Sign Up

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Have an account? Sign In Now

Sign In

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Don't have account, Sign Up Here

Forgot Password

Lost your password? Please enter your email address. You will receive a link and will create a new password via email.


Have an account? Sign In Now

Sorry, you do not have a permission to ask a question, You must login to ask question.

Continue with Facebook
Continue with Google
Continue with Twitter
or use


Forgot Password?

Need An Account, Sign Up Here
Bengali Forum Logo Bengali Forum Logo
Sign InSign Up

Bengali Forum

Bengali Forum Navigation

  • বিভাগ
  • বিষয়
  • ব্লগ
  • বাংলা অভিধান
  • হযবরল
Search
Ask A Question

Mobile menu

Close
Ask a Question
  • বাংলা অভিধান
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • রচনা
  • সাধারণ জ্ঞান
  • ইংলিশ টু বাংলা
  • বিজ্ঞান
  • বাংলা কুইজ
  • ধৰ্ম ও সংস্কৃতি
  • ইতিহাস
  • মতামত

সারাংশ ও সারমর্ম

0Followers
28Answers
21Questions
  • Recent Questions
  • No Answers

Discy Latest Questions

In: শিক্ষা, সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

দারিদ্র্য কবিতার মূলভাব ও আলোচনা | Daridro poem summary in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 11, 2021 at 9:49 pm

    কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত 'দারিদ্র্য' কবিতার মূলভাবঃ দারিদ্র্য কবিতা প্রত্যক্ষত কবির নিজের দুর্দিনের প্রেক্ষাপটে রচিত। কবিতাটি প্রথম ‘কল্লোল' পত্রিকায়, অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ সনে পরে ‘সত্তগাত'-এ মাঘ ১৩৩৩ সনে পুনর্মুদ্রিত হয়। পরে কবির সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কবিতার সংগ্রহ গ্রন্থ ‘সিন্ধু হিল্লোল (১৩৩৪)-এ সংকলিত হযRead more

    কাজী নজরুল ইসলাম লিখিত ‘দারিদ্র্য’ কবিতার মূলভাবঃ

    দারিদ্র্য কবিতা প্রত্যক্ষত কবির নিজের দুর্দিনের প্রেক্ষাপটে রচিত। কবিতাটি প্রথম ‘কল্লোল’ পত্রিকায়, অগ্রহায়ণ ১৩৩৩ সনে পরে ‘সত্তগাত’-এ মাঘ ১৩৩৩ সনে পুনর্মুদ্রিত হয়। পরে কবির সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী কবিতার সংগ্রহ গ্রন্থ ‘সিন্ধু হিল্লোল (১৩৩৪)-এ সংকলিত হয়।

    দারিদ্র মানুষকে তার যথার্থ স্বরূপ প্রকাশ করে। মানুষের প্রকৃত সত্তা, তাঁর মনুষ্যত্বের প্রকৃত চেহারা এ সময়েই ফুটে ওঠে। ভারতীয় জীবনবােধের মধ্যে যে ত্যাগ-তিতিক্ষার পরিচয় আছে, তা কখনই ঐশ্বর্য বিকাশের মধ্যে ফুটে ওঠে না। তাই দারিদ্রই মানুষকে মহতের সম্মানে প্রতিষ্ঠিত করে। প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েই যথার্থ শক্তির তীব্রতা প্রকাশ পায়।

    দুঃখের দহন তাপে জীবনের সমস্ত রস যখন শুকিয়ে যায় তখন দু চোখে শুধু আগুন জ্বলে। ফুলের সৌরভ আর তেমন ছড়ায় না। পৃথিবীর সমস্ত করুণা ধারা যখন সূর্যের খরতাপে শুষ্ক হয় তখন আর জীবনের স্বপ্ন, তার সুন্দর কোনাে কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। সমস্ত জ্বালা যন্ত্রণা বেদনার ভার নিয়ে যে গান রচনা হয় তা তাে বেদনারই গান। তখন মনে হয় দারিদ্র্য ছাড়া জীবনের কোনাে কিছুই আর সত্য নয়। মহা দারিদ্র্যের প্রলয়ঙ্কর শক্তি সর্বস্ব গ্রাস করতে উদ্যত।

    এরই মধ্যে পৃথিবী যখন অপরূপ সৌন্দর্যে পূর্ণ হয়, আগমনীর আনন্দের সুর ধ্বনিত হয়, তখন আশা জাগে, ম্লানমুখী শেফালিকাও ঝরে পড়বার আগে গন্ধ বিলিয়ে যায়। প্রজাপতি নেচে বেড়ায় পুষ্প থেকে পুষ্পে চঞ্চল পাখায়। এর মধ্যে কবি-প্রাণে বেদনার করুণ সুর বেজে ওঠে। আগমনী গানের মধ্যে যেন শুনতে পাওয়া যায়, নাই, কিছু নাই।

    See less
    • 1
  • 1
  • 3,620
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

নারী কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব | Nari poem summary in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 11, 2021 at 4:49 pm

    কাজী নজরুল ইসলামের লিখিত নারী কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব: সাম্যের গান গাওয়া কবির কাছে নারী-পুরুষে কোনাে ভেদাভেদ নেই। বিশ্বের সমস্ত কল্যাণ অকল্যাণ সবেতেই নারী পুরুষের ভূমিকা আছে। খ্রিস্টিয় আদি পাপের পিছনে যে শয়তানের (Satan) কথা ভাবা হয় সেই অমঙ্গলের শক্তি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই থাকা সম্ভব। তাই নারীRead more

    কাজী নজরুল ইসলামের লিখিত নারী কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব:

    সাম্যের গান গাওয়া কবির কাছে নারী-পুরুষে কোনাে ভেদাভেদ নেই। বিশ্বের সমস্ত কল্যাণ অকল্যাণ সবেতেই নারী পুরুষের ভূমিকা আছে। খ্রিস্টিয় আদি পাপের পিছনে যে শয়তানের (Satan) কথা ভাবা হয় সেই অমঙ্গলের শক্তি নারী পুরুষ উভয়ের মধ্যেই থাকা সম্ভব। তাই নারীকে এজন্য হেয় করা ঠিক নয়। বরং পৃথিবীর যা কিছু ভালাে সেই সব সৃষ্টি—যা মঙ্গলময়-সম্পদ, জ্ঞান, গুণ সৌন্দর্য সমস্তেই নারীর অবদান আছে। দিনের শেষে তপ্ত দেহ মন নিয়ে পুরুষ ঘরে ফিরে নারীর কল্যাণস্পর্শে স্বস্তি শান্তি পেয়েছে। নারী বাইরে কমেৰ্ষণা জোগায়, ঘরে সে-ই কল্যাণী। দুয়ের শক্তিতেই সৃষ্টি রয়েছে সচল।
    অলঙ্কার সে তাে নারীদেহ স্পর্শেই সুন্দর। নারীর মিলন-বিরহে কাব্যসৃষ্টি। ক্ষুধা-সুধার মধ্য দিয়ে নিত্য নতুন সৃষ্টি সম্ভব হয়েছে। পৃথিবীর অনেক বিজয় অভিযান, মানুষের সমস্ত কীর্তির পিছনে নারীর অবদান সীমাহীন।নারীর উৎসাহ ও প্রেরণাতেই পৃথিবীতে অমর মনীষীরা মহান সব প্রয়াস করেছেন। নারীর কোমল হৃদয়ের স্পর্শেই শিশু-পুরুষ নির্বিশেষে স্নেহ প্রেম-প্রীতি দয়ামায়ায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে।
    নারীর প্রেরণায়, শক্তিতে এতদিন যাঁরা আশ্রয় পেয়েছে, তারাই আজ নারীর মর্যাদাকে স্বীকার করছে না, এ বড়াে বিস্ময়। আজ সাম্যবাদের যুগ—নারী পুরুষের সমানাধিকার। পুরুষ নারীর উপর আধিপত্য বিস্তার বা তাকে বন্দী করতে চাইলে, তাকেই এক সময়, তারই সৃষ্ট কারাগারে বন্দী হতে হবে। কেননা এটাই যুগধর্মপীড়ন করলে নিজেকেই পীড়িত হতে হবে। সেই সঙ্গে নারীকেও আর স্বর্ণ-রৌপ্যের অন্ধকারে বন্দিনী থাকা চলবে না ; হাতের রুবি, পায়ের মল-শিকল, মাথার ঘােমটা ফেলে বেরিয়ে আসতে হবে। যারা একসময় পদানত করে রেখেছিল, তাদের সমস্ত বন্ধন ছিন্ন করে, প্রয়ােজনে পরাভূত করে, নারীকে বিশ্বজয় করতে হবে। আর তা হলেই অনাগত ভবিষ্যতে পুরুষের সঙ্গে নারীর জয় ঘােষিত হবে।।

    See less
    • -1
  • 1
  • 5,138
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

সাম্যবাদী কবিতার বিষয়বস্তু ও মূলভাব | Samyabadi Poem Summary in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on March 11, 2021 at 2:27 pm

    সাম্যবাদী কবিতার বিষয়বস্তু ও মূলভাব: এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কবির বিশ্বাস মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা সবচেয়ে সম্মানের। নজরুলের এ আদর্শ আজও প্রতিটি মানুষের জীবনপথের প্রেরণা। কিন্তু মানুষ সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে রাজনীতি করRead more

    সাম্যবাদী কবিতার বিষয়বস্তু ও মূলভাব:

    এই কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক মানবসমাজ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। কবির বিশ্বাস মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে পরিচিত হয়ে ওঠা সবচেয়ে সম্মানের। নজরুলের এ আদর্শ আজও প্রতিটি মানুষের জীবনপথের প্রেরণা। কিন্তু মানুষ সম্প্রদায়কে ব্যবহার করে রাজনীতি করে, দুর্বলকে শােষণ করে, এখনও একের বিরুদ্ধে অন্যকে উস্কে দেয়। এক জনের প্রতি অন্য জনকে বিমুখ করার ষড়যন্ত্র করে।

    নজরুল এ কবিতায় বলেছেন- “মানুষেরই মাঝে স্বৰ্গনরক মানুষেতে সুরাসুর।” নজরুল জোর দেন অন্তর ধর্মের ওপর। ধর্মগ্রন্থ পড়ে অর্জিত জ্ঞান যথার্থভাবে উপলব্ধি করতে প্রয়ােজন মানবিকতাবােধ। কবি বলেছেন মানুষের হৃদয়ের চেয়ে শ্রেষ্ঠ কোন মন্দির কাবা নেই। কবি সকল মত, সকল পথের উপরে স্থান দিয়েছেন মানবিকতা। হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, মুসলিম সকলকে একই মায়ের সন্তানের মতাে ভেবেছেন। নজরুল মানবিক মেলবন্ধনের জন্য সংগীত রচনা করেছেন। বাণী ও সুরের মাধ্যমে মানবতার সুবাস ছড়ানাের চেষ্টা করেছেন।

    নজরুল ‘সাম্যবাদী’ কবিতায় মন্দির, মসজিদ, গির্জা বা অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রের মতাে পবিত্র মনে করেছেন মানুষের হৃদয়কে। এ হৃদয় যদি পবিত্র থাকে, হৃদয়ে যদি কারাে প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ না থাকে, সকলের প্রতি সমদর্শিতা থাকে তাহলে পৃথিবী হবে সুখের আবাসস্থল। সাম্যবাদ মানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ বিৰ্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত এ মতবাদ। কাজী নজরুল ইসলাম তার সাম্যবাদী’ কবিতায় সব ধরনের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য সাম্যবাদের বাণী প্রচার করেছেন।

    শব্দার্থ ও টীকাঃ

    আরব-দুলাল– আরব সন্তান, এখানে হযরত মুহম্মদ (স) কে বােঝানাে হয়েছে। ইহুদি- প্রাচীন হিব্রু বা জু-জাতি ও ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষ।

    কনফুসিয়াস– চিন দেশের একজন প্রখ্যাত দার্শনিক। এখানে তাঁর অনুসারীদের বােঝানাে হয়েছে।

    কোরানের সাম্য-গান– পবিত্র কোরানের সাম্যের বাণী।

    কাশী, মথুরা, বৃন্দাবন, গয়া– হিন্দুদের পবিত্র ধর্মীয় কয়েকটি স্থান।

    গারাে– গারাে পর্বত অঞ্চলের অধিবাসী ক্ষুদ্র নৃ-গােষ্ঠীবিশেষ।

    চার্বাক– একজন বস্তুবাদী দার্শনিক ও মুনি। তিনি বেদ, আত্মা, পরলােক ইত্যাদিতে আস্থাশীল ছিলেন।

    জেরুজালেম বায়তুল-মােকাদ্দস, ফিলিস্তিনে অবস্থিত এই স্থানটি মুসলমান, খ্রিষ্টান ও ইহুদিদের নিকট সমভাবে পুণ্যস্থান।

    জেন্দাবেস্তা – পারস্যের অগ্নি উপাসকদের ধর্মগ্রন্থ আবেস্তা এবং তার ভাষা জেন্দা।

    জৈন– জিন বা মহাবীর প্রতিষ্ঠিত ধর্মমতাবলম্বী সম্প্রদায়।

    দেউল– দেবালয়, মন্দির।

    নীলাচল – জগন্নাথক্ষেত্র, নীলবর্ণযুক্ত পাহাড়। যে বিশাল পাহাড়ের পরিসীমা নির্ধারণ করা যায় না।

    পার্সি– পারস্যদেশের বা ইরানের নাগরিক।

    বাঁশির কিশাের গাহিলেন মহা-গীতাহিন্দুধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণের মুখনিঃসৃত বাণীই শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা।

    মসজিদ এই, মন্দির এই, গির্জা এই হৃদয়– মানুষের হৃদয়ই মসজিদ, মন্দিও, গির্জা বা অন্যান্য তীর্থক্ষেত্রের মতাে পবিত্র।

    যুগাবতার– বিভিন্ন যুগে অবতীর্ণ মহাপুরুষ।

    শাক্যমুনি – শাকবংশে জন্ম যার, বুদ্ধদেব।

    সাম্য– সমদর্শিতা, সমতা।

    সাম্যবাদ– জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে রাষ্ট্রের সকল মানুষের সমান অধিকার থাকা উচিত এই মতবাদ।

    সাঁওতাল, ভীল– ভারতীয় উপমহাদেশের আদিম নৃগােষ্ঠীবিশেষ।

    হিয়া– হৃদয়।

    See less
    • 0
  • 1
  • 10,961
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

সারাংশ – বাংলার মুখ | Banglar Mukh Ami Dekhiachi Poem Summary in Bengali

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on January 15, 2021 at 6:41 pm

    সারাংশ – বাংলার মুখ কবিতা সম্মন্ধে: বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি কবিতাটি কবি জীবননানন্দ দাশের 'রূপসী বাংলা কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত। এই কবিতাগুলি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে কবি রচনা করেন।কবিতা গুলিতে বাংলার সঙ্গে কবির মনের বা আত্মার সম্পর্কের চিত্র ভেসে উঠেছে। কবি নিজে এই কবিতাগুলি সম্পর্কে লিখেছেন, “এরা প্রত্যেকRead more

    সারাংশ – বাংলার মুখ

    কবিতা সম্মন্ধে:

    বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি কবিতাটি কবি জীবননানন্দ দাশের ‘রূপসী বাংলা কাব্য গ্রন্থের অন্তর্গত। এই কবিতাগুলি ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে কবি রচনা করেন।কবিতা গুলিতে বাংলার সঙ্গে কবির মনের বা আত্মার সম্পর্কের চিত্র ভেসে উঠেছে। কবি নিজে এই কবিতাগুলি সম্পর্কে লিখেছেন, “এরা প্রত্যেকে আলাদা-আলাদা স্বতন্ত্র সত্তার মতাে নয় কেউ, অপরপক্ষে সার্বিক বােধে এক শরীরী গ্রাম বাংলার আলুলায়িত প্রতিবেশ, প্রসূতির মতাে ব্যক্তিগত হয়েও পরিপুরকের মতাে পরস্পর নির্ভর।”

    সারমর্ম

    কবি বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের মধ্যে বিশ্বের রুপ দেখতে পেয়েছেন। তাই পৃথিবীর রূপ-বৈচিত্রের প্রতি তার কোন মােহ নেই। ভােরের অন্ধকারে জেগে উঠে তিনি দেখেছেন, ডুমুরের বড়াে পাতা যেন ছাতার মতাে বিছিয়ে রয়েছে, আর তার নিচে বসে আছে ভােরের দোয়েল পাখি। এ যেন তার শান্তির নীড়। জাম, বট, কাঠাল, হিজল, অশ্বথ গাছের দল নীরবে সে দিকে তাকিয়ে আছে। ফণীমনসার ঝোপে, শটিবনে তাদের ছায়া পড়েছে। কবির মানসলােকে ফুটে উঠেছে অতীতকালের এক ছবি। তাঁর মনে হয়েছে চম্পক নগরের চাদ সদাগর যখন তাঁর সাতটি মধুকর ডিঙা নিয়ে বাজি করতে যেতেন, তখন বাংলার এই স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য তাঁর চিত্তে এনে দিত গভীর প্রশান্তি। আবার যেদিন গভীর অন্ধকার রাতে বেহুলা মৃত স্বামী লখীন্দরকে ভেলায় ভাসিয়ে গাঙুড়ের জলে চলেছিল, সেদিন কৃষ্ণা দ্বাদশীর স্নান জ্যোৎস্নায় সােনালি ধানের পাশে এমনই অসংখ্য বটগাছ দেখেছিল। শ্যামা পাখির নরম গান শুনে তার চিত্ত বেদনার্ত হয়েছিল। তারপর একদিন ইন্দ্রের সভায় গিয়ে ছিন্ন খঞ্জনা পাখির মতো যখন বেহুলা নেচেছিল, তখন বাংলার নদী, মাঠ, ভাঁটফুল ঘুঙুরের মতাে তার দুঃখে কাতর হয়ে তার পায়ে পায়ে কেঁদে উঠেছিল।

    See less
    • 0
  • 1
  • 25,509
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

সারাংশ – গুপ্তধন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Guptodhon Rabindranath Tagore Summary

  1. Nibedita Paul

    Nibedita Paul

    • India
    • 41 Questions
    • 153 Answers
    • 8 Best Answers
    • 677 Points
    View Profile
    Nibedita Paul
    Added an answer on October 5, 2020 at 12:19 am

    গুপ্তধন ‘গুপ্তধন’ কথাটির অর্থ লুকোনাে সম্পদ, যে সম্পদ মানুষের দৃষ্টির বাইরে থাকে, তাকেই ‘গুপ্তধন’ বলে। রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন যে এই গুপ্তধন কখনই মানুষের কাছে মঙ্গলকর নয়, এর মধ্যেই লুক্কায়িত থাকে মৃত্যুর অমােঘ হাতছানি। রবীন্দ্রনাথ এভাবে ধন প্রাপ্তিতে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না। যে ধন থাকে মনুষ্যচক্ষুর অন্Read more

    গুপ্তধন

    ‘গুপ্তধন’ কথাটির অর্থ লুকোনাে সম্পদ, যে সম্পদ মানুষের দৃষ্টির বাইরে থাকে, তাকেই ‘গুপ্তধন’ বলে।
    রবীন্দ্রনাথ দেখিয়েছেন যে এই গুপ্তধন কখনই মানুষের কাছে মঙ্গলকর নয়, এর মধ্যেই লুক্কায়িত থাকে মৃত্যুর অমােঘ হাতছানি। রবীন্দ্রনাথ এভাবে ধন প্রাপ্তিতে শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না। যে ধন থাকে মনুষ্যচক্ষুর অন্তরালে সে ধনকে তিনি বলেছেন ‘মরা ধন’। এই ধনের প্রতি আকর্ষণ তিনি সহ্য করতে পারেন নি। এর প্রতি আকর্ষণ কীভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনকে বিপর্যস্ত করে তারই ছবি ‘গুপ্তধন’ গল্পে লেখক অঙ্কন করার চেষ্টা করেছেন।

    গুপ্তধন গল্পটির শুরুতেই একটি চমক আর সেই চমকের মাধ্যমেই মৃত্যুঞ্জয়ের মানসিকতার উন্মােচন একটা পরিচয়কে প্রতিষ্ঠা করেছে। মৃত্যুঞ্জয় নিষ্ঠাবান, সদাচারী ও নিতান্ত সাধারণ কিন্তু লােভ লালসার উর্ধ্বে নয়। বিত্তের স্বাভাবিক লােভের কারণে অনন্যমনা অধ্যবসায়ী, ফলে গুপ্তধনের আবিষ্কারে মনপ্রাণ সমর্পণ করেছে। সেই আবিষ্কারের মূল সূত্রটিই যখন রহস্যজনকভাবে উধাও হয়, লেখক সেই মানসিক পরিস্থিতি অত্যন্ত জীবন্ত করে তুলেছেন এবং একই সঙ্গে পাঠকমনও মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে সঙ্গে রহস্য উদঘাটনে সঙ্গী হয়েছে। নামকরণে থাকে বিষয়বস্তুর ইঙ্গিত, গল্প শুরু হয় প্রথম পঙক্তি থেকেই। গুপ্তধন গল্পও এর ব্যতিক্রম নয়।

    আসলে এই গল্পের নামকরণের মধ্য দিয়ে মানুষের অন্তরের সুপ্ত এক সম্পদের কথাই বলা হয়েছে, ইন্দ্রিয়ের তাড়নায় ও বাসনায় মােহজালে আবদ্ধ হয়ে যা ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। এক্ষেত্রে শংকর ও মৃত্যুঞ্জয়ের উদ্দেশ্য এক – গুপ্তধনের সন্ধান। অবশ্য একসময়ে তার সন্ধান পেয়েও তারা তা গ্রহণ করেনি। সন্ন্যাসী শংকর একসময় স্বরূপানন্দ স্বামীর মাধ্যমে মৃত্যুঞ্জয় সম্পদের লােভে তাঁকে হত্যার চেষ্টা করল। আবার এই শংকরই মৃত্যুঞ্জয়ের গুপ্তধনের মােহমুক্তি ঘটালেন, আলাে বাতাসে ছড়িয়ে থাকা প্রকৃত সম্পদকে চেনালেন।

    রবীন্দ্রনাথ একসময় বলেছিলেন, “সুখের উপায় বাহিরে নাই, তাহা অন্তরেই আছে, তাহা উপকরণজালের বিপুল জটিলতার মধ্যে নাই, তাহা সংযত চিত্তের নির্মল সরলতার মধ্যে জটিলতার মধ্যে নাই, তাহা সংযত চিত্তের নির্মল সরলতার মধ্যে বিরাজমান।” এই দৃষ্টিভঙ্গী থেকেই বিশ্বব্যপী অক্ষয় সম্পদের সন্ধান পেলেন মৃত্যুঞ্জয়, ত্যাগ করলেন গুপ্তধনের বিপুল সম্পদ, যা এতদিন অন্তদৃষ্টির বন্ধনে আবদ্ধ ছিল আজ তা আলাে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ল – শংকর আর মৃত্যুঞ্জয়ের প্রকৃত গুপ্তধন অর্থাৎ মনের ঐশ্বর্যের সন্ধান মিলল। আর এই তাৎপর্যই গুপ্তধন গল্পটি ব্যঞ্জনা বা ইঙ্গিতবহ হয়ে উঠেছে

    See less
    • 0
  • 1
  • 2,852
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

জন্মভূমি আজ কবিতার সারমর্ম | Jonmobhumi Aj Summary in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on September 22, 2020 at 2:18 am

    সারাংশ ও সারমর্ম আধুনিক বাস্তববাদী সমস্যা দীর্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কবি যার কাছে সমাজ, দেশ, কাল ও সমাজের প্রতি সচেতনতাই প্রাধান্য পেয়েছে সেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "বেঁচে থাকার কবিতা" নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে জন্মভূমি আজ কবিতা টি। এই কবিতাটিতে কবির স্বদেশের কাল ও সমাজ সচেতনতRead more

    সারাংশ ও সারমর্ম

    আধুনিক বাস্তববাদী সমস্যা দীর্ন মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কবি যার কাছে সমাজ, দেশ, কাল ও সমাজের প্রতি সচেতনতাই প্রাধান্য পেয়েছে সেই বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা “বেঁচে থাকার কবিতা” নামক কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে জন্মভূমি আজ কবিতা টি।

    এই কবিতাটিতে কবির স্বদেশের কাল ও সমাজ সচেতনতার পরিচয় স্পষ্ট। সমাজের অন্যায় অবিচার যেখানেই দেখেছেন সেখানেই তাঁর কবিতার বাণী গর্জে উঠেছে। তাই তিনি উদ্বিগ্ন ভাবে ও মুক্তকণ্ঠে দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুগ যুগ ধরে জগদ্দল পাথরের মতো দেশের মানুষের উপর চেপে বসে আছে দুঃখ দারিদ্র্যের কালো অন্ধকার। সেই অন্ধকার কে সরাতে হবে, তবে দেশের সার্বিক কল্যাণ সম্ভব হবে।

    কল্পনার জগত থেকে নেমে এসে কবি বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়াতে বলেছেন। দেশের মানুষের উন্নতির জন্য মাটি ও মানুষের দিকে তাকাতে হবে। দুঃখ এবং দুর্যোগ যে অন্ধকার বুকের উপর চেপে বসে আছে তাকে দূর করতেই হবে। ফলবান করে তুলতে হবে দেশের শুষ্ক মরূভূমির মত স্বদেশকে সেজন্য মাটি আর মানুষের মেলবন্ধনের দরকার । মাটি তো আগুনের মত হবেই তাকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ফলবান করে তুলতে হবে আর যদি তা না পারা যায় তবে দেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে তাই দেশকে ভালবাসতে হলে দেশের মানুষকে, মাটি কে, জীব জন্তু ও গাছপালা কে ভালবাসতে হবে।

    See less
    • 0
  • 1
  • 11,628
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম

রাস্তা কারো একার নয় কবিতার সারাংশ | Rasta Karo Ekar Noy Poem Summary in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on September 22, 2020 at 1:36 am

    সারাংশ ও সারমর্ম “রাস্তা কারাে একার নয়” (মূলগ্রন্থঃ অথচ ভারতবর্ষ তাদের) কবিতায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাধারণ লােকসমাজের জীবনপথের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ব্যঞ্জনাধর্মী এ কবিতায় তিনি মানুষের, মানবসভ্যতার অগ্রগতি, প্রগতিপথকে ‘রাস্তা' বলে আখ্যাত করেছেন। সভ্যতাসূচনা থেকেই মানবজীবনের সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্Read more

    সারাংশ ও সারমর্ম

    “রাস্তা কারাে একার নয়” (মূলগ্রন্থঃ অথচ ভারতবর্ষ তাদের) কবিতায় কবি বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাধারণ লােকসমাজের জীবনপথের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ব্যঞ্জনাধর্মী এ কবিতায় তিনি মানুষের, মানবসভ্যতার অগ্রগতি, প্রগতিপথকে ‘রাস্তা’ বলে আখ্যাত করেছেন।

    সভ্যতাসূচনা থেকেই মানবজীবনের সঙ্গে শ্বাসপ্রশ্বাসের মতাে জড়িয়ে আছে ধর্ম ও বিজ্ঞান। ধর্ম মানুষের পুণ্য কর্ম, সৎ কর্ম, পরম্পরাগত জীবন আচরণ ও রীতিনীতি আর বিজ্ঞান কোন বিষয় সম্পর্কে সুসংবদ্ধ জ্ঞান, কর্ম সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শী হয়ে ওঠা জ্ঞান, মানবজীবনের আচরণ ও মননকে সমৃদ্ধকারী জ্ঞান। এ দুয়ের হাত ধরে মানবসভ্যতার সাবালক হয়ে ওঠার সূচনা হয়েছিল। কিন্তু কালপ্রবাহে লােভী মানুষের লােভ সভ্যতাকে বিচ্ছিন্ন, শ্রেণিবিভক্ত, রক্তাক্ত করলাে। ধর্ম রূপান্তরিত হলাে সংস্কারে, বিজ্ঞান বদলে গেলাে অস্ত্রে। আর শুরু হােলাে তাদের সংঘাত।

    ধর্মসংস্কার লিওনার্দো বা গ্যালিলিওর মতাে বিজ্ঞানসাধকদের তপস্যা থেকে বিরত করতে পারলাে না। সত্য নিষ্ঠায় অবিচ্ছিন্ন থেকে বিজ্ঞান মানুষকে সভ্যতার মুক্ত প্রবাহে, সংস্কারমুক্ত আলােকপ্রান্তরে এগিয়ে নিয়ে গেলাে। ধর্মের অন্ধত্ব মহাজাগতিক সারসত্যকে আবদ্ধ করতে ব্যর্থ হয়ে বারবার বিজ্ঞানসাধকদের সাময়িক অত্যাচার, এমনকি প্রাণহানিতেও বিজ্ঞানের সারস্বত জয়ধারাকে রুদ্ধ করতে পারলাে না।

    ধর্ম যতদিন দুঃখী মানুষদের আশ্রয়দাতা, জীবনপথের পাশাপাশি চলা বন্ধ ততদিন ধর্ম সংক্রান্ত সংঘাত বা সংস্কার সভ্যতাকে আচ্ছন্ন করে না। কিন্তু বেঁচে থাকার সাহস যােগানাের বদলে ধর্ম যখন বেঁচে থাকার পথ রুদ্ধ করে মানুষকে অচলায়তনে আবদ্ধ করে তখনই সর্বনাশ সূচিত হয়। ধর্মতাত্ত্বিকদের সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বারবার যেহেতু তারা ভুলে যায় রাস্তা কারাে একার নয়। যেমনভাবে আত্ম, শ্রেণি বা রাষ্ট্রস্বার্থে বিজ্ঞানকে শাস্ত্রে রূপান্তরিত করা রাজনীতির বাদশাদের আস্ফালনও ব্যর্থ হয়। ব্যর্থ হয় ভাড়াটে জল্লাদের পােশাক গায়ে চাপানাে বণিকতান্ত্রিক, সামন্ততান্ত্রিক সাম্রাজ্যলােভীদের আস্ফালন।

    রাস্তা কারাে একার নয় কবিতায় ধর্ম ও বিজ্ঞানের সম্পর্কে এভাবেই কবি তাঁর সুচিন্তিত মতামত প্রদর্শনে ধর্ম বিজ্ঞান উভয়েই মানব আশ্রয়দাতার ভূমিকা হারালে ব্যর্থ, প্রত্যাখ্যাত হয় বলেছেন।

    See less
    • 0
  • 1
  • 7,857
  • 0
Answer
In: সারাংশ ও সারমর্ম, সাহিত্য

জয় গোস্বামীর নুন কবিতার বিষয়বস্তু | Nun Bengali Poem Summary?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on July 12, 2020 at 1:21 am
    This answer was edited.

    সারাংশ ও সারমর্মঃ জয় গোস্বামীর লিখিত ‘নুন’ কবিতা সমাজের খেটে খাওয়া, গরিব শ্রেণীর মানুষের কবিতা। কবিতায় স্থান পেয়েছে তাঁদের দুঃখের কথা, তাঁদের অভাবের কথা। এই মানুষদের বেশি চাওয়া পাওয়া নেই । তারা অল্পতেই খুশি তাঁদের নেই কোন অভিযোগ অনেক বেশি পাওয়ার। এদের জীবন অতি সাধারন তারা সম্পূর্ণ দিন পরিশ্রমRead more

    সারাংশ ও সারমর্মঃ

    জয় গোস্বামীর লিখিত ‘নুন’ কবিতা সমাজের খেটে খাওয়া, গরিব শ্রেণীর মানুষের কবিতা। কবিতায় স্থান পেয়েছে তাঁদের দুঃখের কথা, তাঁদের অভাবের কথা। এই মানুষদের বেশি চাওয়া পাওয়া নেই । তারা অল্পতেই খুশি তাঁদের নেই কোন অভিযোগ অনেক বেশি পাওয়ার। এদের জীবন অতি সাধারন তারা সম্পূর্ণ দিন পরিশ্রম করে যা উপার্জন করে তাহাতেই তাঁদের সংসার চলে। অনেকদিন তাঁরা অনেক কিছু ক্রয় করতে পারেনা তাদের আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তাঁদের বাড়ি ফিরতে হয় অনেক কিছু না নিয়ে।

    যদিও তাহারা অভাবে ভুগে কিন্তু তাদের নেশা থেমে থাকে না। আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হলে তাঁদের বিলাসিতার ইচ্ছে হয়। তাঁদের ইচ্ছে হয় কখনো বা একটি গোলাপ ফুলের চারা লাগানোর কিন্তু লাগাবার জায়গাটা ও তাঁদের নেই।

    অভাবের টানে অনেক সময় তাদের ঠান্ডা ভাতে নুন টুকু ও জোটে না। তখনই শুরু হয় উৎপাত এবং এই উৎপাতের শব্দ শুনতে পায় সমস্ত পাড়ার মানুষ। কিন্তু ইহাতে তাঁদের কোন লজ্জা বোধ হয় না কারণ কেহই তাহাদের কথা ভাবে না। তাঁদের জীবন যাপনের নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও কেউই তাদের দেয়নি। তাই তাঁদের কাতর আবেদন যে তাদের নুনের ব্যবস্থা হোক। ‌ অর্থাৎ তাহাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব গুছিয়ে যাক।

    তাই এই কবিতায় নুন শুধুমাত্র একটি উদাহরণ, একটি উপলক্ষ। নুন হচ্ছে দরিদ্র, মধ্যবিত্ত মানুষের চাওয়া পাওয়ার প্রতীক। যেভাবে নুন বা লবন রান্নার জন্য একটি মৌলিক উপাধান সেইভাবে তাহাদের জীবনে দু বেলা দুমুটো  ভাত তাহাদের মৌলিক চাওয়া পাওয়া। কিন্তু সেইটুকু ও তাহাদের কপালে জুটেনা এবং এই মানুষদের তাহার ব্যবস্থা হউক এটা কেউ দেখে না । তাই নুন কবিতাটি দরিদ্র মানুষের আর্থ-সামাজিক অসচ্ছলতার প্রতীক।

    See less
    • 0
  • 1
  • 12,166
  • 0
Answer
In: শিক্ষা, সারাংশ ও সারমর্ম

আঠারো বছর বয়স কবিতার সারমর্ম | Atharo Bochor Boyosh Poem Summary in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 0 Questions
    • 373 Answers
    • 7 Best Answers
    • 3 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on May 16, 2020 at 12:59 am

    সারমর্ম: ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আঠারাে’কে কৈশাের ও যৌবনের বয়ঃসন্ধির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরাধীন, যুদ্ধ-দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত বঙ্গ তথা ভারতীয় সমাজে আঠারাে এক প্রথা ভাঙ্গা বিস্ময়। কবি আঠারাের চরিত্র ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে আঠারাে বছর বয়েসেরRead more

    সারমর্ম:

    ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থের ‘আঠারাে বছর বয়স’ কবিতায় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য ‘আঠারাে’কে কৈশাের ও যৌবনের বয়ঃসন্ধির প্রতীক হিসেবে তুলে ধরেছেন। পরাধীন, যুদ্ধ-দাঙ্গা-দুর্ভিক্ষ পীড়িত বঙ্গ তথা ভারতীয় সমাজে আঠারাে এক প্রথা ভাঙ্গা বিস্ময়। কবি আঠারাের চরিত্র ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণে আঠারাে বছর বয়েসের নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যগুলাে খুঁজে পেয়েছেন –
    ১) আঠারাে বছর বয়স দুঃসহ, ২) মাথা তােলার ঝুঁকি নেবার স্পর্ধাদীপ্ত, ৩) দুঃসাহসী, ৪) নির্ভীক, ৫) অসম্ভবকে সম্ভব করতে চায়, ৬) তীব্র আত্মমর্যাদা সম্পন্ন, ৭) ভেঙে পড়তে জানে না, ৮) জীবনের সঙ্গে জীবনকে মেলাতে জানে, ৯) অন্তরশক্তিতে বলীয়ান, ১০) দেশের সমাজের কল্যানে আত্মােৎসর্গ করতে বা অন্যায়কারীকে বধ করতে সদা প্রস্তুত, ১১) অপ্রতিরােধ্য, সমস্ত প্রতিবন্ধতাকে চূর্ণ করে দিতে চায়, ১২) প্রতিকূলতায় নত হয় না, ১৩) বিপদের মুখে এগিয়ে যায়, ১৪) নতুনের পন্থী, ১৫) সংশয়, দ্বিধাহীন প্রাণে সর্বদা এগিয়ে চলার বাসনা।

    পরাধীন ভারতের দ্বন্দ্ব-দাঙ্গা-হতাশা-অবক্ষয় পীড়িত সময়ে কবি কিশাের সুকান্ত আঠারাের মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন নতুন জীবনস্পন্দ। কৈশােরের কোমল, স্বপ্নময়তা আর যৌবনের উদ্দাম, নির্ভীক, দুঃসাহসীপনার সংযােগ আঠারাে। যৌবরাজ্যে অভিষেকের আনন্দে সে মাথা তােলার ঝুঁকি নেয়, অসম্ভবকে সম্ভব করতে ব্রতী হয়, আত্মমর্যাদায় মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। কান্না তার কাছে অগৌরবের প্রতীক হয়ে ওঠে। সুগভীর প্রাণশক্তি তাকে বৃহত্তর জীবনের সঙ্গে যুক্ত করে।

    কাজ করতে গিয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আঠারাে দেশ-সমাজমানুষের কল্যানমঙ্গলহিত সাধনে আত্মােৎসর্গ করতে যেমন পিছপা হয় না, তেমনই প্রয়ােজনে অপকারীর বিনাশেও সে দ্বিধাহীন।আঠারােই আগামী তাই আঠারাের কানে কতশত মন্ত্রণা আসে। আত্মকে সনাক্ত না করতে পারার যন্ত্রণাদীর্ণ আঠারাে অপ্রতিরােধ্য। সময়ের বুকে সে তােলে পরিবর্তনের ঝড়। কিন্তু অনভিজ্ঞতা অন্তরায় হয়। ফলে প্রতিকূলতায় সে ক্ষতবিক্ষত হয়, হয় লক্ষ্যচ্যুত। যৌবনের উদ্দামতা তাকে এগিয়ে নিয়েছিলাে অন্তরের কৈশাের কোমলতা এই ব্যর্থতায় বেদনাগ্রস্ত করতে থাকে তাকে। সাময়িকভাবে হতাশাচ্ছন্নও হয় সে।

    এই কঠোর-কোমলের সমন্বয়ই আঠারাে। আঠারাের হতাশা, স্বপ্নভঙ্গের যন্ত্রণা বেদনাতুর হওয়া স্বত্তেও আঠারাের জয়ধ্বনি শােনেন কবি। পরাধীন ভারতের দুঃসহ পটভূমিতে আঠারােই তাে ত্রাণ । কেননা আঠারাে প্রতিকূলতায় বিনষ্ট হয় না, বিপদে বুক বেঁধে এগােয়। সর্বদা নতুনের পন্থী আঠারাে লক্ষ্যপথে এগােতে ভয় পায় না। সবচেয়ে বড়াে কথা তারা যা করে যতটুকু করে নির্ভয়ে, সাহসের সঙ্গে, সংশয়হীনভাবে করে। তাই আত্মসংকটদীর্ণ, বহুধাবিভক্ত পরাধীন ভারতবাসীর মধ্যে কবি সুকান্ত আঠারাের বৈশিষ্ট্যগুলাে অনাবিল, স্বতঃস্ফূর্ত বিকাশ পাওয়ার কামনা করেছেন।

    See less
    • 1
  • 1
  • 6,630
  • 0
Answer
In: শিক্ষা, সারাংশ ও সারমর্ম

অমলকান্তি কবিতার সারমর্ম বিষয়বস্তু | Amalkanti Poem Summary in Bengali?

  1. Hridoy

    Hridoy

    • 16 Questions
    • 418 Answers
    • 14 Best Answers
    • 2,115 Points
    View Profile
    Hridoy
    Added an answer on June 28, 2020 at 4:10 am
    This answer was edited.

    মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র 'অমলকান্তি' নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। "অমলকান্তি" হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। "অমলকান্তি" গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানRead more

    মূলভাব : অমলকান্তি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অন্যতম একটি কবিতা। সেই কবিতার মুখপাত্র ‘অমলকান্তি’ নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সৃষ্টি করা একটি অমর চরিত্র। “অমলকান্তি” হচ্ছে প্রত্যেকটি মানুষের অন্তরে লুকিয়ে থাকা অপরিপূর্ণ কিছু আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। “অমলকান্তি” গতানুগতিক জীবনের বিপরীত ধারায় চলার স্বপ্ন দেখা মানুষের প্রতীক।

    সারাংশ: কবিতায় কবি বলছেন যে, অমলকান্তি তার বন্ধু তার সহপাঠী। কিন্তু অমলকান্তি পড়াশুনায় খুবই কাঁচা, রোজ স্কুলে দেরি করে আসে, কিছু জিজ্ঞেস করলে জানালার দিকে চেয়ে থাকে। আর তার এই অন্যমনস্ক চিন্তা ও অস্বাভাবিক কর্ম কবি কে ভাবায় , দুঃখ দেয়।

    “অমলকান্তি আমার বন্ধু, ইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম।

    রোজ দেরি করে ক্লাসে আসতো, পড়া পারতো না,”

    সবাই পড়াশোনা করে কোন লক্ষ্য নিয়ে হয়তো কেউ ডাক্তার হতে চায়, কেউতো উকিল। সবাই পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার লক্ষ্যে কিন্তু অমলকান্তি তার ব্যতিক্রমি, সে কোন কিছু হতে চায় না সে হতে চায় রোদ্দুর। সে হতে চায় কাক ডাকা বিকেলের লাজুক রোদ্দুর।

    “আমরা কেউ মাষ্টার হতে চেয়েছিলাম, কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল।

    অমলকান্তি সে-সব কিছু হতে চায়নি। সে রোদ্দুর হতে চেয়েছিল।”

    সবাই প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠলেও কমল কান্তি কিন্তু রোদ্দুর হয়ে উঠতে পারেনি, হয়নি পূরণ তার স্বপ্ন। বর্তমানে সে একটি অন্ধকার ছাপাখানায় কাজ করে তার অপরিপূর্ণ স্বপ্ন নিয়ে।

    “আমরা কেউ মাষ্টার হয়েছি। কেউ ডাক্তার, কেউ উকিল

    অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারেনি।”

    মানুষ চাইলে অনেক রকম ভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তার ইচ্ছা ও সাধনায় সে নিতে পারে যেকোনো একটি পেশা। এবং একই ভাবে সবাই প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছে কিন্তু কমলা কান্তি তা পেরে উঠেনি। তার রোদ্দুর হওয়ার স্বপ্ন অপ পরিপূর্ণ থেকেই গেল। “সকলেরই ইচ্ছে পূরণ হল, এক অমলকান্তি ছাড়া। অমলকান্তি রোদ্দুর হতে পারে নি।”

    অমলকান্তি কেন রোদ্দুর হতে চেয়েছিল? কারণ, ঘিঞ্জি বস্তিতে থাকার ফলে সে রোদ্দুর পায়না। সে জীবনের আনন্দ থেকে বঞ্চিত তাই রোদ্দুর খুঁজে এবং সে নিজে রোদ্দুর হয় যেতে চায়। অমলকান্তি ভিন্ন ধারায় জীবন চালিয়ে যেতে চায় কারণ টাকা পয়সা এবং প্রতিষ্ঠা জীবনে সব কিছু এনে দিতে পারে না।

    বাস্তবে কোন মানুষ রোদ বৃষ্টি হতে পারে না তাই রোদ্দুর এখানে জীবনের আলোর প্রতীক, আনন্দের প্রতীক। এবং শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠিত হলে সুখী হওয়া যায় না, টাকা পয়সা হয়তো আমাদেরকে স্বাচ্ছন্দ এনে দে কিন্তু প্রকৃত আনন্দ আর্থিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার মধ্যে নেই। তাই অমলকান্তি রোদ্দুর হতে হয়ে যায়।

    See less
    • -1
  • 1
  • 14,263
  • 0
Answer
Load More Questions

Sidebar

আরও দেখুন

  • নারী কবিতার সারমর্ম ও মূলভাব | Nari poem summary in Bengali
  • সাম্যবাদী কবিতার বিষয়বস্তু ও মূলভাব | Samyabadi Poem Summary in Bengali
  • সারাংশ – বাংলার মুখ | Banglar Mukh Ami Dekhiachi Poem Summary in Bengali
  • জন্মভূমি আজ কবিতার সারমর্ম | Jonmobhumi Aj Summary in Bengali?
  • জয় গোস্বামীর নুন কবিতার বিষয়বস্তু | Nun Bengali Poem Summary?
  • আঠারো বছর বয়স কবিতার সারমর্ম | Atharo Bochor Boyosh Poem Summary in Bengali?
  • অমলকান্তি কবিতার সারমর্ম বিষয়বস্তু | Amalkanti Poem Summary in Bengali?
  • ভোরাই (সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত) সারাংশ ও মূলভাব | Bhorai Poem Summary in Bengali?
  • Mountain and Squirrel কবিতার বাংলা সারাংশ ও মূলভাব | Fable Poem Summary in Bengali?
  • তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা (শামসুর রহমান) কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | shadhinota tumi summary in bengali
  • সিঁড়ি (সুকান্ত ভট্টাচার্য ) কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | bengali poem siri summary
  • রানার (সুকান্ত ভট্টাচার্য ) কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | ranar poem summary in bengali
  • বনলতা সেন কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | bonolota sen poem explanation in bengali
  • কবিতা: হাওয়ার রাত (জীবনান্দ দাস) সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | windy night poem by jibanananda das summary
  • আবার আসিব ফিরে কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | abar asibo phire poem summary in bengali
  • রূপসী বাংলা কবিতার সারমর্ম ও বিষয়বস্তু | ruposhi bangla poem summary
  • বনলতা সেন কবিতার সারাংশ ও মূলভাব | bonolota sen kobita summary in bengali
  • আবার আসিব ফিরে সারাংশ | abar asibo phire poem summary
  • সারাংশ – গুপ্তধন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর | Guptodhon Rabindranath Tagore Summary
  • রাস্তা কারো একার নয় কবিতার সারাংশ | Rasta Karo Ekar Noy Poem Summary in Bengali?
Join us on Telegram
Join our FaceBook Group

বিষয়

All Bangla Paragraph (105) Bangla GK (177) Bangla Kobita (203) Bangla Rachana (105) Bengali Meaning (259) Bengali Poems (124) English to Bengali Meaning (270) English to Bengali Translation (256) Kobita (143) অনুচ্ছেদ (127) বাংলা অর্থ (275) বাংলা কবিতা (219) বাংলা বাক্য রচনা (176) বাংলা রচনা (127) বাক্য রচনা (176)

Footer

© 2020 Bengali Forum · All rights reserved. Contact Us

Add Bengali Forum to your Homescreen!

Add