবে হিসেবে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে বেঙ্ক,
    অফিস-আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাবের কাজে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।
    চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান : পৃথিবীতে আজ মানুষের গড় আয়ু
    বৃদ্ধি হয়েছে যার দৌলতে সে হচ্ছে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিজ্ঞান। পদার্থ বিজ্ঞান এবং
    রসায়নের অগ্রগতি আরও বিস্ময়ের ব্যাপার। পূবে যে সব রোগ একে বারেই দুরারােগ্য
    ছিল আজ আর তা এমনটি নয়। বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে অনেক জীবনদায়ী
    ঔষধ যা বাড়াচ্ছে মানুষের গড় আয়ু। আজকের পৃথিবীতে কলেরা, মহামারী, টাইফয়েড,
    বসন্ত, কর্কট, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ব্লাড ফ্লু প্রভৃতি মারাত্মক রোগ আর দুরারোগ্য।
    নয়। চিকিৎসকরা রঞ্জন রশ্মির সাহায্যে শরীরের ভিতরকার ছবি তুলে তা পরীক্ষা করে।
    নি সন্দিগ্ধ চিত্তে চিকিৎসা করতে পারছেন। রেডিয়ামের দ্বারা দুরারোগ্য ট রোগের
    চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। কৃত্রিম হৃদয় স্থাপন, কিড়নি স্থাপন প্রতিদিনই বড় বড়
    চিকিৎসালয়ে চলছে। বস্তুত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথা অল্প কথায় বলে শেষ
    করা যায় না।
    কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব : কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান আজকের দিনে।
    অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের অবদানে উষর ভূমি আজ হয়েছে শস্য-শ্যামল ভূমি। পূর্বে
    যেভাবে ছিল দৈব নির্ভর কৃষিকাজ অর্থাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল,
    বর্তমানে তা আর নয়। উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, নানা প্রকার যন্ত্রপাতি
    – ঢের, পাম্প-মেশিন এবং অধিক ফলনের জন্য গাছের অনুখাদ্য আবিষ্কারের ফলে
    কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের লােকের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি
    করা সম্ভব হচ্ছে।
    উপসংহার : বিজ্ঞান যেভাবে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ উন্নতি সাধন করে।
    চলেছে ঠিক সেভাবে বিজ্ঞানের আবার কিছু কিছু ধ্বংসাত্মক দিকও আছে। তবে
    মানুষের উপরে বিশ্বাস হারানাে ঠিক নয়। পৃথিবীতে এখনও বিবেকবান মানুষের
    অভাব নেই ধীর গতিতে হলেও বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে। আশা করা যায় মানুষ এই বিজ্ঞানকে সার্বিক মানব কল্যাণে ব্যবহার করবে। বিজ্ঞান কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবে।

    See less
    • 0
  • 1
  • 6,078
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

বাংলা রচনা দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান | doinondin jibone biggan bangla rochona?

  1. Prakash
    Added an answer on December 21, 2019 at 11:31 pm
    This answer was edited.

    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ - বিশেষ  জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপRead more

    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান

    ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে ।এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। বিজ্ঞান’ শব্দটির অর্থ – বিশেষ  জ্ঞান। মানুষ অন্য প্রাণীর তুলনায় অনেক উন্নত ও বুদ্ধিমান। তাই সীমাবদ্ধ জ্ঞানের বাইরে বিশেষ জ্ঞানের সাহায্যেই সে বিশ্বের সব প্রাণীদের উপর অধিকার স্থাপন করেছে। মানুষের কাছে কোন কিছুই আজ আর অসম্ভব নয়। কোন একদিনের সেই গুহাচারী মানুষ আজ নির্মাণ করছে গগনস্পর্শী অট্টালিকা। আদিম মানুষ থেকে আধুনিক জীবনে উপনীত হওয়ার একমাত্র অবলম্বন হলাে বিজ্ঞান।

    বিজ্ঞানের জন্ম : সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ গভীর অরণ্যে, নদীতীরে বসবাস করতো । ভয়ঙ্কর প্রকৃতি বার বার মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। গভীর অরণ্যে ঝড় ঝঞা-বন্দ্র বিদ্যুৎ আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষকে বাঁচতে হতাে নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে। মানুষ ছিল তখন প্রকৃতির হাতের ক্রীড়নক। সে দিন মানুষকে রক্ষা করতে আসেননি স্বর্গবাসী কোন দেবতা। কিন্তু মানুষ যেদিন নিজ বুদ্ধি বলে পাথর ঘষে অস্ত্র নির্মাণ করে পশুদের আক্রমণ থেকে নিজেদের রক্ষা করল, তারপর ভয়ঙ্কর প্রকৃতিকে বশে এনে আত্মরক্ষার চিন্তা করল, সে দিন জন্ম হল বিজ্ঞানের।সে বিজ্ঞান-বুদ্ধির উপর নির্ভর করে মানুষ শিখেছে আগুনের ব্যবহার, শিখেছে কৃষিকর্ম, বয়ন কর্ম আর রাস্তা নির্মাণ। ওই বিজ্ঞানের বলেই নিসর্গ প্রকৃতি তথা জলে-স্থলে-আকাশ উড়াল বিজয় পতাকা। কবির ভাষায়

    “পাখিরে দিয়েছ গান,
    গায় সেই গান
    তার বেশী করে না সে দান,
    আমারে দিয়েছ সুর।
    আমি তার বেশি করে দান।
    আমি গাই গান।

    এভাবে মানুষ আপন প্রভাব বিস্তার করে বিধাতার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করল।

    দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : আজ শতশত শতাব্দী ধরে চলে আসছে বিজ্ঞানের জয়যাত্রা। সভ্যতার বিকাশ ও বিবর্তনে বিজ্ঞানের সীমাহীন অবদানের কথা আজ আর কারো অজানা নয়। বিজ্ঞানকে করায়ত্ত করে মানুষ সাগর লঙঘন। করল, উদ্দাম নদী স্রোতকে বশীভূত করে বাঁধ দিয়ে তার দুই তীর জুড়ে দিল। খাল নির্মাণ করে নদীর জল ধারাকে দিকে দিকে ছড়িয়ে দিয়ে মরু প্রান্তরকে উর্বর শস্য শালিনী করে তুলল। সকালে ঘুম থেকে উঠে দিন আরম্ভ করা থেকে রাত্রে শয্যা গ্রহণ, জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ আজ বিজ্ঞানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। বলা যায়, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আমরা বিজ্ঞানের মুখাপেক্ষী।

    বৈদ্যুতিক অবদান : বৈদ্যুতিক শক্তির সহায়তায় সুইচ টিপে উঠে যাচ্ছে। মানুষ ঘরের বিভিন্ন তলার কক্ষে। তাইতো আজ পাঁচতলা, দশতলা আর বাহান্ন তলা বাড়িতে হাটু ভেঙ্গে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠবার আর প্রয়ােজন নেই – রয়েছে লিফট।তাছাড়া বৈদ্যুতিক পাখা, হিটার, ফ্রিজ, ইলেকট্রিক ইস্ত্রি, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক বেল, ঘড়ি, দাড়ি কামানাের সরঞ্জাম। সর্বোপরি মােবাইল ফোন যা সকাল থেকে রাত্র পর্যন্ত এই গানটা পৃথিবীটাকে নিয়ে এসেছে মানুষের হাতের মুঠোয়। তাই আজ আর চিঠিপত্র লিখে সময় নষ্ট করতে হয় না – সময় গড়িয়ে আত্মীয় স্বজনের খবর নেওয়ার প্রয়ােজন হয় না। ইলেকট্রিকের মাধ্যমে E. V. M. মেশিনের দ্বারা জনসাধারণ তাদের নেতা নির্বাচন করেছেন অতি সহজে।

    টেলিভিশনের অবদান : আধুনিক যুগে বিজ্ঞানের একটি শ্রেষ্ঠ আবিষ্কার টেলিভিশন। যার কল্যাণে পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় ঘটনা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চক্ষুগোচর হচ্ছে। এত সহজে এত অল্প সময়ে এত বিস্তৃত ভাবে লক্ষ লক্ষ জ্ঞান শিক্ষা ও আনন্দ বিতরণের ব্যবস্থায় দূরদর্শন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। দূরদর্শন ছাত্র-শিক্ষক, চাকুরিজীবি, রাজনৈতিক বা বৈজ্ঞানিক, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সকলের জন্যই প্রয়ােজনীয়। আমেরিকার বক্তৃতা, ইংল্যান্ডের গান আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট খেলার বর্ণনা আমরা ঘরে বসেই টেলিভিশনে দেখতে পাই। এরকম আনন্দ দানের এত বড় মাধ্যম পৃথিবীতে কোন কালে ছিল না।

    বিজ্ঞানের আবিষ্কার – কম্পিউটার ও লেপটপ : বিজ্ঞানের বিস্ময়কর আবিষ্কার কম্পিউটার আর ল্যাপটপ এর মাধ্যমে খুব কম সময়ের মধ্যে যােগ-বিয়ােগ, গুণ-ভাগের বড় বড় অংকের নির্ভুল ভাবে হিসেবে সম্পন্ন করা যায়। বর্তমানে বেঙ্ক, অফিস-আদালত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এমনকি ব্যক্তিদের দৈনন্দিন জীবনে হিসাবের কাজে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

    চিকিৎসাক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান : পৃথিবীতে আজ মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি হয়েছে যার দৌলতে সে হচ্ছে চিকিৎসা শাস্ত্রে বিজ্ঞান। পদার্থ বিজ্ঞান এবং রসায়নের অগ্রগতি আরও বিস্ময়ের ব্যাপার। পূবে যে সব রোগ একে বারেই দুরারােগ্য ছিল আজ আর তা এমনটি নয়। বিজ্ঞান মানুষের হাতে তুলে দিয়েছে অনেক জীবনদায়ী ঔষধ যা বাড়াচ্ছে মানুষের গড় আয়ু। আজকের পৃথিবীতে কলেরা, মহামারী, টাইফয়েড, বসন্ত, কর্কট, যক্ষ্মা, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ব্লাড ফ্লু প্রভৃতি মারাত্মক রোগ আর দুরারোগ্য নয়। চিকিৎসকরা রঞ্জন রশ্মির সাহায্যে শরীরের ভিতরকার ছবি তুলে তা পরীক্ষা করে চিকিৎসা করতে পারছেন। রেডিয়ামের দ্বারা দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে। কৃত্রিম হৃদয় স্থাপন, কিড়নি স্থাপন প্রতিদিনই বড় বড়চিকিৎসালয়ে চলছে। বস্তুত চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতির কথা অল্প কথায় বলে শেষ করা যায় না।

    কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লব : কৃষিক্ষেত্রে বিজ্ঞানের অবদান আজকের দিনে অনস্বীকার্য। বিজ্ঞানের অবদানে উষর ভূমি আজ হয়েছে শস্য-শ্যামল ভূমি। পূর্বে যেভাবে ছিল দৈব নির্ভর কৃষিকাজ অর্থাৎ আকাশ থেকে বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল, বর্তমানে তা আর নয়। উচ্চ ফলনশীল বীজ, রাসায়নিক সার, নানা প্রকার যন্ত্রপাতি পাম্প-মেশিন এবং অধিক ফলনের জন্য গাছের অনুখাদ্য আবিষ্কারের ফলে কৃষিতে সবুজ বিপ্লবের সৃষ্টি হয়েছে। দেশের লােকের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে।

    উপসংহার : বিজ্ঞান যেভাবে দৈনন্দিন জীবনে অহরহ উন্নতি সাধন করে।চলেছে ঠিক সেভাবে বিজ্ঞানের আবার কিছু কিছু ধ্বংসাত্মক দিকও আছে। তবে মানুষের উপরে বিশ্বাস হারানাে ঠিক নয়। পৃথিবীতে এখনও বিবেকবান মানুষের অভাব নেই ধীর গতিতে হলেও বিশ্ববিবেক জাগ্রত হচ্ছে। আশা করা যায় মানুষ এই বিজ্ঞানকে সার্বিক মানব কল্যাণে ব্যবহার করবে। বিজ্ঞান কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবে।

    See less
    • 3
  • 1
  • 27,661
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

বাংলা প্রবন্দ : বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ | vigyan ashirbad na abhishap bengali rachana

  1. Prakash
    Added an answer on December 21, 2019 at 11:52 pm
    This answer was edited.

    বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। 'বিজ্ঞান' শব্দের প্রকৃত অর্থ। হলাে বিশেষ জ্ঞান। 'বি মানে বিশেষ। অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞান যা মানুষকে বিশেষ রূপে জ্ঞানের পথে পরিচালনা করে। যেখানে থাকে না কুসংস্কার, অন্ধবিRead more

    বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ

    ভূমিকা : মানব জাতির গৌরবের শিখরে উত্তরণে যার ভূমিকা নিঃসংশয়ে
    এক বাক্যে স্বীকার করে নিতে হয় তার নাম বিজ্ঞান। ‘বিজ্ঞান’ শব্দের প্রকৃত অর্থ।
    হলাে বিশেষ জ্ঞান। ‘বি মানে বিশেষ। অর্থাৎ বিশেষ জ্ঞান যা মানুষকে বিশেষ রূপে
    জ্ঞানের পথে পরিচালনা করে। যেখানে থাকে না কুসংস্কার, অন্ধবিশ্বাস, থাকে শুধু
    সঠিক পথের নির্দেশ। বিজ্ঞান আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। তবে বর্তমান মানব।
    সভ্যতা বিজ্ঞানের কাছ থেকে কী পেয়েছে আর বিজ্ঞান মানব সভ্যতার কাছ থেকে
    কতটুকু গ্রহণ করছে তার হিসাব নিকাশ করবার দিন এসে গেছে।

    বিজ্ঞানের জন্ম ও ক্রম বিকাশ : বিজ্ঞানের জন্ম কেমন করে হলাে? তা।
    কোনও প্রাণীর মতাে একটি মুহূর্তে জন্ম লাভ করেনি। শতশত বছর ধরে অসংখ্য
    মানুষের চিন্তা ও কর্মের মধ্যদিয়ে তিলে তিলে এই বিজ্ঞানের জন্ম হয়েছে। সৃষ্টির উষা
    লগ্নে মানুষ ছিল গুহাবাসী। গভীর অরণ্যে, নদীতীরে ছিল মানুষের বাসস্থান। ভয়ঙ্করী
    প্রকৃতি বার বার মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকত। গভীর অরণ্যে ঝড়-ঝঞ্জা, বদ্র-বিদ্যুৎ
    আর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে মানুষকে বাঁচতে হবে নিরন্তর সংগ্রামের মধ্যে। মানুষ
    ছিল তখন প্রকৃতির হাতের ক্রীড়নক। সেদিন মানুষকে রক্ষা করতে স্বর্গ থেকে নেমে
    আসেননি কোন দেবতা। কিন্তু মানুষ যেদিন নিজ বুদ্ধি বলে পাথর ঘষে অস্ত্র তৈরি করে
    পশুদের আক্রমণ প্রতিহত করল, তারপর ভয়ঙ্কর প্রকৃতিকে বশে এনে আত্মরক্ষার
    চিন্তা করল সে দিনই বলা যায় জন্ম বিজ্ঞানের। মানুষ বিজ্ঞান-বুদ্ধির উপর নির্ভর করে
    শিখেছে আগুনের ব্যবহার, শিখেছে কৃষিকর্ম, বয়ন কর্ম আর রাস্তা নির্মাণ, ওই বিজ্ঞানের
    শক্তির নিসর্গ প্রকৃতি তথা আকাশে, স্থলে-জলে আধিপত্য বিস্তার করে। এভাবে
    মানুষ আপন প্রভাব ও আধিপত্য বিস্তার করে বিধাতার শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করল। আমরা এতক্ষণ যা বললাম তার সব কিছুই বিজ্ঞানের আশীর্বাদ।

    আধুনিক যুদ্ধ ও বিজ্ঞান : আধুনিক কালের যুদ্ধ বিগ্রহ মানুষকে করে
    তুলেছে আতঙ্কিত। বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে রণনীতি ও অভাবনীয় রূপে পরিবর্তিত
    হয়ে গেছে। আধুনিক কালের যুদ্ধ বাহুবলের নয়, অস্ত্র বলের। আধুনিক সংগ্রাম যে

    এত পরিমাণে সর্বনাশা হয়ে উঠেছে তার মূলে রয়েছে বিজ্ঞানের নিত্য নতুন মারণ
    অস্ত্রের আবিষ্কার। তাই সমগ্র বিশ্বের শান্তি প্রিয় মানুষ আজ বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীর দিকে
    বিভ্রান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মানুষ তাই বিজ্ঞানের অবদান সম্পর্কে সন্দিহান হয়ে
    উঠেছে, বারবার একটি জিজ্ঞাসা থাকে ভাবিয়ে তুলেছে– আধুনিক বিজ্ঞান কী চায় –
    সভ্যতার অগ্রগতি না বিনাশ ? জীবন না মৃত্যু।

    যান্ত্রিক যুদ্ধ : প্রথম মহাযুদ্ধে মারণ-অস্ত্রের এমন ভয়াবহ রূপ আত্মপ্রকাশ
    করেনি। কিন্তু দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষ অস্ত্র ভয়ঙ্কর, দানবীয় শক্তি, শত সহস্রগুণ বেশি
    ভয়াবহ ও মারাত্মক। মাত্র দুটি আণবিক বোমার প্রলয়ংকর বিস্ফোরণে অগণিত
    অধিবাসী সহ জাপানের দুটি শিল্প সমৃদ্ধ নগরী হিরোশিমা ও নাগাসাকি মুহুর্তে পৃথিবীর
    বুক থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল। আর বিংশ শতাব্দীর পৃথিবীর বৃহত্তম বাণিজ্য নগরীর
    হোয়াইট হাউস ধ্বংসের স্মৃতি মানুষকে ভীত ও শঙ্কিত করে তুলেছে। পারমাণবিক অস্ত্রের
    ভারসাম্য তৈরি করতে আমেরিকা যে জানালাটি খুলে দিয়েছে তা একই সঙ্গে অস্ত্রের
    ভারসাম্য গত নিয়ন্ত্রণ চুক্তির ও নক্ষত্র যুদ্ধের বাতায়ন। স্বদেশের নিরাপদ মাটিতে বসে
    প্রযুক্তি বিদ্যার সাহায্যে আকাশপথে শত্রুদেশে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়াই হবে আগামী
    যুদ্ধের লক্ষ্য। সভ্যতা বিধ্বংসী এই মনােভাবের পেছনে আছে হিংসা মদমত্ততা আর।
    লাভ। যতদিন পৃথিবীর বুকে সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ বর্তমানে থাকবে ততদিন বিশ্বের
    নর-নারীকে যুপকাষ্ট বদ্ধ মৃত্যুমুখী বলির পশুর মতাে ভয়ার্ত অসহায় হয়ে দিন যাপন।
    করতে হবে।
    বিজ্ঞানের মৃত্যু-সাধনার কারণ : বিজ্ঞানীদের কাছে মানুষের ঋণ অপরিমেয়,
    বিজ্ঞানের কল্যাণতম অবশ্যই স্বীকার্য। এখন আমাদের জিজ্ঞাসা, বিজ্ঞানীরা বিশ্ব ধ্বংসের
    কাজে নিজের শক্তি ও মনীষা নিয়োজিত করেছেন ? জীবন সাধনা পরিবর্তে কেন
    তাদের মৃত্যুমুখী সাধনা ? কোন শক্তির কাছে বিজ্ঞানী তার মহান আদর্শ, সমস্ত বিবেক
    বুদ্ধি বিক্রি করে দিয়ে জনকল্যাণের ক্ষেত্রে দেউলিয়া সেজে বসল ? এর জন্য কি
    বিজ্ঞানীরাই দায়ি না অপর কোন দানবীয় শক্তি – এই জটিল প্রশ্নের সমাধান আমাদেরই
    করতে হবে।
    পুঁজিবাদের বিকৃত ক্ষুধার ভয়াবহ পরিণাম : আধুনিক রাষ্ট্রধর্ম ও সমাজ
    ব্যবস্থা কে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এর পিছনে আত্মগোপন করে আছে মুষ্টিমেয়
    মানুষের সীমাহীন লোভ, পরাজিত কে শাসন ও শোষণের হিংস্র প্রবৃত্তি। ও পুঁজিবাদী
    মানবগোষ্ঠীর স্বার্থের ফলে সমগ্র পৃথিবী আজ আর্ত ও পীড়িত। সেই স্বার্থান্ধ ধনিক
    শ্রেণির কাছে জগতের বিজ্ঞানীরাও নিজেদের বিবেক, বুদ্ধি, প্রতিভা বিকিয়ে দিয়েছেন।।
    জীবনাদর্শের এই যে অধঃপতন, আজ এরই জন্য সাম্রাজ্যবাদ ক্ষুধার্ত গরুড়ের মতাে
    সমগ্র পৃথিবীকে গ্রাস করতে চাইছে। আর মানুষ দিন দিন নেমে আসছে পশুত্বের।
    পর্যায়।

    উপসংহার : রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন – ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানাে
    পাপ। সুতরাং বিজ্ঞানীদের সত্য তপস্যার উপর আমরা বিশ্বাস হারাব না। তাছাড়া
    পৃথিবীতে এখনও বিবেকবান দূরদৃষ্ট সম্পন্ন মানুষের অভাব নেই। ধীর গতিতে হলেও
    বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হচ্ছে, আশা করা যায় মানুষ বিজ্ঞানকে সর্বনাশের হাতিয়ার হিসেবে
    ব্যবহার করা থেকে নিবৃত্ত হয়েছে সার্বিক মানব কল্যাণে থাকে প্রয়োগ করবে। বিজ্ঞান
    কোটি কোটি মানুষের আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবে।

    See less
    • 0
  • 1
  • 10,594
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

দেশ ভ্রমণ প্রবন্ধ | Desh bhraman rochona in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 25, 2020 at 3:34 am

    দেশভ্রমণ শিক্ষার অঙ্গ। অথবা দেশভ্রমণের উপযােগিতা ভূমিকা: ঘরকুনাে সংসারী মানুষ যে নেশার টানে ঘরছাড়া হয়, তারই নাম ভ্রমণ।সংকীর্ণ সীমার মধ্যে বাস করে মানুষের মন যখন হাঁপিয়ে উঠে, তখনই সে চায়। উন্মুক্ত প্রকৃতির প্রভাব সহজাত এই উন্মুক্ত বিশ্ব প্রকৃতির অনন্ত সৌন্দর্য-সুধা পান করতে। অজানাকে জানা, অদেখাকেRead more

    দেশভ্রমণ শিক্ষার অঙ্গ। অথবা দেশভ্রমণের উপযােগিতা

    ভূমিকা: ঘরকুনাে সংসারী মানুষ যে নেশার টানে ঘরছাড়া হয়, তারই নাম ভ্রমণ।সংকীর্ণ সীমার মধ্যে বাস করে মানুষের মন যখন হাঁপিয়ে উঠে, তখনই সে চায়। উন্মুক্ত প্রকৃতির প্রভাব সহজাত এই উন্মুক্ত বিশ্ব প্রকৃতির অনন্ত সৌন্দর্য-সুধা পান করতে। অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখা, অচেনাকে চেনা মানুষের সহজাত প্রবণতা। আর এই প্রবণতাই মানুষকে ঠেলে নিয়ে চলেছে অরণ্য পথে, তুষারাচ্ছন্ন মেরু প্রদেশ, সমুদ্রতীর, মরু প্রান্তর আর পর্বত শৃঙ্গে।

    পথ চলা আনন্দের উৎস : সদরের পিয়াসি মানুষ পথ চলতেই আনন্দ পায়। মানুষের মন চিরচঞ্চল সে মনে একট সাড়া পেলেই তাকে ঘরে বেঁধে রাখা দায়।
    “ভোজনং যত্রতত্র শয়নং হট্ট মন্দিরে”
    বহুদক সন্ন্যাসীর মতাে ওই মন্ত্র নিয়ে শুধুই পথ চলা। আর থেমে থাকা নয়, সীমার গণ্ডি পেরিয়ে অসীমের দিকে কেবলই- “হেথা নয়, অন্য কোথা অন্য কোনাে খানে।” ভ্রমণ সাহিত্য গুলি আমাদের অমূল্য সম্পদ। ভ্রমণ যারা করেছেন, তাদের বিবরণ পড়ে মন যেন তাদের পিছু পিছু ভ্রমণ করে বেড়ায়। কর্মক্লান্ত জীবনকে মুক্তি বা আনন্দ দেওয়ার জন্য যে ভ্রমণ, আধুনিক যুগেই তার সুত্রপাত হয়েছে।

    শিক্ষা লাভের অঙ্গ : ভ্রমণ শুধু নিছক ঘুরে বেড়ানুই নয়। ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে ভ্রমণের গুরুত্ব অপরিসীম। বিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক হতে আমরা যে শিক্ষা লাভ করি, তাতে প্রত্যক্ষ জ্ঞান লাভ হয় না। আমরা ভুগােলে নানা দেশের কথা পড়ি। কত বিচিত্র দেশ বিচিত্র তার অধিবাসী, আরও বিচিত্র তার রীতিনীতি আর জীবনযাত্রা প্রণালী। তাছাড়া সুউচ্চ পর্বতের কথা, ধু-ধু মরুভূমির কথা, সাগরের অনন্ত জলরাশির কথা শুধু বইয়ে পড়ে সঠিক ভাবে জ্ঞান লাভ হয় না। প্রকৃতির বাণী কান পেতে শুনতে হলে প্রকৃতির পাশটিতে গিয়ে বসা চাই। পূর্ণ শিক্ষা লাভের জন্য তাই ভ্রমণ একান্ত জরুরি। দুঃখের বিষয় হল, আমাদের দেশে এখনও ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ভ্রমণের তেমন সুব্যবস্থা নেই। অথচ বিদেশে পৃথিবীর উন্নত দেশসমুহে দেশভ্রমণকে শিক্ষার অঙ্গ হিসাবেই গণ্য করা হয়।

    দেশভ্রমণ না করার কুফল : স্বদেশে ক্ষুদ্রগণ্ডীর মধ্যে চিরকাল আবদ্ধ থাকলে আমাদের মন সাধারণতঃ সংকীর্ণ হয়ে পড়ে। এর ফলে ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে আমরা দলাদলি ও হানাহানি করি। পল্লীবাসীদের কুপমণ্ডুকতাই এর প্রধান কারণ। যারা অনেক দেশভ্রমণ করেছে তাদের মন উদার হয়, মনে সংকীর্ণতা থাকে না। তাই নানা জাতির সংস্পর্শে থাকার ফলে গ্রামের লােকের চাইতে শহরের লােকের উদারতা বেশি। দেশভ্রমণের ফলে মানুষ মাত্রেই বুঝতে পারে যে, পরস্পরের সঙ্গে যােগসূত্র না থাকলে নিজেকেই অসহায় করা হয়। দেশভ্রমণ অপরিহার্য। পাশ্চাত্য মহাদেশের উন্নত দেশগুলি আধুনিক বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকার্যে কীভাবে উন্নতি লাভ করছে, যন্ত্র শিল্পের প্রতিষ্ঠা করে কীভাবে অন্যান্য দেশের বাজার হস্তগত করছে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্বন্ধ কাভাবে স্থাপন করছে, দেশভ্রমণের দ্বারাই এসব বিষয়ে প্রত্যক্ষ জ্ঞান সঞ্চয় করা যায়। কোথায় কোন প্রয়ােজনীয় জিনিস সুলভে প্রচুর পাওয়া যায়, কোথায় কোন জিনিসের চাহিদা বেশি, দেশভ্রমণের ফলে তাও বিশেষ ভাবে জানতে পারা যায়।

    অভিজ্ঞতা ও সৌন্দর্য বােধের প্রসার : মানুষ সৌন্দর্যের পুজারি। দেশ ভ্রুমণের ফলে সৌন্দর্যবােধ সঞ্চারিত হয়। জীবনের সামগ্রিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভাণডার সমৃদ্ধ হয়। প্রকৃতির নব নব সুন্দর্য দর্শন করে মানুষের রস পিপাসু মন পরিতৃপ্ত হয় । দেশ ভ্রমণের আনন্দ মনকে উন্নত ও বিকশিত করতে সাহায্য করে। ঘুরতে ঘুরতে পথ থেকে সে কুড়িয়ে যে জ্ঞান সঞ্চয় করে তার মূল্য কেতাবি বিদ্যার চেয়ে অনেক মূল্যবান হয় ।

    দেশ ভ্রমণ, প্রাচীন ও আধুনিক যুগে : দেশ ভ্রমণ মানব সভ্যতার প্রাচীনতম প্রবৃত্তি। এজন্য বহু লোকের মধ্যে একটা আজন্ম ভবঘুরে প্রবৃত্তি চোখে পড়ে।মানুষ যখন ঘর বেঁধে চাষবাস করতে শেখেনি, তখন সে এক স্থান হতে অন্যস্থানে ঘুরে মানুষ বেড়াত।একশতাব্দী পূর্বেও মানুষ ভ্রমণ করেছে বহু কষ্ট স্বীকার করে, ফা-হিয়ান, ইবন বতুতা প্রভৃতি পরিব্রাজকগণ অপর দেশের শিক্ষা, সভ্যতা, ধর্ম প্রভৃতি জানবার আগ্রহে ভারতে এসেছিলেন। তাদের ভ্রমণ কাহিনি হতে প্রাচীন ভারতের বিবরণ পাওয়া যায়।কলম্বাস, ভাস্কো-ডা-গামা, মঙ্গোপাঙন এর মতন ভ্রমণকারীদের দ্বারা পৃথিবীর বহু অজ্ঞাত স্থান আবিষ্কৃত হয়েছে। আজ কাল অনেক দুর্গম স্থানে ও ভ্রমণার্থীদের যাওয়া ও থাকা খাওয়ার সবন্দোবস্ত করা হয়েছে। দেশভ্রমণ আজ অনেকের কাছেই একটা নেশা বা পরিণত হয়েছে। শীতে,গ্রীষ্মে বা পুজোর ছুটিতে আজ দলে দলে মানুষ বেরিয়ে পড়ে ঘর ছেড়ে।

    উপসংহার : ভ্রমণ সত্যিই সুখের। আজকাল ভ্রমণের সঙ্গে পর্যটন শিল্পের বিষয়টিও জড়িয়ে আছে। নিজ দেশে দেশি ও বিদেশি ভ্রমণার্থীদের আকৃষ্ট করতে পারলে জাতীয় ভাণ্ডারে অনেক বিদেশি মুদ্রা অর্জন সম্ভব হয়।বিগত দিনের তুলনায় আজ ভ্রমণ ক্রমশই বাড়ছে, এটা সুখবর, সন্দেহ নেই। দেশে দেশে মানুষের যাতায়াত যত বাড়বে, তত বিভিন্ন দেশের মানুষের মধ্যে মেলামেশা, তাদের সভ্যতা সংস্কৃতি, পরিচয় সম্পর্কে আদান প্রদান সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক শান্তি স্থাপনের দূত হিসেবে ভ্রমণার্থীরাই সবচেয়ে উপযুক্ত। দেশভ্রমণের এটিও একটি মস্ত উপযােগিতা বলা যেতে পারে।

    See less
    • 0
  • 1
  • 12,886
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

ছাত্রজীবন এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য | Chatro Jibon Bangla Rochona?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on January 7, 2020 at 10:54 pm

    ছাত্রজীবন এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য ভূমিকা : আজ যারা ছাত্র, আগামীকাল তারা দেশের নাগরিক। কাজেই দেশের ভালাে-মন্দ ভবিষ্যৎ নিরূপিত হয় ছাত্র সমাজের জীবন ও চরিত্র গঠন, শিক্ষা দীক্ষা, রুচি-প্রকৃতি এবং কর্মপন্থা প্রভৃতির উপর। সতরাং মানব জীবনের গুরুত্ব পূণ। সময়ই হলাে ছাত্র জীবন। এই সময়কে কর্ম জীবনের উদ্যোRead more

    ছাত্রজীবন এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য

    ভূমিকা : আজ যারা ছাত্র, আগামীকাল তারা দেশের নাগরিক। কাজেই
    দেশের ভালাে-মন্দ ভবিষ্যৎ নিরূপিত হয় ছাত্র সমাজের জীবন ও চরিত্র গঠন, শিক্ষা
    দীক্ষা, রুচি-প্রকৃতি এবং কর্মপন্থা প্রভৃতির উপর। সতরাং মানব জীবনের গুরুত্ব পূণ।
    সময়ই হলাে ছাত্র জীবন। এই সময়কে কর্ম জীবনের উদ্যোগ-পর্ব বলেও ধরা যেতে
    পারে।

    ছাত্র জীবন ; বিদ্যারম্ভের সময় হতে শিক্ষা সমাপ্তির কাল পর্যন্ত কালকে
    ছাত্র জীবন বলা হয়। এই সময়সীমায় বর্তমান শিক্ষাক্রমে চারটি স্তর আছে। প্রাথমিক
    শিক্ষা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। এর সময়সীমা এক থেকে নয় বছর পর্যন্ত। দ্বিতীয় স্তর হল
    মাধ্যমিক শিক্ষা। এই স্তরে দশ-এগারাে বছর বয়সে শিক্ষা আরম্ভ আর পনের-যােল
    বছর বয়সে দশম শ্রেণীতে শিক্ষা-সমাপ্তি। তৃতীয় স্তর – উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা। এই স্তরে
    শিক্ষাথীকে দুই বছর শিক্ষা গ্রহণ করতে হয়। চতৰ্থ স্তর – উচ্চ শিক্ষা বা কলেজ
    ইউনিভারসিটির শিক্ষা। এই স্তরে উনিশ-কুড়ি বছর বয়স পর্যন্ত শিক্ষার্থীকে কলেজীয়
    বা স্নাতক শ্রেণির শিক্ষাক্রম এবং একশ-বাইশ বছর বয়স পর্যন্ত স্নাতকোত্তর
    শিক্ষাক্রম গ্রহণ করতে হয়।

    ছাত্র-জীবন অনুশীলন-পর্ব : অধ্যয়ন ছাত্রদের তপস্যা। “ছাত্রানং অধ্যয়নং
    তপঃ।” সর্ব স্তরেই ছাত্রদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য জ্ঞান অর্জন, অধ্যয়ন ও অনুশীলন।
    এ সময়ে সংযম, সহিষ্ণতা,ত্যাগ, সেবা প্রভৃতি মহৎ মূল্যবােধগুলিরও আহরণের উপযুক্ত
    সময়। একদিকে শিক্ষাচর্চা অন্যদিকে শিল্পিত স্বভাব ও সুদৃঢ় চরিত্র সংগঠনের উপযুক্ত
    প্রভৃতি কাল ছাত্রজীবন।

    প্রাচীন ভারতের ছাত্র জীবন : প্রাচীন ভারতে ছাত্রগণ গুরুগৃহে বাস করে
    অধ্যয়ন করত। গুরুকে কোন বেতন দিতে হতাে না।বরং গুরুই ছাত্রদের থাকা
    খাওয়ার ব্যবস্থা করতেন। ছাত্ররা শুরুর সেবা ও গৃহের কাজ কর্ম করে অবসর সময়ে
    পড়া-শুনা করত। ছাত্রদেরকে কঠোর ব্রহ্মচর্যের মধ্যদিয়ে জ্ঞান লাভ করতে হত।
    ব্রহ্মচর্যের কঠোর নিয়মে সকল প্রকার ভোগ বিলাসিতা ত্যাগ করে গুরুর কাছ থেকে
    লাভ করত সর্বশাস্ত্রের পূর্ণ জ্ঞান। সমস্ত সমাজের তখন মূল ভিত্তি ছিল গুরুকুলবাসী
    ছাত্র-সমাজ।

    দায়িত্ব-কর্তব্য ও চরিত্র গঠন শিক্ষা : একথা স্বীকার করতে হয় যে, শিশুর
    পক্ষে শিক্ষার অপরিহার্যতা ও চরিত্র গঠনের উপযোগিতা উপলব্ধি করা কঠিন ব্যাপার।।
    কাজে প্রথমাবস্থায় শিক্ষায় ও চরিত্র গঠনে মনোযোগী করে তোলার দায়িত্ব পিতামাতা।
    এবং শিক্ষকের। তারপর যখন শিশু কৈশােরকালে উপনীত হয় তখন হতে শিক্ষা ও
    চরিত্র গঠনে ছাত্রকে কিছুটা স্বনির্ভর হওয়া দরকার। যথা – পরিমিত বিদ্যাভ্যাস,
    খেলাধুলা, ভ্রমণ, দেহ ও মনের বলিষ্ঠ বিকাশ সাধনে নিজেকে যত্নবান হতে হবে। নিয়ম
    শৃঙ্খলা, সময়ানুবর্তিতা প্রভৃতি বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সততা, ন্যায়-নিষ্ঠা,ক্ষমা,
    উদারতা প্রভৃতি চারিত্রিক গুণাবলী শিক্ষা জীবনে অর্জন করতে হবে। মনে রাখা
    ভাল, চরিত্রহীন বিদ্যাশিক্ষা লােক সমাজে কোন মূল্যই বহন করে না। চরিত্র এমন একটি সম্পদ যা একবার অধঃ পতিত হলে বিশাল সম্পদের বিনিময়েও তা পুনরুদ্ধার
    করা যায় না।

    ভবিষ্যৎ নাগরিক হওয়ার শিক্ষা : এগুলি ছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের যে বিষয়ে
    সচেতন হওয়া দরকার তা হলাে দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে ভবিষ্যতের জন্য নিজেকে
    গড়ে তুলা। ছাত্র পাঠ্যগ্রন্থ বহুতর অনুসরণীয় আদর্শের কথা পাঠ করে, মনীবী
    মহাপুরুষদের জীবন কথা, তাদের ত্যাগ ও কর্তব্য নিষ্ঠার কথা জানতে পারে। এসব
    আদর্শ নিজেদের জীবনে রূপায়িত করার দায়িত্ব কিন্তু ছাত্রদেরই। এ ভাবেই একজন
    ছাত্র ভবিষ্যতে একজন পূর্ণাঙ্গ সামাজিক মানুষ ও নাগরিক হয়ে উঠতে পারবে।

    সেবাধর্মঃ ছাত্রসমাজ নিজেদের জীবনে শিক্ষার মূল্য উপলব্ধি করতে পারে,
    তাই আশা করা যায় তারা দেশের অশিক্ষিত মানুষদের শিক্ষিত করে তুলতে অগ্রণী
    ভূমিকা পালন করবে। নিজ নিজ পল্লীতে নৈশ বিদ্যালয় স্থাপন করে বয়স্ক ও দরিদ্রদের
    মধ্যে শিক্ষার আলাে বিতরণ করে দেশের ও দশের কল্যাণ সাধন করবে। তাছাড়া
    রোগীর সেবা ও দরিদ্রের সাহায্য ইত্যাদি কাজের ভারও ছাত্রদের কাঁধে তুলে নেওয়া
    দরকার। কারণ সেবা ধর্ম অতি পবিত্র ধর্ম।

    উপসংহার : অল্প কথায়, ছাত্রজীবন গঠন-পর্ব। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের
    প্রধান লক্ষ্য বিদ্যাভ্যাস ও জ্ঞান চর্চা। এ সবের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য চর্চা, চরিত্র গঠন,
    অধ্যবসায় ও অধায়নও পাশাপাশি চলবে। কূপমণ্ডুকতা ছাত্রজীবনেও মারাত্মক অভিশাপ।
    সুস্থ স্বাস্থ্য, মুক্ত জ্ঞান, মুক্ত দৃষ্টি, আনন্দোল পরমায়ু – এসবই ছাত্রের দরকার।
    ভবিষ্যতের সুখী কর্মঠ জ্ঞানী – বিবেকবান নাগরিক তারাই। মনে রাখতে হবে দেশ
    একটি মানচিত্র সম্মত ভূখণ্ড নয় কেবল, দেশ বহু জ্ঞানী-গুণী কর্মী, শিল্পী, ভাবুক কবি,
    সমাজসেবী রাজনীতিক প্রকৃতির লীলাভূমি – রম্য বাসস্থান।

    See less
    • 1
  • 5
  • 28,645
  • 0
Answer
In: শিক্ষা

রচনা : আমার প্রিয় খেলা | Amar priyo khela essay in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on April 14, 2020 at 8:59 am

    ফুটবল খেলা ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল। কারও মতে চীন আবার কারো মতে ইতালি থেকে ফুটবল খেলা আরম্ব হয় এবং পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । জনপ্রিয়তার কারণে ইহা একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং প্রতি চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযRead more

    ফুটবল খেলা

    ভূমিকা: বর্তমান বিশ্বের একটি জনপ্রিয় ও অন্যতম খেলা হচ্ছে ফুটবল। কারও মতে চীন আবার কারো মতে ইতালি থেকে ফুটবল খেলা আরম্ব হয় এবং পরবর্তী কালে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে । জনপ্রিয়তার কারণে ইহা একটি আন্তর্জাতিক খেলা হিসাবে স্বীকৃতি পায় এবং প্রতি চার বছর পর পর আন্তর্জাতিক স্তরে ফুটবল বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয় । ইউরোপ-আমেরিকার অনেক দেশেই ফুটবল একটি জাতীয় খেলা । আমাদের দেশে সর্বত্রই এই খেলার প্রচলন ও জনপ্রিয়তা দেখা যায়।
    মাঠের বর্ণনা ও খেলোয়াড়: ফুটবল খেলার মাঠ সাধারণত ১০০-১২০ গজ দীর্ঘ এবং ৫০-৫৬ গজ প্রস্থ হয়ে থাকে । মাঠের দুই প্রান্তে দু’টি করে গোলপোস্ট থাকে। প্রতিটি গোলপোস্ট এর উচ্চতা ৮ ফুট এবং একটি বার বা খুঁটির অপরটি থেকে ৮ গজ দূরে অবস্থিত। একটি আদর্শ ফুটবলের ওজন সাধারণত ১৪-১৬ আউন্স হয়ে থাকে। একটি ফুটবল খেলায় মোট ২২ জন খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করে , যারা দুইটি দলে ১১ জন করে বিভক্ত হয়ে খেলে থাকে। খেলা পরিচালনার জন্য একজন প্রধান রেফারি ও তাকে সাহায্যের জন্য দু’ জন লাইন্সম্যান থাকে।

    ফুটবল খেলার নিয়ম বা পদ্ধতি: পূর্বসিদ্বান্ত অনুযায়ী খেলার জন্য মাঠের মধ্যস্থলে দুই দল মুখোমুখি অবস্থান করে। রেফারির বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু হয় এবং প্রত্যেক খেলোয়াড় নিজের অবস্থানে চলে যায়। সাধারণত ১১ জন খেলোয়াড়ের পাঁচ জন সামনের ভাগে দাঁড়ায় যাদেরকে বলে ফরোয়ার্ড, তাদের পিছনে ৩ জন থাকে মিডফিল্ডার বা হাফ ব্যাক, তাদের পিছনে দু’ জন থাকে ডিফেন্স বা ফুল ব্যাক আর গোলবারের সামনে থাকে একজন গোলরক্ষক, যিনি সর্বাঙ্গ দিয়ে বলকে গোল হওয়া থেকে রক্ষা করেন। একটি ফুটবল ম্যাচ মোট ৯০ মিনিটের হয়, মধ্যেখানে ১৫ মিনিটের বিরতি থাকে।

    খেলার নিয়ম কানুন: যে ভাবে প্রত্যেকটি খেলার একটি নিয়ম থাকে সে ভাবে ফুটবল খেলার কয়েকটি নিয়ম রয়েছে । এসব নিয়মনীতি সবই ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা তৈরী করে থাকে । যেমন প্রথমে বলটি মাঠের মধ্যস্থলে রাখতে হবে। রেফারি বাঁশি বাজানোর সাথে সাথে খেলা শুরু করতে হবে। একমাত্র গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কেউ বল হাত দিয়ে ধরতে বা মারতে পারবে না। এ নিয়ম না মানলে হ্যান্ডবল হয় এবং বিপক্ষ দলের দিকে বল ফ্রি কিক মারা হয়। অবৈধভাবে কাউকে লাথি বা ধাক্কা মারলে রেফারি শাস্তি স্বরূপ উক্ত খেলোয়াড়কে লাল বা হলুদ কার্ড দেখিয়ে শাস্তি দেন। লাল কার্ড পেলে ঐ খেলোয়াড় আর খেলতে পারেন না। এ ছাড়া খেলোয়াড়দের সহজেই চিনতে প্রত্যেকটি খেলোয়াড় কে তাদের ইউনিফর্ম এ জার্সি নাম্বার দেয়া হয়।

    ফুটবল ও ভারতবর্ষ : বিদেশি খেলা হলেও ফুটবল খেলা ভারতবর্ষের একটি জনপ্রিয় খেলা । বিশেষ করে বাংলায় সঙ্গে ফটবললের অনন্য সম্পর্ক । বিশ্বকাপ এলেই সারাদেশ জুড়ে শুরু হয় ফুটবল উন্মাদনা। পতাকা টানিয়ে বা সমর্থিত দলের জার্সি গায়ে দিয়ে দলের প্রতি নিজেদের ভালোবাসা প্রকাশ করে বাঙালিরা।ভারতবর্ষে ফুটবল আসে ইংরেজ দের হাত ধরে এবং ১৮৭২ সালে প্রথম “কলকাতা ফটবল ক্লাব” স্হাপিত হয়। বর্তমানে “অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন” ভারতে ফুটবল খেলা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ভারত একাধিকবার অলিম্পিক এবং এশিয়ান কাপ সহ অনেক প্রতিজোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে।হাল আমলে ভারতবর্ষে ফুটবল কে আরও জনপ্রিয় করতে ২০১৩ সালে একটি প্রিমিয়াম ঘরোয়া প্রতিজুগিতা “ইন্ডিয়ান সুপার লিগ” নামে শুরু করা হয়।

    বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা): বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার আইন-কানুন প্রচলন ও নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয় FIFA (Federation of International Football Association). ২১ মে, ১৯০৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে প্রতিষ্ঠা লাভ করে সংস্থাটি। বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এটির সদরদপ্তর। ফিফা এর বর্তমান সভাপতি সেপ ব্লাটার। ফিফার বর্তমান সদস্য ২০৯টি। এ সংস্থা প্রতি ৪ বছর পর পর আয়োজন করে বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা। পুরুষদের ন্যায় নারীদের ফুটবল বিশ্বকাপেরও প্রতিনিধিত্ব করে এ সংস্থা। প্রতিবছর এ সংস্থা বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচন ও দলগত র‌্যাংকিং করে থাকে।

    ফুটবল বিশ্বকাপ: ফুটবল খেলার ইতিহাস দীর্ঘদিনের হলেও বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা প্রথম অনুষ্ঠিত হয় ১৯৩০ সালে উরুগুয়েতে। বিশ্বকাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা ফিফার অধীনে প্রতি ৪ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২১ তম বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসে রাশিয়ায় । এ আসরে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফ্রান্স । তবে বিশ্বকাপ ফুটবলে সবচেয়ে বেশি ৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্রাজিল। বিশ্বকাপ ফুটবলে সেরা খেলোয়াড়কে গোল্ডেন বল এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাকে গোল্ডেন বুট সম্মাননা দেওয়া হয়। ফুটবল বিশ্বকাপের ২২ তম আসর হবে কাতারে ২০২২ সালে।

    ফুটবল খেলার উপকারিতা: ফুটবল খেলা শুধু খেলা নয়, এটির মাধ্যমে যেমন আনন্দ-বিনোদন পাওয়া যায়, তেমনি এ খেলার মাধ্যমে শারীরিক ব্যায়ামও হয়ে থাকে। তাছাড়া ফুটবল খেলা আজ বিশ্বব্যাপী বিশাল লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। ইউরোপ আমেরিকার ফুটবল ক্লাবগুলো ফুটবল বাণিজ্যের অন্যতম উদাহরণ। ফুটবল খেলার মাধ্যমে যেমন মানসিক অবসাদ দূর হয় তেমনি এর উত্তেজনা-উপভোগ মনকে আনন্দে ভাসিয়ে দেয়। ফুটবল খেলতে যথেষ্ট ছুটাছুটি ও পরিশ্রম করতে হয় বলে শরীর সর্বদাই ফিট থাকে। খেলার কঠোর আইন-কানুন খেলোয়াড়দের চারিত্রিক ও মানসিক বিকাশে সহায়তা করে।

    বিশ্বের উল্লেখিত ফুটবল তারকা ও ক্লাবসমূহ: ফুটবলের জগতে জীবন্ত কিংবদন্তী হলো ফুটবল সম্রাট ব্রাজিলের পেলে। তাছাড়া আর্জেন্টিনার ম্যারাডোনা ফুটবলের রাজপুত্র নামে পরিচিত। এ ছাড়া রোনাল্ডো, মেসি, নেইমার, জিদান বর্তমান ফুটবলের অন্যতম তারকা। বার্সালোনা, রিয়েল মাদ্রিদ, বায়ান মিউনিখ, ডর্টমুন্ড, চেলসি, ম্যানচেষ্টার সিটি প্রভৃতি বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবল ক্লাব। কোপা আমেরিকা, কনফেডারেশন কাপ, এশিয়া কাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নস্ লীগ, প্রভৃতির মাধ্যমে ফুটবল সারা পৃথিবীতে উন্মাদনা ছড়িয়ে যাচ্ছে।

    উপসংহার: ফুটবল খেলা বিশ্বের কোটি কোটি দর্শকের কাছে এক অনাবিল আনন্দের উৎস। ফুটবল খেলায় থাকে হার-জিত, থাকে আনন্দ-বেদনার অশ্রু। সেই আনন্দ বেদনার ঊর্ধ্বে থাকে মনোরম লড়াই আর নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শন, স্বদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি আর বিজয়ের তীব্র বাসনা। ফুটবল খেলা বিশ্বব্যাপী মানুষের মাঝে প্রীতি-সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি করে। এ জন্যই ফুটবল খেলা সকল খেলাকে ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে।

    See less
    • 0
  • 2
  • 19,717
  • 0
Answer

Sidebar

আরও দেখুন

  • আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা | Amar jiboner lokkho essay in bengali?
  • আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা | bengali essay on my aim in life?
  • মহাত্মা গান্ধী রচনা | bengali essay on mahatma gandhi
  • পরিবেশ দূষণ | Paribesh dushan paragraph in bengali
  • রচনা : পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার | Paribesh dushan o tar pratikar rachana in Bengali?
  • পরিবেশ দূষণ ও তার প্রতিকার | Paribesh dushan o tar protikar paragraph?
  • বর্ষাকাল রচনা | borshakal rochona in bengali?
  • essay on bankim chandra chatterjee in bengali language?
  • bankim chandra chattopadhyay in bengali? বঙ্কিমচন্দ্র জীবনী
  • Mahatma gandhi essay in bengali? মহাত্মা গান্ধী রচনা ?
  • রচনা : নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু | Netaji Subhash Chandra Bose essay in Bengali?
  • Swami vivekananda essay in bengali? স্বামী বিবেকানন্দ রচনা ?
  • শ্রীমন্ত শঙ্করদেব রচনা | Srimanta Sankardev Essay in Bengali?
  • বিজ্ঞান ও কুসংস্কার | bigyan o kusanskar rachana?
  • বাংলা রচনা দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান | doinondin jibone biggan bangla rochona?
  • বাংলা প্রবন্দ : বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ | vigyan ashirbad na abhishap bengali rachana
  • দেশ ভ্রমণ প্রবন্ধ | Desh bhraman rochona in Bengali
  • ছাত্রজীবন এবং তার দায়িত্ব ও কর্তব্য | Chatro Jibon Bangla Rochona?
  • রচনা : আমার প্রিয় খেলা | Amar priyo khela essay in Bengali
  • রচনা: বর্ষাকাল | rainy season paragraph in bengali
Join us on Telegram
Join our FaceBook Group

বিষয়

All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা রচনা (127) বাক্য রচনা (176)

Footer

© 2020 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

Add Bengali Forum to your Homescreen!

Add