আধুনিক সময়ের জটিলতা এবং যুগযন্ত্রণা থেকে মানুষের মধ্যে তৈরি হয় গভীর হতাশার বােধ। আনন্দ বা আশা নয়, মানুষের জীবনের মর্মে রয়েছে দুঃখ ও নিরাশা, এই বিশিষ্ট মনােভঙ্গিকেই ‘দুঃখবাদ’ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। কবি যতীন্দ্রনাথ এই অর্থেই দুঃখবাদী। তাঁর কাব্যগ্রন্থের ‘মরুমায়া’, ‘মরীচিকা’, ‘মরুশিখা’, ‘সায়ম’, ‘ত্রিযামা’ প্রভৃতি নামকরণ থেকেও এর প্রমান পাওয়া যায়।
উদাহরণ হিসাবে যদি তাঁর হাট কবিতাকে ধরি তাহলে এখানেও আমরা তাঁর দুঃখবাদী মনোভাবের প্রকাশ দেখতে পাই।জীবন নৈর্বক্তিক ও নিষ্ঠুর, ন্যায়নীতি বা দয়া, প্রেম, করুণার স্থান সেখানে নেই। হাটে যেমন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সম্পর্ক কেবলই ব্যবসায়িক, কেবলই লাভ-লােকসানের, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও লাভের প্রত্যাশা ও স্বার্থবােধ সেভাবেই যাবতীয় সম্পর্ককে আবিল করে তােলে। দিনের কর্মব্যস্ত হাট এবং রাতের জনমানবহীন হাটের দুটি ছবির বৈপরীত্যের মতাে মানুষের জীবনেও দুপ্ত ও উচ্ছল যৌবনের পর নেমে আসে নিরালা ও মৃত্যু-সমাচ্ছন্ন অন্ধকার।
Dipali Bera
Thanks
Mamun Sarkar
Mamun sarkar
Hridoy
যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত দুঃখবাদী কবি:
আধুনিক সময়ের জটিলতা এবং যুগযন্ত্রণা থেকে মানুষের মধ্যে তৈরি হয় গভীর হতাশার বােধ। আনন্দ বা আশা নয়, মানুষের জীবনের মর্মে রয়েছে দুঃখ ও নিরাশা, এই বিশিষ্ট মনােভঙ্গিকেই ‘দুঃখবাদ’ আখ্যা দেওয়া যেতে পারে। কবি যতীন্দ্রনাথ এই অর্থেই দুঃখবাদী। তাঁর কাব্যগ্রন্থের ‘মরুমায়া’, ‘মরীচিকা’, ‘মরুশিখা’, ‘সায়ম’, ‘ত্রিযামা’ প্রভৃতি নামকরণ থেকেও এর প্রমান পাওয়া যায়।
উদাহরণ হিসাবে যদি তাঁর হাট কবিতাকে ধরি তাহলে এখানেও আমরা তাঁর দুঃখবাদী মনোভাবের প্রকাশ দেখতে পাই।জীবন নৈর্বক্তিক ও নিষ্ঠুর, ন্যায়নীতি বা দয়া, প্রেম, করুণার স্থান সেখানে নেই। হাটে যেমন ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে সম্পর্ক কেবলই ব্যবসায়িক, কেবলই লাভ-লােকসানের, আমাদের ব্যক্তিগত জীবনেও লাভের প্রত্যাশা ও স্বার্থবােধ সেভাবেই যাবতীয় সম্পর্ককে আবিল করে তােলে। দিনের কর্মব্যস্ত হাট এবং রাতের জনমানবহীন হাটের দুটি ছবির বৈপরীত্যের মতাে মানুষের জীবনেও দুপ্ত ও উচ্ছল যৌবনের পর নেমে আসে নিরালা ও মৃত্যু-সমাচ্ছন্ন অন্ধকার।