রচনা : একটি পাখির আত্মকথা | Autobiography of a Bird in Bengali
Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.
Please briefly explain why you feel this question should be reported.
Please briefly explain why you feel this answer should be reported.
Please briefly explain why you feel this user should be reported.
একটি পাখির আত্মকথা
আমি একটি ছোট্ট পাখি।ক্ষুদ্র একটি ডিম থকে আমার এই পৃথিবীতে আসা । আমার বাবা-মা আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। তারা আমাকে সব কিছু শিখিয়েছে, কিভাবে উড়তে হয়, কিভাবে থাকতে হয় কোন ছিমছাম বাসায়। তাদের হাত ধরেই আমি দেখলাম উজ্জ্বল এই পৃথিবীর আলো এবং তাঁর মায়াবী পরিবেশ।
আমার বাবা-মা আমাকে আত্মবিশ্বাসী হতে শিখিয়েছে । তারা আমাকে প্রতিদিন যত্ন করে খাওয়াত এবং আমাকে স্বাচ্ছন্দ্য রাখত সুন্দর একটি বাসায়।রাতের ঘুটঘুটে অন্ধকারে আমাকে জড়িয়ে রাখত তাদের পালকের নিচে। তারা আমাকে শিখিয়েছিল দৈনন্দিন জীবনে বেঁছে থাকার সব কলা কৌশল।
আমার জীবনের সবচেয়ে খুশির দিন, যেদিন আমি উড়তে শিখলাম। কারন একটি পাখির জীবন মানেই তো উড়তে থাকা। ধীরে ধীরে আমি সম্পূর্ণরূপে উড়তে শিখলাম। প্রতিদিন নতুন নতুন জ্ঞান অর্জন করলাম, জানলাম নিজেকে এবং এই সুন্দর পৃথিবী কে।
আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিনটি ছিল যেইদিন যখন আমি নিজের বাড়ি ত্যাগ করলাম। যাত্রা করলাম নতুন ঠিকানার উদ্দেশ্যে, নতুন দিনের আশায়।নিজেকে সেই দিন খুবই একা মনে হল। আমাকে পোহাতে হলো অনেক কষ্ট ও যন্ত্রণা। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে নিজেকে মানিয়ে নিলাম নতুন পরিবেশে। দেখা হলো অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে এবং গড়ে উঠলো নতুন বন্ধুত্ব।
আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর নাম অহনা। আমরা সারা বছর জুড়ে একসঙ্গে উড়ে বেড়াই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায়। ঋতুভেদে আমাদেরকে আশ্রয় নিতে হয় ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে। উড়তে উড়তে চোখে পড়ে সুন্দর এই পৃথিবীর সবুজ বনাঞ্চল, গাছে ভরা পাহাড় পর্বত আরো কত অপরূপ দৃশ্য। এইজন্য নিজেকে কখনো কখনো খুব সৌভাগ্যবান মনে হয় কারণ অন্য কোন প্রাণী হয়ে এই পৃথিবীতে আসলে হয়তো এই সৌন্দর্য উপভোগ করার কোন সুযোগ থাকত না। বিনা বাধায়, বিনা দ্বিধায় উড়তে পারার ক্ষমতাকে আমি খুবই উপভোগ করি। পৃথিবীতে পাখি হয়ে জন্ম গ্রহন করে আমি খুবই ধন্য।