Sign Up

Continue with Google
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Google
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have permission to ask a question, You must login to ask a question.

Continue with Google
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here

Please briefly explain why you feel this question should be reported.

Please briefly explain why you feel this answer should be reported.

Please briefly explain why you feel this user should be reported.

Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিষয়
  • ব্লগ
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask A Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত

Tag: বাংলা রচনা

গুরুত্বপূর্ণ বাংলা রচনার (Bangla Rachana) এক সংকলন।এখানে পাবেন প্রাইমারী থকে শুরু করে হাই স্কুল পর্যন্ত পরীক্ষায় আসা বিভিন্ন বিষয়ের উপর রচনা।

Bengali Forum Latest Questions

In: রচনা

প্রবন্ধ – দূর্গা পূজা | Article on durga puja in bengali language

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on April 6, 2020 at 1:39 am

    দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেRead more

    দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব

    ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেণীর জনসাধারণের আন্তরিক মিলনের ফলে এক উদারতর সামাজিক ব্যপ্তি লাভ করেছে। সর্বমানবের মিলনই যদি জাতীয় উৎসবের বৈশিষ্ট্য হয়, তবে দুর্গোৎসবকে নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালী জাতির জাতীয় উৎসবরূপে স্বীকার করতে হবে।

    সময় ও প্রস্তুতি : বৎসরের সুন্দরতম ঋতুতে বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতি যখন সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে অপরূপ হয়ে ওঠে, তখনই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদ এই শুভলগ্নে প্রকৃতিই প্রকৃতি হয়ে উঠে নির্মেঘ আকাশ হয়ে উঠে সুনীল এরইমধ্যে প্রকৃতি তাঁর স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের প্রদীপালােকে জগন্মাতার বন্দনার আয়ােজন করে। শরৎ ঋতুর আগমনে মৃৎ-শিল্পীর দিবারাত্রির পরিশ্রমে দেবী দুর্গা মৃন্ময়ীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে ওঠেন, বিপণিতে নয়নলােভন পণ্য আনন্দোচ্ছল ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রবাসী কর্মীর দিন কাটে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষায়। অবশেষে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথির পুণ্যলগ্নে কল্যাণী জননী-রূপে দেবী দুর্গা তাঁর মর্তের সন্তানদের সম্মুখে আবির্ভূত হন। গ্রাম-বাঙলার শারদ আকাশে বাজতে থাকে আগমনীর সুর।

    দুর্গাপূজার ইতিহাস : ইতিহাস পুরাণে বিধৃত। গিরিরাজ হিমালয় ও তদীয় পত্রী মেনকার কন্যা এই দুর্গা, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্বামী। সত্যযুগে সুরথ নামক জনৈক নরপতি শহস্তে পরাজিত হয়ে হতাশচিত্তে মেধস্ মুনির আশ্রমে যান। এই মুনির উপদেশেই তিনি সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা করেন এবং দেবীর কৃপায় শত্রুকবলিত রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। রাজা সুরথ বসন্তঋতুতে দুর্গাপূজা করেছিলেন বলে এই পূজা বাসন্তী পূজা’ নামে অভিহিত হয় । বাঙালী দেবী দুর্গার আরাধনায় রামচন্দ্রের শারদীয় অনুষ্ঠানকে গ্রহণ করেছে। তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূর্বে সর্বপ্রথম বাঙলাদেশে জগজ্জননীর পূজায় ব্রতী হন, এরূপ মত প্রচলিত আছে।

    দুর্গা দশভুজা : তার দশটি হাতে শাণিত প্রহরণ। সিংহপৃষ্ঠে আরােহণ করে তিনি ভীষণদর্শন মহিষাসুর নিধনে উদ্যত। শক্তিরূপিণী জননী দুর্গার দক্ষিণে শােভা পান ঐশ্বর্যের দেবী কমলাসনা লক্ষ্মী, বামভাগে অবস্থান করেন বাণী বিদ্যাদায়িনী সর্বশুক্লা সরস্বতী। দুই পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং সিদ্ধিদাতা গণেশও একই সঙ্গে পূজিত হন । গণেশের পার্শ্বে প্রকৃতি-জননীর সৃষ্টির প্রতীক নবপত্রিকা অবস্থান করেন । অসুররূপী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বিশ্ববাসীকে শাস্তি ও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আদ্যাশক্তি মহামায়া দশপ্রহরণ ধারিণী দুর্গারূপে আত্মপ্রকাশ।

    মূল উৎসব : আলােকোজ্জ্বল আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বােধন করে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুণ্য ষষ্ঠী তিথিতেই দেবীর আবাহন ও অধিবাসের কার্যটি সম্পন্ন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী–পরবর্তী এই তিনটি দিন ধরে মহাসমারােহে অগণিত ভক্তের সম্মিলনে পূজা চলতে থাকে। অষ্টম ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম ‘সন্ধিপূজা’ । চতুর্থ দিন দশমী তিথিতে পূজা সমাপন করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় । বিসর্জনের পরবর্তী কৃত্যই হল প্রতিমা। নিরঞ্জন—অর্থাৎ বাদ্যভাণ্ড ও শোভাযাত্রা সহকারে দেবী প্রতিমাকে নদী-গর্ভে অথবা অন্য কোন জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ভক্ত-পূজকদের দেহে নামে ক্লান্তির ভার, মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রিয়জন বিচ্ছেদের বিষাদে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে প্রতিটি বাঙালী আত্মীয় প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে, এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘বিজয়া।

    বাংলার জীবনে দুর্গ উৎসবের মাহাত্ম্য : শুধু যে ধর্মীয় গুরুত্বেই জগন্মাতা দুর্গার আরাধনা বাঙালী হিন্দুর জীবনে প্রধানতম স্থান গ্রহণ করেছে তাই নয়, মানবিক সম্পর্কের সহজ আন্তরিকতার স্পশে এ উৎসবটি অনন্য। হিমালয়-দুহিতা উমা পুত্র-কন্যা সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিনটি দিনের জন্য পিতৃগৃহে ফিরে আসেন, চতুর্থ দিনেই আবার মাতা মেনকাকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে স্বামী মহেশ্বরের আলয়ে প্রত্যাবর্তন করেন । মর্ত্য-পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাবের এই লৌকিক কাহিনীটি বাঙালীর পারিবারিক জীবনে একটি বিষন্ন-মধুর অভিজ্ঞতার সমান্তরালে চলে আসছে। বিবাহিতা কন্যার পিত্রালয়ে আগমন এবং বিদায়ে বাঙালী জননী বা মেনকার আনন্দোৎকণ্ঠা ও অশ্রুঘন বেদনার মর্মস্পর্শিতা অনুভব করেন। কাজেই, বাঙালী জননীর নিকট তখন দেবী দুর্গা আর স্বীয় কন্যা একই স্নেহবাৎসল্যের স্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে একাত্মতা লাভ করেন। মাতৃসাধন বাঙালী সঙ্গীতের সুরে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে মিলনপ্রত্যাশী বাঙালী মাতার অন্তরবেদনাকেই মুক্তি দিয়েছে : “যাও যাও গিরি, আনিতে গৌরী, উমা আমার কত কেঁদেছে।

    উপসংহার: শারদোৎসব প্রকৃতপক্ষে বাংলার পারিবারিক জীবনে মিলনােৎসবের মাধুর্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। সুদীর্ঘে প্রবাসজীবনযাপন করে প্রিয়জন ফিরে আসে জননীর স্নেহাঞ্চলতলে, আনন্দ-হাসিতে মুখর হয় বাঙালীর গৃহ-প্রাঙ্গণ। ধরাতলে রচিত হয় গিরীশ মেনকার সুখতৃপ্ত সংসারের দ্বিতীয় রূপ। তাই বাঙালীই নিঃসঙ্কোচ সারল্যে বলতে পেরেছে-‘দেবতারে মােরা আত্মীয় জানি।

    See less
      • 0
  • 1
  • 1,335
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : দূর্গা পূজা | Essay on durga puja in 1000 words in bengali

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on April 3, 2020 at 6:22 am

    দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেRead more

    দূর্গা পূজা বা দুর্গোৎসব

    ভূমিকাঃ দুর্গোৎসব বা দুর্গাপূজা জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতায় বাংলার অন্যতম ধর্মীয় উৎসব। দুর্গোৎসব নিয়ে আসে বাংলার জীবনে এক নতুন মাত্রা, বাংলার মানুষ মেতে উঠে খুশিতে আনন্দে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের খুব কম উৎসবের সঙ্গেই তার তুলনা চলে। যদিও এটি মূলত: ধর্মীয় অনুষ্ঠান তবুও সকল শ্রেণীর জনসাধারণের আন্তরিক মিলনের ফলে এক উদারতর সামাজিক ব্যপ্তি লাভ করেছে। সর্বমানবের মিলনই যদি জাতীয় উৎসবের বৈশিষ্ট্য হয়, তবে দুর্গোৎসবকে নিঃসন্দেহে বাংলা ও বাঙালী জাতির জাতীয় উৎসবরূপে স্বীকার করতে হবে।

    সময় ও প্রস্তুতি : বৎসরের সুন্দরতম ঋতুতে বাংলার নিসর্গ-প্রকৃতি যখন সুস্নিগ্ধ লাবণ্যে অপরূপ হয়ে ওঠে, তখনই দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। শারদ এই শুভলগ্নে প্রকৃতিই প্রকৃতি হয়ে উঠে নির্মেঘ আকাশ হয়ে উঠে সুনীল এরইমধ্যে প্রকৃতি তাঁর স্বর্ণোজ্জ্বল রৌদ্রের প্রদীপালােকে জগন্মাতার বন্দনার আয়ােজন করে। শরৎ ঋতুর আগমনে মৃৎ-শিল্পীর দিবারাত্রির পরিশ্রমে দেবী দুর্গা মৃন্ময়ীরূপে দৃষ্টিগােচর হয়ে ওঠেন, বিপণিতে নয়নলােভন পণ্য আনন্দোচ্ছল ক্রেতার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। প্রবাসী কর্মীর দিন কাটে প্রিয়জনের সঙ্গে মিলনের প্রতীক্ষায়। অবশেষে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠীতিথির পুণ্যলগ্নে কল্যাণী জননী-রূপে দেবী দুর্গা তাঁর মর্তের সন্তানদের সম্মুখে আবির্ভূত হন। গ্রাম-বাঙলার শারদ আকাশে বাজতে থাকে আগমনীর সুর।

    দুর্গাপূজার ইতিহাস : ইতিহাস পুরাণে বিধৃত। গিরিরাজ হিমালয় ও তদীয় পত্রী মেনকার কন্যা এই দুর্গা, দেবাদিদেব মহাদেব তাঁর স্বামী। সত্যযুগে সুরথ নামক জনৈক নরপতি শহস্তে পরাজিত হয়ে হতাশচিত্তে মেধস্ মুনির আশ্রমে যান। এই মুনির উপদেশেই তিনি সর্বপ্রথম দুর্গাপূজা করেন এবং দেবীর কৃপায় শত্রুকবলিত রাজ্য পুনরুদ্ধার করেন। রাজা সুরথ বসন্তঋতুতে দুর্গাপূজা করেছিলেন বলে এই পূজা বাসন্তী পূজা’ নামে অভিহিত হয় । বাঙালী দেবী দুর্গার আরাধনায় রামচন্দ্রের শারদীয় অনুষ্ঠানকে গ্রহণ করেছে। তাহেরপুরের রাজা কংসনারায়ণ প্রায় সাড়ে তিনশত বৎসর পূর্বে সর্বপ্রথম বাঙলাদেশে জগজ্জননীর পূজায় ব্রতী হন, এরূপ মত প্রচলিত আছে।

    দুর্গা দশভুজা : তার দশটি হাতে শাণিত প্রহরণ। সিংহপৃষ্ঠে আরােহণ করে তিনি ভীষণদর্শন মহিষাসুর নিধনে উদ্যত। শক্তিরূপিণী জননী দুর্গার দক্ষিণে শােভা পান ঐশ্বর্যের দেবী কমলাসনা লক্ষ্মী, বামভাগে অবস্থান করেন বাণী বিদ্যাদায়িনী সর্বশুক্লা সরস্বতী। দুই পুত্র দেবসেনাপতি কার্তিকেয় এবং সিদ্ধিদাতা গণেশও একই সঙ্গে পূজিত হন । গণেশের পার্শ্বে প্রকৃতি-জননীর সৃষ্টির প্রতীক নবপত্রিকা অবস্থান করেন । অসুররূপী অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে বিশ্ববাসীকে শাস্তি ও কল্যাণে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্যই আদ্যাশক্তি মহামায়া দশপ্রহরণ ধারিণী দুর্গারূপে আত্মপ্রকাশ।

    মূল উৎসব : আলােকোজ্জ্বল আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে বােধন করে দুর্গাপুজার অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুণ্য ষষ্ঠী তিথিতেই দেবীর আবাহন ও অধিবাসের কার্যটি সম্পন্ন করা হয়। সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী–পরবর্তী এই তিনটি দিন ধরে মহাসমারােহে অগণিত ভক্তের সম্মিলনে পূজা চলতে থাকে। অষ্টম ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে যে পূজা অনুষ্ঠিত হয়, তার নাম ‘সন্ধিপূজা’ । চতুর্থ দিন দশমী তিথিতে পূজা সমাপন করে দেবীকে বিসর্জন দেওয়া হয় । বিসর্জনের পরবর্তী কৃত্যই হল প্রতিমা। নিরঞ্জন—অর্থাৎ বাদ্যভাণ্ড ও শোভাযাত্রা সহকারে দেবী প্রতিমাকে নদী-গর্ভে অথবা অন্য কোন জলাশয়ে নিমজ্জিত করা হয়। ভক্ত-পূজকদের দেহে নামে ক্লান্তির ভার, মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে প্রিয়জন বিচ্ছেদের বিষাদে। প্রতিমা নিরঞ্জনের পরে প্রতিটি বাঙালী আত্মীয় প্রিয়জনের সঙ্গে স্নেহালিঙ্গনে আবদ্ধ হয়ে পরস্পরকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছাজ্ঞাপন করে, এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘বিজয়া।

    বাংলার জীবনে দুর্গ উৎসবের মাহাত্ম্য : শুধু যে ধর্মীয় গুরুত্বেই জগন্মাতা দুর্গার আরাধনা বাঙালী হিন্দুর জীবনে প্রধানতম স্থান গ্রহণ করেছে তাই নয়, মানবিক সম্পর্কের সহজ আন্তরিকতার স্পশে এ উৎসবটি অনন্য। হিমালয়-দুহিতা উমা পুত্র-কন্যা সঙ্গে নিয়ে মাত্র তিনটি দিনের জন্য পিতৃগৃহে ফিরে আসেন, চতুর্থ দিনেই আবার মাতা মেনকাকে অশ্রু সাগরে ভাসিয়ে স্বামী মহেশ্বরের আলয়ে প্রত্যাবর্তন করেন । মর্ত্য-পৃথিবীতে দেবী দুর্গার আবির্ভাবের এই লৌকিক কাহিনীটি বাঙালীর পারিবারিক জীবনে একটি বিষন্ন-মধুর অভিজ্ঞতার সমান্তরালে চলে আসছে। বিবাহিতা কন্যার পিত্রালয়ে আগমন এবং বিদায়ে বাঙালী জননী বা মেনকার আনন্দোৎকণ্ঠা ও অশ্রুঘন বেদনার মর্মস্পর্শিতা অনুভব করেন। কাজেই, বাঙালী জননীর নিকট তখন দেবী দুর্গা আর স্বীয় কন্যা একই স্নেহবাৎসল্যের স্পর্শে দ্রবীভূত হয়ে একাত্মতা লাভ করেন। মাতৃসাধন বাঙালী সঙ্গীতের সুরে বিবাহিত কন্যার সঙ্গে মিলনপ্রত্যাশী বাঙালী মাতার অন্তরবেদনাকেই মুক্তি দিয়েছে : “যাও যাও গিরি, আনিতে গৌরী, উমা আমার কত কেঁদেছে।

    উপসংহার: শারদোৎসব প্রকৃতপক্ষে বাংলার পারিবারিক জীবনে মিলনােৎসবের মাধুর্য নিয়েই আবির্ভূত হয়। সুদীর্ঘে প্রবাসজীবনযাপন করে প্রিয়জন ফিরে আসে জননীর স্নেহাঞ্চলতলে, আনন্দ-হাসিতে মুখর হয় বাঙালীর গৃহ-প্রাঙ্গণ। ধরাতলে রচিত হয় গিরীশ মেনকার সুখতৃপ্ত সংসারের দ্বিতীয় রূপ। তাই বাঙালীই নিঃসঙ্কোচ সারল্যে বলতে পেরেছে-‘দেবতারে মােরা আত্মীয় জানি।

    See less
      • 0
  • 1
  • 10,824
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : কালী পূজা | Kali puja rachana in bengali language

  • 0
  • 5,735
  • 4
Answer
In: রচনা

রচনা : একটি শীতের সকাল | winter morning paragraph in bengali

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on March 31, 2020 at 12:38 am
    This answer was edited.

    শীতের সকাল বা একটি শীতের সকালের বর্ণনা ভূমিকা : শীতকাল বলতে পৌষ ও মাঘ মাসকে বুঝানো হলেও প্রকৃতপক্ষে শীতের আগমন শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে। পৌষের শেষের দিকে শীতের প্রকোপ তীব্র হয়ে উঠলেও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে। সাধারণত এ সময় ফসল কাটা হলে চারিদিকে এক উৎসব মুখর আবহাওয়া লক্ষ্য করাRead more

    শীতের সকাল বা একটি শীতের সকালের বর্ণনা

    ভূমিকা : শীতকাল বলতে পৌষ ও মাঘ মাসকে বুঝানো হলেও প্রকৃতপক্ষে শীতের আগমন শুরু হয় অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিকে। পৌষের শেষের দিকে শীতের প্রকোপ তীব্র হয়ে উঠলেও ফাল্গুন মাস পর্যন্ত শীতের আমেজ থাকে। সাধারণত এ সময় ফসল কাটা হলে চারিদিকে এক উৎসব মুখর আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায় । শীতের সময় কাবু হয়ে পড়লেও শীতের সকালে রয়েছে এক বিশেষ আমেজ । এজন্যেই শীতকালের সকলগুলি সবার কাছে পছন্দনীয় ।

    শীতের সকালের বর্ণনা : শীতের সকালের কল্পনা ঘন কুয়াশা আর জড়ো সড়ো করা আবহাওয়া ছাড়া অসম্ভব । কুয়াশা ঘন চাদরের ফাক দিয়ে উকি মেরে ঘােষণা করে সে তার হিম-শীতল আগমনী বার্তা। প্রকৃতির সর্বত্র দেখা যায় এ ধরনের আঁকালাে শুষ্কতার জমজমাট রেশ। প্রকৃতি তার রূপ-রস-বর্ণ ঝেড়ে ফেলে দিয়ে সন্ন্যাসব্রত পালনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে। পশুপাখি ও জীবজন্তুর জীবন হয়ে ওঠে পাণ্ডুর ও বিবর্ণ। এর মাঝে নীরবে পদচারণা করে শুভ্রসুন্দর আর নির্মল পবিত্রতা। শীতের রাত অত্যন্ত দীর্ঘ, যেন শেষ হতে চায় না। তাই কাক ডাকা ভাের হতে সবাই অপেক্ষা করে একটু মিষ্টি মধুর সূর্যালােকের পরশের জন্য। কিন্তু কুয়াশার ঘন প্রাচীর ভেদ করে ওকে ভীষণ বেগ পেতে হয় একটু একটু আলােক ছড়ানাের জন্যে।

    গ্রাম্য শীতের সকাল: গ্রামে শীতের সকাল গুলি হয় অনন্য। প্রকৃতি যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য ঢেলে দেয় চারিপাশের আবহাওয়ায়। ভুলগুলোসকালগুলো হয় ঘন কুয়াশাচ্ছন্ন, মাঠের অপরপ্রান্তে তাকালে বিস্তীর্ণ সাদা রাশি ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না। কিন্তু এই ঠান্ডা উপেক্ষা করেও কৃষক তার মাঠের দিকে এগিয়ে যায়। গ্রামের মানুষেরা ঠান্ডার কবল থেকে রক্ষা পেতে আগুন পোহায়। তৈরি হয় নানা ধরনের খাবার বিশেষ করে খেজুরের রস দিয়ে তৈরি হয় অনেক সুমিষ্ট পিঠা পুলি।গ্রামে মানুষ সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রোদের আলোয় দাঁড়িয়ে উষ্ণতার আমেজ নেয়।

    শহরাঞ্চলে শীতের সকাল: গ্রাম থেকে শহরাঞ্চলের চিত্র হয় ভিন্ন। তুলনামূলকভাবে শহরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ কম হয়। গ্রামের মতো মানুষ শহরাঞ্চলে সূর্যের আলোয় উষ্ণতার আমেজ নেয়ার সুযোগ পায় না। অনেককেই ঘরের মধ্যে হিটার বা অন্য যন্ত্র চালিয়েই শীত নিবারণের চেষ্টা করে। শীতের সকালে শহরাঞ্চলে বিভিন্ন তাজা
    শাকসবজি দিয়ে বাজার সাজানো হয় এবং শহুরে মানুষেরা ছুটে চলে বাজারের উদ্দেশ্যে।

    উপসংহার: কুয়াশাঘেরা এক মধুর দৃশ্য নিয়ে উপস্থিত হয় শীতের সকাল। সকালবেলা সূর্য তার উষ্ণ আলোয়, শিশির ভেজা পাতায়, নানা রকম সুস্বাদু খাবার সব মিলিয়ে আমাদেরকে দিয়ে যায় এক অনন্য আমেজ। তাই শীতের সকালের আনন্দ অন্যান্য ঋতুর সকালের তুলনায় ভিন্ন ও মাধুর্য।

    See less
      • 1
  • 1
  • 33,060
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা: মাতা পিতার প্রতি কর্তব্য | Mata Pitar Proti kortobbo Rochona

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on April 8, 2020 at 4:16 am

    মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ভূমিকা: মাতাপিতার কাছে তাঁর সন্তানের থেকে বড় কোনো অমূল্য বস্তূ নেই। তাই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট সম্পর্ক হয় সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই পৃথিবীর আলো দেখেছি । একটি শিশু পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাধRead more

    মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য

    ভূমিকা: মাতাপিতার কাছে তাঁর সন্তানের থেকে বড় কোনো অমূল্য বস্তূ নেই। তাই পৃথিবীর সর্ব শ্রেষ্ট সম্পর্ক হয় সন্তান এবং মাতাপিতার মধ্যে। তাঁদের জন্যই আমরা আজ এই পৃথিবীর আলো দেখেছি । একটি শিশু পৃথিবীতে এসে পিতা-মাতার যথাযথ লালন-পালন, আদর, স্নেহ, মমতা ও শিক্ষা-দীক্ষার মাধ্যমেই বড় হয়ে উঠে। সুতরাং সন্তানের জীবনে পিতামাতার অবদান অসীম। তাই প্রত্যেক সন্তানের উচিত মাতা-পিতার প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে তাহাদের কর্তব্য পালন করা।

    মাতা-পিতার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব ও কর্তব্য: একজন পিতা-মাতা যেভাবে আদর যত্নে একটি সন্তান কে মানুষ করে তুলে সেভাবে সন্তানের ও দায়িত্ব মা-বাবার যত্ন নেয়া। তাই একটি সন্তানের সর্বপ্রথম দায়িত্ব পিতা-মাতার সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা, তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করা। বাবা-মা’র সন্তুষ্টি অনুযায়ী সন্তানের পথ চলা উচিত। প্রত্যেক সন্তানের উচিত সব সময় পিতা-মাতার বাধ্য থাকা এবং তাদের আদেশ নিষেধ মেনে চলা। বাবা-মায়ের যখন বার্ধক্য চলে আসে তখন তারা নবজাতক শিশুর মতোই অসহায় হয়ে পড়েন। এক্ষেত্রে পিতা-মাতাকে বোঝা, না ভেবে তাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করা সন্তানের দায়িত্ব। প্রায় প্রতিটি ধর্ম মা বাবার প্রতি আনুগত্য
    হওয়ার শিক্ষা দে। কিন্তু আজকাল তথাকথিত অভিজাত সমাজে নিজের মূল্যবোধ বজায় রাখতে গিয়ে সন্তানের কাছে তার নিজের বৃদ্ধ বাবা-মার স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রম। আমাদের শিক্ষিত সচেতন সমাজের উচিত এটা রোধ করা একান্ত কর্তব্য।

    শ্রদ্ধাশীল মহান ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত: ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় পৃথিবীতে মরেও যারা অমর এবং চিরস্মরণীয় হয়ে মানুষের হৃদয়ে আজও বেঁচে আছেন। তাঁরা সকলেই মাতৃ ও পিতৃভক্তির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম ইতিহাসে মাতৃভক্তদের তালিকায় চিরকালই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রাম পিতৃসত্ব পালনের উদ্দেশ্যে চৌদ্দবছর বনবাস কাটিয়েছিলেন। জর্জ ওয়াশিংটন ও আলেকজান্ডার প্রমুখ মহান ব্যক্তিগণ মাতা-পিতার প্রতি শ্রদ্ধা-ভক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে ইতিহাসে যুগ-যুগান্তর ধরে চির স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন এবং থাকবেন।

    প্রধান কয়েকটি দায়িত্ব: প্রধান দায়িত্বের মধ্যে মা বাবার প্রত্যাশা পূর্ণ করা হচ্ছে অন্যতম। প্রত্যেক মা-বাবাই তার সন্তানদের বিভিন্ন আশা ভরসায় লালন পালন করে। তারা চায় তাদের সন্তান জীবনে সাফল্য অর্জন করুক এবং সুখী জীবন যাপন করুক। এর জন্যই মা-বাবা প্রত্যেক সন্তানের পিছনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যায়। এইজন্য সন্তানের দায়িত্ব তার মা-বাবার আশা-প্রত্যাশা পূর্ণ করে দায়িত্ব পালন করা।
    দ্বিতীয়তঃ মা-বাবার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। সর্ব অবস্থায় মা-বাবার প্রতি অনুগত থাকা। তাদের নেয়া বিচারের উপর আস্থা রাখা।তাদের প্রতি বিনয়ী আচরণ করা আমাদের একান্ত কর্তব্য।
    তৃতীয়তঃ পিতামাতার আদর্শ ও সম্মান বজায় রাখা। প্রত্যেক সন্তানেরই উচিত তাদের পিতামাতার আদর্শ ও ন্যায়নীতি অনুসরণ করে চলা। সমাজে তাদের মান সম্মান ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজ না করে যে কাজে মা বাবার সম্মান বৃদ্ধি পায় সেই কাজ করা।

    উপসংহার: মাতা-পিতার সন্তানের পরম বন্ধু সন্তানের জন্য মা বাবার মতো কেহই আপন নহে। সুতরাং ইহকালীন এবং পরকালীন মুক্তির পথ সুগম করতে হলে পিতামাতার প্রতি কর্তব্যগুলো যথাযত পালন করা সন্তানের একান্ত কর্তব্য।

    See less
      • 1
  • 1
  • 23,779
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা: বাংলাদেশের নদ নদী | Bangladesher Nod Nodi Essay

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on October 10, 2020 at 1:46 am

    রচনা: বাংলাদেশের নদ নদী ভুমিকা : প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি অংশ এখানকার নদনদী। নদীবিহীন সবুজ বাংলাদেশের কল্পনা অসম্ভব । বাংলাদেশকে অপরূপ সৌন্দর্য্যে সৌন্দর্য মন্ডিত করার পিছনে নদ নদী গুলির ভূমিকাই প্রধান। নদী গুলি বাংলাদেশের প্রকৃতিকে এনে দিয়েছে বৈচিত্র্য, প্রাচুর্য্য তৎসঙRead more

    রচনা: বাংলাদেশের নদ নদী

    ভুমিকা : প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আমাদের বাংলাদেশের অন্যতম একটি অংশ এখানকার নদনদী। নদীবিহীন সবুজ বাংলাদেশের কল্পনা অসম্ভব । বাংলাদেশকে অপরূপ সৌন্দর্য্যে সৌন্দর্য মন্ডিত করার পিছনে নদ নদী গুলির ভূমিকাই প্রধান। নদী গুলি বাংলাদেশের প্রকৃতিকে এনে দিয়েছে বৈচিত্র্য, প্রাচুর্য্য তৎসঙ্গে করেছে সমৃদ্দ। তাই বাংলাদেশ নদীর দেশ বা নদীমাতৃক দেশ।

    বাংলাদেশের নদ নদী : বাংলাদেশে নদী, উপনদী ও শাখানদী মিলিয়ে মোট ৭০০ থেকে বেশি নদী রয়েছে, যে গুলি প্রবাহিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল দিয়ে। বাংলাদেশের প্রধান নদী গুলির মধ্যে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র উল্লেখযোগ্য। এই নদীগুলির বেশিরভাগ প্রবাহিত হয়েছে দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ মুখী হয়ে। এই প্রধান নদীগুলি ছাড়াও কর্ণফুলী, কপোতাক্ষ, তিতাস, গোমতী, শীতলক্ষ্যা বাংলাদেশের অন্যতম নদনদী।

    পদ্মা : বাংলাদেশের প্রধান বৃহত্তম নদী যাহার দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৬৬ কিলোমিটার। ইহা হিমালয়ের হিমবাহ থেকে উৎপত্তি লাভ করে ভারতবর্ষের বুকে সুদীর্ঘ অঞ্চল প্রবাহিত হয়ে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে পদ্মা নদী নামে। তারপর পদ্মা নদী গোয়ালন্দে গিয়ে মিলিত হয়েছে যমুনার সাথে । মিলনের এই ধারা অব্যাহত রেখে মেঘনার সাথে আবার মিলিত হয় চাঁদপুরে এবং শেষমেষ মেঘনা নামেই বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে।

    মেঘনা : মেঘনার উৎপত্তিস্থল ভারতবর্ষের মনিপুর রাজ্যে। এই নদী উৎপত্তিস্থল থেকে বরাক নদী নামে প্রবাহিত হয়ে পৃথক দুইটি শাখা কুশিয়ারা ও সুরমা নামে বাংলাদেশে সিলেট অঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে। এই দুইটি শাখা আজমিরীগঞ্জে আবার মিলিত হয়েছে কালনী নদীর ধারায়। পরে কিছুদূর এগিয়ে এই তিনটি নদী মেঘনা নামে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। মেঘনার উপনদী গুলি হচ্ছে গোমতি, তিতাস, মনু বাউলাই ইত্যাদি।

    ব্রহ্মপুত্র : ব্রহ্মপুত্র হিমালয়ের কৈলাস শৃঙ্গ থেকে উৎপত্তি লাভ করে প্রথমে তিব্বত এবং পরে ভারতবর্ষের আসাম রাজ্য অতিক্রম করে কুড়িগ্রাম জেলার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। পরে এই নদী দুইটি ভাগে বিভক্ত হয়ে যমুনা এবং মেঘনা নদীতে মিলিত হয়। ব্রম্মপুত্রের প্রধান উপনদী গুলি হল ধরলা এবং তিস্তা।

    যমুনা : যমুনার উৎপত্তি ব্রহ্মপুত্র নদের একটি শাখা থেকে। ইহা দেওয়ানগঞ্জের কাছে ব্রম্মপুত্রের প্রধান শাখা থেকে যমুনা নামে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয় এবং পরে আবার মিলিত হয় পদ্মার সঙ্গে। ইহা বাংলাদেশের প্রশস্ততম নদী। যমুনার উপনদী গুলি হল ধরলা, তিস্তা, করতোয়া, আত্রাই ইত্যাদি।

    জনজীবনে নদীর প্রভাব : বাংলাদেশের জনজীবনে নদ নদীর ভূমিকা অপরিসীম। বাংলাদেশের সভ্যতা সংস্কৃতি এবং অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলেছে এখানকার নদীগুলি। নদী তীরবর্তী অঞ্চলে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল নগর ও বন্দর, গড়ে উঠেছে নৌপথ। যা সহজ করে দিয়েছে ব্যবসা বাণিজ্য ও আদান প্রদানের কাজ। আর অন্যদিকে এই নদীর জল বাংলার মাটিকে করেছে উর্বর। চাষাবাদের ক্ষেত্রে এখানকার নদীগুলিই যোগান দিচ্ছে অধিকাংশ জল। তাছাড়া শিল্প কারখানা, মৎস্য সম্পদ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যবস্থায় নদ-নদী পালন করছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

    নদী ভাঙ্গন ও বিপর্যয় : প্রকৃতির দান এই নদ নদী গুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রে মানুষের মঙ্গল সাধন করে থাকলেও কখনো কখনো এই নদীগুলি মানুষের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্ষাকালে নদী অতিরিক্ত প্রবাহের কারণে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তীরবর্তী ফসলের মাঠ, ডুবে যায় জনপদ। নদীর ভাঙ্গনের ফলে ধ্বংস হয় ঘরবাড়ি, মানুষ হয়ে ওঠে অসহায়।

    উপসংহার : নদ নদী গুলি আমাদের জাতীয় সম্পদ। বাংলার মাটিকে পরিপূর্ণতা দান করেছে এই নদ-নদীগুলি। নদীর জলধারা থেকে আমরা নানাভাবে উপকৃত হয়েছি অনাদিকাল থেকে। তাই আমাদের দায়িত্ব নদী গুলির যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ।

    See less
      • 1
  • 1
  • 12,298
  • 1
Answer
In: রচনা

রচনা : সুকান্ত ভহট্টাচার্য এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান | sukanta bhattacharya rachana

  • 0
  • 1,444
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান | bangla rachana kazi nazrul islam

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on April 8, 2020 at 12:49 am
    This answer was edited.

    আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভুমিকা : আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে। জন্ম : কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠRead more

    আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম

    ভুমিকা :

    আমার প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল ইসলাম দেশে-বিদেশে বিদ্রোহী কবি, বুলবুল কবি বলে পরিচিত। তাঁর কাব্যে পরাধীনতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং মানব মর্যাদা ও সৌন্দর্যচেতনা সমন্বিত হয়েছে।

    জন্ম :

    কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দের ২৫শে মে (১১ই জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসােল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামের কাজী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন।

    কেন তিনি আমার প্রিয় :

    নজরুল ইসলামের ‘অগ্নিবীণা আমাকে মুগ্ধ ও আকর্ষণ করে। “বল বীর চির উন্নত মম শির’ একথা বলেই তাঁর ‘বিদ্রোহী’ নামক প্রসিদ্ধ কবিতা আরম্ভ। এ কথা কয়টি উচ্চারণ করার সাথে সাথে পাঠক ও শ্রোতা মাত্র যেন অন্য জগতে নীত হয়। আবার দুনিয়ায় অবিচার ও জুলুমবাজির প্রবাহ চলছে। মানুষের পরাধীনতা ও গােলামীর জিঞ্জির আজও ছিন্ন হয়নি। সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও ধর্মক্ষেত্রের অবিচার-অনাচার আজ আকাশপর্শী হয়ে উঠেছে। মূর্তিমান অন্যায় ও অকল্যাণ জগদ্দল পাষাণের মত মানুষের বুকে চেপে আছে। মজলুম মানুষের কান্নার জলে আজ আকাশ-বাতাস আবিল হয়ে ওঠেছে। তার বিরুদ্ধে মানুষ বিদ্রোহ না করে থাকতে পারে না। যতদিন পৃথিবীর বুক হতে পাপ-তাপ দূর না হবে, ততদিন কোন সমাজ-সচেতন মানুষ শান্ত হতে পারে না। তাই কবির সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে আমাকেও বলতে ইচ্ছা হয় “যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রােল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত। আমি সেই দিন হবো শান্ত।” নজরুল ইসলামের বিদ্রোহের সুর তার প্রথম দিকের কাব্য রচনার প্রায় সবগুলােতেই অল্প-বিস্তর রয়েছে। তাঁর ‘অগ্নিবীণা, ‘ভাঙ্গার গান’ প্রভৃতি গ্রন্থে এর পরিচয় পাই। আগুনের মত উজ্জ্বল ও প্রােজ্জ্বল এসব বইয়ের কবিতাগুলােতে ভাবের সাথে। ভাষার সংগতি ও মিল অনবদ্য। মানুষের কবি নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় আশা-আকাঙ্ক্ষার কথাকে কাব্য ও গানে রূপ দান করেছেন। তাঁর রচিত দেশাত্মবােধক গান আজ ভারত উপমহাদেশের মানুষের মুখে মুখে, সভায় সভায় , আসরে আসরে গীত হয়।

    ইসলামী ভাবধারা :

    নজরুল ইসলামের আর একটি বড় দান হল এই যে, তিনি ইসলামী ভাবধারাকে তাঁর কাব্য প্রথম সুন্দরভাবে রূপ দান করেছেন। তাঁর ‘জিঞ্জির’-এর বিভিন্ন কবিতায় এর অনবদ্য পরিচয় মিলে। তাঁর রচিত গজলেও ইসলামী ভাবধারার সুষ্ঠু প্রয়ােগ দেখতে পাই। এসব কারণেই নজরুল ইসলাম বাংলা ভাষার পাঠকদের মন জয় করেছেন। আর এজন্যই তাঁর কবিতা আমার খুব ভাল লাগে।

    মৃত্যু :

    ইংরেজি ১৯৪৫ সালের দিকে কবি কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হন। ১৯৭২ সালে কবিকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং নাগিরিকত্ব দেয়া হয়। ২৯শে আগস্ট ১৯৭৬ সালে (১২ই ভাদ্র, ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ) তিনি ঢাকায় শেষ নিস্বাশ ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাকে সমাহিত করা হয়।

    উপসংহার :

    কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় শক্তি সাহস এবং চরিত্রের বাস্তব প্রতিমর্তি। আমাদের জাতীয় সমৃদ্ধিতে তার বহু অবদান রয়েছে। তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তাঁর নামে ঢাকায় নজরুল ইনস্টিটিউট স্থাপন হয়েছে। আমাদের উচিত তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা।

    See less
      • 0
  • 1
  • 5,247
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা: মাদার টেরেসা ও তার সমাজসেবা | bangla rachana mother teresa

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on March 28, 2020 at 2:14 am

    বিশ্বজননী মা টেরেসা ভূমিকা: মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ সেবা ও প্রেম। সেবা ও প্রেম দিয়ে যারা পৃথিবীর মানব সমাজে অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মাদার টেরেসা তাদের মধ্যে অন্যতম। শৈশবকাল থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত তিনি ছিলেন মানবসেবায় নিয়ােজিত প্রাণ। রােগগ্রস্ত শােক সন্তপ্ত মানুষের কাছে তিনি দেবমূর্তিRead more

    বিশ্বজননী মা টেরেসা

    ভূমিকা: মানব চরিত্রের শ্রেষ্ঠ গুণ সেবা ও প্রেম। সেবা ও প্রেম দিয়ে যারা পৃথিবীর মানব সমাজে অমরত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন মাদার টেরেসা তাদের মধ্যে অন্যতম। শৈশবকাল থেকে বৃদ্ধাবস্থা পর্যন্ত তিনি ছিলেন মানবসেবায় নিয়ােজিত প্রাণ। রােগগ্রস্ত শােক সন্তপ্ত মানুষের কাছে তিনি দেবমূর্তি। তার সেবা যত্নে, আদর আর ভালবাসায় অগণিত মানুষ রােগ মুক্ত হয়ে স্বস্তি পেয়েছে, তার স্নেহধন্য হয়ে কেউ পরম সুখে জীবন যাপন করছে। আর্ত লােকদের অতি কাছের মানুষ ছিলেন মাদার টেরেসা।
    জন্ম ও বাল্য জীবন : টেরেসা মায়ের নিজের দেশ ভারতবর্ষ, যদিও তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯১০ খৃষ্টাব্দের ২৭শে আগষ্ট যুগােশ্লাভিয়ার স্কপেজ শহরের এক আলবেনীয় দম্পতির ঘরে। তার পূর্বনাম অ্যাগনেস গংক্সা বােজাক্সিউ। বাল্যকালে পড়াশুনা শুরু হয় একটি সরকারি বিদ্যালয়ে। স্কুলের পড়া-শুনা যেমন তার ভালাে লাগত তেমনি ভালাে লাগত সেবামূলক কাজ। স্কুলের শিক্ষিকার নিকট হতে জানতে পারেন যে সেবামলক কাজ করবার জন্য পথিবীতে বেশ কয়টি সংগঠন আছে। অ্যাগনেস মনে মনে স্থির করেন যে এ সব সংগঠনে যােগ দান করবেন। এর সঙ্গে এক অধ্যাত্ববােধও তার মনে বাসা বাঁধে, তাই মাত্র আঠারাে বছর বয়সে তিনি একটি খ্রিষ্টীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।
    কর্মজীবন : মিশনারির ব্রত নেওয়ার পর তার নাম রাখা হয় টেরেসা। তারপর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ডাবলিনের লরেটো অ্যাবেতে ভারতের বৈচিত্র্যময় জীবনের কথা শুনে তিনি ভারতবর্ষের প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৯২৮ খৃষ্টাব্দে মাদার ভারতে আসেন। প্রথমে মার্গারেট স্কুলে শিক্ষকতা, ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচালনা ও পরে অধ্যক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ওই শিক্ষকতার ফাকে বস্তির দুঃস্থ অসহায় মানুষের সেবা করতেন।
    সেবায় নিজেকে নিয়ােগ : ১৯৪৬ খৃষ্টাব্দে দার্জিলিং যাত্রার পথে টেরেসার জীবনে এক ভাবান্তর দেখা যায়। শিক্ষকতা ছেড়ে তিনি একমাত্র সেবাব্রত গ্রহণে মনস্থ করেন। নীল পাড়যুক্ত সাদা সুতী শাড়ি পরিহিতা বিশ্বজননী মাদার এর এ সময় থেকে। শুরু হল জীবনের এক উজ্জ্বলতম অধ্যায়। ১৯৪৮ খৃষ্টাব্দে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব অর্জন করেন। পাটনা থেকে নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে তিনি এ বৎসরেই মতিঝিল বস্তিতে একটি বিদ্যালয় খুলেন। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ‘মিশনারিজ অব চ্যারিটিজ’ প্রতিষ্ঠা। করেন। তাঁর শুভ প্রচেষ্টায় কলকাতার কালীঘাটে গড়ে উঠে মরণাপন্নদের জন্য আতুর ভবন নির্মল হৃদয়’। সােদপুরে ‘প্রেমনিবাস’, ‘নির্মলা কেনেডি কেন্দ্রের মতাে অগণিত প্রতিষ্ঠান দুঃস্থ, আতুর অসহায় মানুষের জন্য মাদার গড়ে তুলেন। ভারতের গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে আছে মাদাদের প্রতিষ্ঠান গুলি। ভারতে তার পরিচালিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫, দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র দুই শতাধিক, কুষ্ঠ চিকিৎসাকেন্দ্র ৫৫টি। ভারতের বাইরেও তার সেবা প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে আছে।
    সেবা কার্যের পুরস্কার : বিশ্বের নানাদেশ একের পর এক সম্মান ও স্বীকৃতি প্রদান করেছে মাদারকে। ১৯৬২ সালে ফিলিপাইন্স সরকার মাদারের জন্য ঘােষণা করেছে ম্যাগসেসে পুরস্কার। ওই বছরই ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মশ্রী’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৬৪ সালে পােপ জন পল তাকে একটি বহুমূল্য গাড়ি উপহার দেন। ওই দামি গাড়ি বিক্রি করে মাদার সেই টাকায় একটি কুষ্ঠাশ্রম গড়ে তােলেন। ১৯৭২ সালে পান নেহেরু পুরস্কার। ১৯৭৯ সালের ১৭ই অক্টোবর তিনি শান্তির জন্য নােবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮০ সালে প্রদত্ত হয় ভারত সরকারের সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘ভারতরত্ন’।
    আদর্শ : আত্ম প্রচার বিমুখ মা টেরেসা অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশবাসীর কাছে। সেবার এক নতুন আদর্শ গড়ে তুলেছিলেন। শুধু সেবা নয় তার সঙ্গে আন্তরিক ভালবাসায় মানুষকে কাছে টেনে এনেছেন। বাণী বা উপদেশ নয়, যে কোন অবস্থায় আর্তের পাশে দাড়িয়ে সেবা ও ভালবাসাই ছিল তার জীবনাদর্শ।
    উপসংহার : ১৯৯৭ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর এই মহীয়সী নারী পঞ্জভতে বিলীন হয়ে যান। মানুষ হারাল তাদের বিশ্ব জননীকে। মহৎকাজে তাঁর সাধ ছিল, তাই সাদ্যের অকুলান হয়নি। তার সেবাদর্শ ও মানব প্রীতি সর্বকালের মানুষকে প্রেরণা ও শক্তি যোগায়।মূর্তিমতি সেবারূপা মা টেরেসা মানুষের মনিকোঠায় পূজিত ও বন্দিতা হবেন

    See less
      • 0
  • 1
  • 758
  • 0
Answer
In: রচনা

রচনা : বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান | Bangla rachana rabindranath thakur

  1. Hridoy
    Hridoy
    Added an answer on March 28, 2020 at 1:23 am

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান ভূমিকা : কোন জাতির সংস্কৃতি ও সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হচ্ছে তার কবি ও সাহিত্যিক। তাঁরাই মানব সভ্যতার আলােক স্তম্ভ। তাঁদের সৃষ্টি মানুষকে জ্ঞান দেয়, আনন্দ দেয়। কবিরা দেশ কালের উর্ধ্বে, তারা বিশ্বমানবের। রবীন্দ্রনাথ কিংবা সেক্সপিয়ারের সাRead more

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদান

    ভূমিকা : কোন জাতির সংস্কৃতি ও সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বের মানদণ্ড হচ্ছে তার কবি ও সাহিত্যিক। তাঁরাই মানব সভ্যতার আলােক স্তম্ভ। তাঁদের সৃষ্টি মানুষকে জ্ঞান দেয়, আনন্দ দেয়। কবিরা দেশ কালের উর্ধ্বে, তারা বিশ্বমানবের। রবীন্দ্রনাথ কিংবা সেক্সপিয়ারের সাহিত্য শুধু ভারতবর্ষ বা ইংল্যাণ্ডকে নয় সমস্ত বিশ্ববাসীকে করেছে মুগ্ধ। আমরা দেখতে পাই বাংলা কাব্যজগতে কবি মহাকবির অভাব নেই। এদের মধ্য থেকে একজন প্রিয় কবিও নির্ণয় করা কঠিন ব্যাপার নয় যেখানে আছেন রবীন্দ্রনাথের মতাে প্রতিভাবান কালজয়ী কবি। যার কাছে আছে অনেক উচ্চ শ্রেণির কবি প্রতিভা – তাই তাে রবীন্দ্রনাথই আমার প্রিয় কবি।.

    বাংলার শ্রেষ্ট কবি : যেখানে রয়েছেন মধুসূদনের মতাে মহাকবি যিনি প্রাচ্য , ও পাশ্চাত্যের ভাণ্ডার থেকে নানা রত্ন আহরণ করে সর্বপ্রথম বাংলা সাহিত্যের রুদ্ধ দ্বার খুলে দিয়েছিলেন। যেখানে রয়েছেন ছন্দের যাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কিংবা অগ্নিবীণার’ কবি নজরুল অথবা জীবনানন্দ দাশ, সুকান্ত ভট্টাচার্যের ন্যায় আধুনিক কবিরা – সেখানে রবীন্দ্রনাথকে প্রিয় কবি রূপে দেখাতে গেলে স্বাভাবিকভাবে কথা উঠতে পারে। তবে এ-কথার উত্তর অতি সহজ। রবীন্দ্রনাথ শুধু বাঙ্গালীর কবি নন, নন। ভারতবাসীর, ইনি বিশ্বকবি যিনি বিশ্বের মানুষের মন জয় করেছেন। তাইতাে রবীন্দ্রনাথ আমার প্রিয় কবি। যিনি নিঃশ্বাস বায়ুর ন্যায় জড়িয়ে আছেন সমগ্র বাঙ্গালীর সভায়।

    জন্ম ও বংশ পরিচয় : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৬১সালের ৭ই মে, বাংলা ১২৬৮ সালের ২৫শে বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে। প্রকৃতই সােনার চামচ মুখে নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম মহর্ষি দেবেন্দ্রনাম ঠাকুর ও মাতার নাম সারদা দেবী। পিতামহ সে যুগের সনামধন্য প্রিন্স দ্বারকান ঠাকুর । যে পরিবারে রবীন্দ্রনাথ জন্মগ্রহণ করেন সে পরিবার ছিল সেকালের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির-শ্রেষ্ঠ পিঠস্থান।

    বাল্যকাল ও বিদ্যা শিক্ষা : শৈশবে গৃহ শিক্ষকের নিকট থেকে রবীন্দ্রনাথ বিদ্যাশিক্ষা আরম্ভ হয়। পরে তিনি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন, কিন্তু বিদ্যালয়ের ” শিক্ষা-প্রণালী তার ভাল না লাগায় তিনি স্কুল পরিত্যাগ করেন। অবশ্য বিদ্যা করলেও বাড়িতে বিভিন্ন বিষয়ের গৃহ শিক্ষকের নিকট নিয়মিত পড়া-শুনা, তারপর মধ্যম ভ্রাতা সত্যেন্দ্রনাথের কাছ থেকে ইংরেজি শিক্ষা করেন এবং সত্যেন্দ্র নাথের সঙ্গে বিলাত গিয়ে লণ্ডন ইউনিভারসিটি কলেজেও অধ্যয়ন করেন।

    কাব্য চর্চার সূচনাঃ কবি তাঁর জীবন স্মৃতি’ গ্রন্থে বলেছেন – “আমার বয়স তখন সাত-আট বছরের বেশী হইবেনা। . একখানি নীল কাগজের খাতা জোগাড় করিলাম। তাহাতে স্বহস্তে পেন্সিল দিয়া কতকগুলি অসমান লাইন কাটিয়া বড় বড় কাচা অক্ষরে পদ্য লিখিতে শুরু করিয়া দিলাম।” অর্থাৎ সাত-আট বছর বয়স থেকেই কবির কবিতা রচনার আরম্ভ। তাছাড়া “জল পড়ে, পাতা নড়ে।” পংক্তি দুটি দিয়ে ছােট বেলার কাব্য রচনার সূত্রপাত হয়। তের বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘অভিলাস” “তত্ত্ববােধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তার কবিত্ব শক্তির পরিচয় পেয়ে সকলেই বিস্মিত হন।তারপর একে একে তরুণ কবির কবিতা ‘ভারতী’ ‘সাধনা’ প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়ে আলােড়নের সৃষ্টি করে। এর পর রবীন্দ্রনাথ ‘ভানুসিংহের পদাবলী’, বাল্মীকী প্রতিভা প্রভৃতি কয়েকটি কবিতা রচনা করেন।

    কবির কাব্যসম্ভারঃ রবীন্দ্রনাথের কাব্য গুলির বিশেষ করে সাহিত্য চর্চার বিবরণ দিতে গিয়ে মনে হয় এ যেন একজন মানুষের একটি জীবনের ফসল মাত্র নয়। বােধ হয় এ জন্যই রবীন্দ্র রসজ্ঞ সাহিত্যিক প্ৰথমনাথ বিশী ব্যঙ্গের সুরে বলে ছিলেন যে পরবর্তী প্রজন্মের মানুষ হয়তাে ভাববে রবীন্দ্রনাথ আসলে ছিলেন তিনজন – প্রথমজন। যিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করে সেখানেই লেখতেন। দ্বিতীয়জন বীরভূম জেলার শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করে সেখানেই লেখতেন। আর তৃতীয় রবীন্দ্র নাথের বিচরণক্ষেত্র ছিল পূর্ববঙ্গের পদ্মার তীরবর্তী অঞ্চল। সে যাই হােক ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত থেকে জন্মদিনে’ পর্যন্ত কবির কাব্যগ্রন্থ গুলিকে মােট ছয়টি পর্বে ভাগ করা যায়। ‘সন্ধ্যা সঙ্গীত’ থেকে ‘কড়ি ও কোমল পর্যন্ত প্রথম পর্ব, ২য় পর্ব পুনশ্চ’ থেকে ‘শ্যামলী পর্যন্ত কাব্য গুচ্ছ আর নৈবেদ্য’ থেকে ‘গীতাঞ্জলি’ পর্যন্ত তৃতীয় পর্ব। পঞ্চম পর্বে রয়েছে গদ্য ছন্দে লেখা ‘মানসী’ থেকে ‘কল্পনা পর্যন্ত। প্রান্তিক থেকে জন্মদিনে’ পর্যন্ত কাব্যধারা নিয়ে গঠিত ষষ্ঠ বা শেষ পর্ব।

    নােবেল পুরস্কার লাভ : রবীন্দ্রনাথ গীতাঞ্জলি কাব্যখানি রচনা করেন ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দে। আর এ কাব্যখানির জন্যই ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পুরস্কার সাহিত্যে নােবেল প্রাইজ এশিয়ার মধ্যে প্রথম ব্যক্তি হিসাবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লাভ করেন এবং জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করেন।

    কাব্যের প্রধান ধারা : রবীন্দ্র কাব্যে প্রধানতঃ তিনটি প্রধান ধারা লক্ষ্য করা যায়। প্রথম ধারাটি কবির প্রকৃতি চেতনা – প্রকৃতির প্রতি একটি তীব্র আকর্ষণ ও গভীর মমত্ববােধ রবীন্দ্রকাব্যের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। মানসী’, ‘সােনারতরী’, ‘চিত্রা’, “চৈতালী’ প্রভৃতি কাব্যে প্রকৃতি প্রীতির এই পরিচয় পাওয়া যায়। এ দ্বিতীয় ধারাটি মর্ত্য ও মানব প্রীতি যাকে তাঁর শ্রেষ্ঠ ধারা বলা যেতে পারে। তার ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যের দুর্ভাগাদেশ’, ‘ভারততীর্থ’, ‘দীনদান’ কবিতাগুলি বিশ্লেষণ করলেই সে পরিচয় পাওয়া যায়। তাছাড়া তৃতীয় ধারার কাব্য ‘খেয়া’ কাব্যথেকে কবির আধ্যাত্ম ভাবনার স্রোত অতি গভীর হয়ে ওঠে এবং ‘গীতাঞ্জলি’ ও ‘গীতালি’ কাব্যে তার পরিণতি
    লক্ষ্য করা যায়।
    রবীন্দ্রনাথের বিশ্বপ্রেম:রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বিশ্বপ্রেমিক, সুন্দরের পূজারী । তার কন্ঠ ছিল সুন্দর, কাব্য সঙ্গীত ছিল সুন্দর, গানে কবিতায় তিনি সুন্দরের মহিমা কীর্তন করে গেছেন ।সমাজ জীবনে যা কিছু অসুন্দর কুৎসিত এর মধ্য দিয়ে তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন। কবি পন্ডিত, দেশ প্রেমিক হিসেবে সর্বোপরি মানুষ হিসেবে রবীন্দ্রনাথের কত বড় ছিলেন তাঁর কথায় প্রকাশ করা যায় না।

    উপসংহার: বাঙালি জাতির পরম গৌরব যে রবীন্দ্রনাথের নেয়ায় প্রতিভাবান কবির জন্ম হয়েছিল বাংলার মাটিতে । আজ কবি আমাদের মধ্যে নেই কিন্তু তাঁর বাণী তথা কাব্য-কবিতা বাঙালি জাতিকে অন্ধকার হতে আলোর দিশা দেখাবে। যতদিন বাঙালির অস্তিত্ব থাকবে ততদিন কমের মরন নেই তিনি বেঁচে থাকবেন বাঙালির জ্ঞানে কর্মে ও সাধনায়।

    See less
      • 0
  • 1
  • 25,261
  • 0
Answer
Load More Questions

Sidebar

আরও দেখুন

  • রচনা : শিশু শ্রম | Child Labour Paragraph in Bengali?
  • আসামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রচনা | Natural Beauty of Assam Essay in Bengali Language?
  • আসামের প্রাকৃতিক সম্পদ রচনা | Natural resources of assam essay in bengali language?
  • রচনাঃ অসমের বন্যা ও তার প্রতিকার | Flood in Assam Essay in Bengali?
  • রচনাঃ ভয়ংকর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় | Prakritik Biporjoy Essay in Bengali?
  • রচনাঃ জাতীয় সংহতি ও বিচ্ছিন্নতাবাদ | Jatiya Sanhati Essay in Bengali or National Integration Essay in Bengali?
  • রচনা : একটি পাখির আত্মকথা | Autobiography of a Bird in Bengali
  • রচনা : বনভোজন | Bengali essay on Picnic for School student?
  • রচনা : শিক্ষা মূলক ভ্রমণ | Shikha mulok bhraman essay in Bengali
  • রচনা : দেশ ভ্রমণ | Essay on Travelling in Bengali for school student?
  • সংকিপ্ত রচনা : কুকুর | Short Essay on Dog in Bengali
  • রচনা : আমার মা | Amar Maa Bengali Essay for school student?
  • রচনা : একটি গাছ একটি প্রাণ | One tree one life paragraph in Bengali
  • রচনা : আমার প্রিয় খেলা ব্যাডমিন্টন | Amar Priyo Khela Badminton Essay in Bengali
  • রচনাঃ গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরী | Library Essay in Bengali language
  • রচনাঃ একটি নদীর আত্মকথা | Autobiography of a river in Bengali
  • রচনাঃ একটি বট গাছের আত্মকথা | Autobiography of a banyan tree in bengali
  • গরু রচনা | Goru rochona in bengali or shonkipto bangla guru rachana
  • রচনা : পরিবেশ সংরক্ষণ ও তার প্রয়োজনীয়তা | Write an essay on environment in bengali
  • রচনা : আমার পরিবার | Essay on my family in bengali
Join us on Telegram
Join our FaceBook Group

বিষয়

All Bangla Paragraph (105) Apurba Dutta Poems (4) Bangla application format (11) Bangla Choto Golpo (7) Bangla dorkhasto lekha (11) Bangla gazal lyrics (8) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) baul gaan lyrics (6) baul song lyrics (6) Bengali antonyms (40) Bengali Essay (105) Bengali letter Writing (11) Bengali lullaby lyrics (3) bengali lyrics (82) Bengali Meaning (259) bengali poem (14) Bengali Poems (124) Bengali Poem Summary (21) Bengali Rachana (99) Bengali short story (7) bengali song lyrics (98) bengali song lyrics in bengali (98) Bengali synonyms (33) chandrabindu lyrics (2) English grammar in Bengali (6) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Essay (75) Full form (14) general knowledge bengali (7) indian history in bengali (9) Joy Goswami kobita (4) kazi nazrul islamer kobita (8) Kobita (143) lyrics (17) Myth (3) nirendranath chakraborty poem (5) Nirmalendu Goon Poems (6) Paragraph (20) Parts of speech in Bengali (6) Pod Poriborton (39) Poem (3) poem summary in bengali (21) rabindranath tagore poems (57) Rabindra Sangeet lyrics (5) shakti chattopadhyay poems (7) Social Science (6) Somarthok Shobdo (33) Somas Bangla Grammar (15) sukanta bhattacharya kobita (4) Sukumar Roy Poem (16) Summary (8) অনুচ্ছেদ (127) অপূর্ব দত্তের কবিতা (4) আধ্যাত্মিক (10) ইংরেজি অনুবাদ (6) ইংরেজি থেকে বাংলা (6) ইংলিশ বাংলা অনুবাদ (6) ইন্টারনেট (1) ইসলাম (18) ইসলাম ধর্মীয় প্রশ্ন উত্তর (18) ইসলামী নাত ও গজল (8) ইসলামী সংগীত লিরিক্স (8) কবিতা (26) কবিতার সারাংশ ও সারমর্ম (21) কাজী নজরুল ইসলাম (8) কুসংস্কার (3) গানের কথা (14) ঘুম পাড়ানি গান lyrics (3) ছোটগল্প (7) জয় গোস্বামী (4) জয় গোস্বামীর কবিতা (4) জেনারেল নলেজ (7) জেনারেল নলেজ প্রশ্ন ও উত্তর (39) নির্মলেন্দু গুণের কবিতা (6) নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর কবিতা (5) পদ পরিবর্তন (39) পূর্ণরূপ (14) প্রকৃতি (17) প্রক্রিতি (23) ফলমূল (28) ফুল ফর্ম (14) বাংলা general knowledge (52) বাংলা অর্থ (275) বাংলা আবেদন পত্র (11) বাংলা কবিতা (219) বাংলা কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (68) বাংলা গান লিরিক্স (97) বাংলা গানের লিরিক্স (98) বাংলা ছোট গল্প (7) বাংলা দরখাস্ত নমুনা (11) বাংলা প্রবন্ধ (97) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা বিপরীত শব্দ (40) বাংলা রচনা (127) বাউল গান লিরিক্স (6) বাক্য রচনা (176) বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি (1) বিজ্ঞান শিক্ষা (17) বিপরীত শব্দ (40) বোঝাপড়া কবিতা (3) ব্যাখ্যা (8) ভক্তিভাজন (10) ভারতের ইতিহাস (9) ভূগোল (5) মধ্যযুগের ভারতের ইতিহাস (9) মূলভাব (8) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (34) রবীন্দ্রসংগীত (1) রবীন্দ্র সংগীত লিরিক্স (5) লিরিক্স (17) শক্তি চট্টোপাধ্যায় kobita (7) শঙ্খ ঘোষ (8) শুভ দাশগুপ্ত (7) সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (5) সন্ধি বিচ্ছেদ (8) সন্ধি বিচ্ছেদ ব্যবহার (8) সমাজ বিজ্ঞান (6) সমার্থক শব্দ (33) সমাস (15) সারাংশ (8) সুকান্তের কবিতা (4) সুকুমার রায় (16)

Footer

© 2025 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

Add Bengali Forum to your Homescreen!

Add