আমরা তো অল্পে খুশি,
কী হবে দুঃখ করে?
আমাদের দিন চলে যায়
সাধারণ ভাতকাপড়ে।
চলে যায় দিন আমাদের
অসুখে ধারদেনাতে
রাত্তিরে দুভায়ে মিলে
টান দিই গঞ্জিকাতে।
সবদিন হয়না বাজার,
হলে হয় মাত্রাছাড়া –
বাড়িতে ফেরার পথে
কিনে আনি গোলাপচারা।
কিন্তু পুঁতব কোথায়?
ফুল কি হবেই তাতে?
সে অনেক পরের কথা
টান দিই গঞ্জিকাতে।
আমরা তো অল্পে খুশি,
কী হবে দু : খ করে?
আমাদের দিন চলে যায়
সাধারণ ভাতকাপড়ে।
মাঝে মাঝে চলেও না দিন
বাড়ি ফিরি দুপুররাতে ;
খেতে বসে রাগ চড়ে যায়
নুন নেই ঠান্ডা ভাতে।
রাগ চড়ে মাথায় আমার
আমি তার মাথায় চড়ি,
বাপব্যাটা দুভায়ে মিলে
সারা পাড়া মাথায় করি।
করি তো কার তাতে কী?
আমরা তো সামান্য লোক।
আমাদের ভাতের পাতে
লবণের ব্যবস্থা হোক।
কবিতা সম্বন্ধে:
জয় গোস্বামীর লিখিত ‘নুন’ কবিতা সমাজের খেটে খাওয়া, গরিব শ্রেণীর মানুষের কবিতা। কবিতায় স্থান পেয়েছে তাদের দুঃখের কথা, তাদের অভাবের কথা। এই মানুষদের বেশি চাওয়া পাওয়া নেই । তারা অল্পতেই খুশি তাদের নেই কোন অভিযোগ অনেক বেশি পাওয়ার। এদের জীবন অতি সাধারন তারা সম্পূর্ণ দিন পরিশ্রম করে যা উপার্জন করে তাহাতেই তাদের সংসার চলে। অনেকদিন তারা অনেক কিছু ক্রয় করতে পারেনা তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে। তাদের বাড়ি ফিরতে হয় অনেক কিছু না নিয়ে।
যদিও তাহারা অভাবে ভোগে কিন্তু তাদের নেশা থেমে থাকে না। আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হলে তাদের বিলাসিতার ইচ্ছে হয়। তাদের ইচ্ছে হয় কখনো বা একটি গোলাপ ফুলের চারা লাগানোর কিন্তু লাগাবার জায়গাটা ও তাদের নেই।
অভাবের টানে অনেক সময় তাদের ঠান্ডা ভাতে নন টুকু ও জোটে না। তখনই শুরু হয় উৎপাত এবং এই উৎপাতের শব্দ শুনতে পায় সমস্ত পাড়ার মানুষ। কিন্তু ইহাতে তাদের কোন লজ্জা বোধ হয় না কারণ কেহই তাহাদের কথা ভাবে না। তাদের জীবন যাপনের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও কেউই তাদের দেয়নি। তাই তাদের কাতর আবেদন যে তাদের নুনের ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ তাহাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব গুছিয়ে যাক।
Hridoy
কবিতা : নূন (জয় গোস্বামী)
আমরা তো অল্পে খুশি,
কী হবে দুঃখ করে?
আমাদের দিন চলে যায়
সাধারণ ভাতকাপড়ে।
চলে যায় দিন আমাদের
অসুখে ধারদেনাতে
রাত্তিরে দুভায়ে মিলে
টান দিই গঞ্জিকাতে।
সবদিন হয়না বাজার,
হলে হয় মাত্রাছাড়া –
বাড়িতে ফেরার পথে
কিনে আনি গোলাপচারা।
কিন্তু পুঁতব কোথায়?
ফুল কি হবেই তাতে?
সে অনেক পরের কথা
টান দিই গঞ্জিকাতে।
আমরা তো অল্পে খুশি,
কী হবে দু : খ করে?
আমাদের দিন চলে যায়
সাধারণ ভাতকাপড়ে।
মাঝে মাঝে চলেও না দিন
বাড়ি ফিরি দুপুররাতে ;
খেতে বসে রাগ চড়ে যায়
নুন নেই ঠান্ডা ভাতে।
রাগ চড়ে মাথায় আমার
আমি তার মাথায় চড়ি,
বাপব্যাটা দুভায়ে মিলে
সারা পাড়া মাথায় করি।
করি তো কার তাতে কী?
আমরা তো সামান্য লোক।
আমাদের ভাতের পাতে
লবণের ব্যবস্থা হোক।
কবিতা সম্বন্ধে:
জয় গোস্বামীর লিখিত ‘নুন’ কবিতা সমাজের খেটে খাওয়া, গরিব শ্রেণীর মানুষের কবিতা। কবিতায় স্থান পেয়েছে তাদের দুঃখের কথা, তাদের অভাবের কথা। এই মানুষদের বেশি চাওয়া পাওয়া নেই । তারা অল্পতেই খুশি তাদের নেই কোন অভিযোগ অনেক বেশি পাওয়ার। এদের জীবন অতি সাধারন তারা সম্পূর্ণ দিন পরিশ্রম করে যা উপার্জন করে তাহাতেই তাদের সংসার চলে। অনেকদিন তারা অনেক কিছু ক্রয় করতে পারেনা তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে। তাদের বাড়ি ফিরতে হয় অনেক কিছু না নিয়ে।
যদিও তাহারা অভাবে ভোগে কিন্তু তাদের নেশা থেমে থাকে না। আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হলে তাদের বিলাসিতার ইচ্ছে হয়। তাদের ইচ্ছে হয় কখনো বা একটি গোলাপ ফুলের চারা লাগানোর কিন্তু লাগাবার জায়গাটা ও তাদের নেই।
অভাবের টানে অনেক সময় তাদের ঠান্ডা ভাতে নন টুকু ও জোটে না। তখনই শুরু হয় উৎপাত এবং এই উৎপাতের শব্দ শুনতে পায় সমস্ত পাড়ার মানুষ। কিন্তু ইহাতে তাদের কোন লজ্জা বোধ হয় না কারণ কেহই তাহাদের কথা ভাবে না। তাদের জীবন যাপনের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও কেউই তাদের দেয়নি। তাই তাদের কাতর আবেদন যে তাদের নুনের ব্যবস্থা হোক। অর্থাৎ তাহাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব গুছিয়ে যাক।